হ্যাংলা থেরিয়ামের বিরিয়ানি খেতে গিয়ে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে হ্যাংলা থেরিয়ামের বিরিয়ানি খাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বিরিয়ানি! শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আবেগ, প্রেম, ভালোবাসা। শুধু খাবার নয়, বিরিয়ানি হল মানুষের কাছে এমন একটা জিনিস যার কাছে সবকিছুই ফিকে হয়ে যায়। পারস্যে প্রথম এই বিরিয়ানির জন্ম, তারপর মোঘলদের হাত ধরে ভারতে পা দেয় অতি সুস্বাদু খাবারটি। আর সেখান থেকেই বাড়তে থাকে বিরিয়ানির জনপ্রিয়তা। খাবারের সাম্রাজ্যে এখন সেই রাজা!বিরিয়ানি নামটা শুনলে অনেকেরই জিভে জল চলে আসে ।আর আমি আজকে আমি তেমনই একটি বিরিয়ানির সন্ধান দিলাম। যেখানে বিরিয়ানির দাম একটু বেশি হলেও খেতে খুবই টেস্টি। আর তার থেকেও বড় কথা এই বিরিয়ানি যতটাই খাওয়া হোক না কেন মনে হবে না যে কিছু খেয়েছি কারণ এতটাই হালকা চালের।
আমি পঞ্চমীর দিন অর্থাৎ দুর্গাপুজোর সময় বাড়ি ফেরার পথে রেস্টুরেন্টের খোঁজ করছিলাম, কারণ আপনারা অনেকেই জানেন যে দুর্গাপূজায় কলকাতায় কি পরিমান ভিড় থাকে রেস্টুরেন্ট গুলোতে। রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হলে মোটামুটি দু'ঘণ্টা লেগেই যায় ।সেখান থেকে আমরা গিয়েছিলাম সেইদিন সাউথের দিকে ঠাকুর দেখার জন্য ।তাই জন্য ওখানেরই একটি রেস্টুরেন্ট থেকে আমি বিরিয়ানি খেয়েছিলাম। আর এই রেস্টুরেন্টটি সাউথ সিটি মলের একদম পাশেই।আর এই রেস্টুরেন্টে প্রচুর ভিড় ও হয়। কিন্তু সেই দিন সেরকম কোনো ভিড় ছিল না ।সেরকম বললেও ভুল হবে, শুধু একটা টেবিলই ফাঁকা ছিল ।আমরা যখন গিয়েছিলাম সেখানে ,তো তাড়াতাড়ি আমরা সেই টেবিলটা পেয়ে যাই। আর এখানে ঢুকে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছিলাম এখানে যেমন লোকে খেতেও আসে তেমনি এখানে অর্ডারও করে প্রচুর মানুষ। আর আমি আজ থেকে চার বছর আগেই প্রথম বিরিয়ানি খাওয়া শিখেছি।আর সেখান থেকেই এখন বিরিয়ানি প্রেমী হয়ে গেছি। আমি আগে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে খুব বিরিয়ানি ট্রাই করতাম। লকডাউনের পর থেকে সেই ব্যাপারটাই অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু সুযোগ পেলে এখনও সেই সুযোগ ছাড়ি না ।কারণ আমার ভালো লাগে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন খাবার ট্রাই করতে ।যাই হোক এই রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে হ্যাংলা হেরিয়াম।এই রেস্টুরেন্টের আমি প্রথমবার এসেই এখানকার বিরিয়ানীর প্রেমে পরে গেছি। এক কথায় আমার কাছে খুব খুব ভালো লেগেছে ।
এছাড়াও আরেকটি জিনিস সেখানে ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে এখানকার রেস্টুরেন্টের থিম। তার কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। এখানে একটি ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা ছিল যে "পুজোয় বিরিয়ানি না খেলে ঠাকুর কিন্তু রাগ করবেন" এই লেখাটা কিন্তু বেশ মজার হলেও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তাই জন্য এটার একটা ফটো সঙ্গে সঙ্গে আমি তুলেও নিয়ে ছিলাম ।
এখানে আমি যে বিরিয়ানিটি খেয়েছি সেই বিরিয়ানির দাম ছিল ৬৫০ টাকা। আর এই ৬৫০ টাকার বিরিয়ানি মোটামুটি তিনজন খুব ভালো মতো খেতে পারবে তার সাথে পেট ভরেও যাবে। আমি এত কথা বলছি এ কারণেই, কারণ আমি আর্সেনালের বিরিয়ানি ছাড়া কোনো বিরিয়ানি খুব একটা খাই না ।কিন্তু যখন আমি এই হ্যাংলা থেরিয়াম থেকে বিরিয়ানি খেয়েছি। আমার কাছে খুব খুব ভালো লেগেছে। আপনারাও যদি কোনো দিন কলকাতায় আসেন বা যারা কলকাতায় থাকেন এই হ্যাংলা থেরিয়াম থেকে একবার হলেও বিরিয়ানি ট্রাই করবেন। আমার মনে হয় আপনাদেরও খুব ভালো লাগবে ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দিদি আপনি তো দেখছি বিরিয়ানি নিয়ে বেশ ভালোই জানেন ৷ আজকে তাহলে জানতে পারলাম যে বিরিয়ানি কিভাবে আসলো পারস্যে জন্ম আর মোঘলদের হাত ধরে বিরিয়ানির প্রচলন ৷
যা হোক দূগাপুজোর সময় আপনার বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভুতি টা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ সেই ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল ৷
ধন্যবাদ দিদি
সত্যি দিদি বিরিয়ানি দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক মজার ছিল। বিরিয়ানির সাথে সবারই অন্য রকম একটা প্রেম।বিরিয়ানির নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে।আপনি সুযোগ পেলে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এ বিরিয়ানি খাওয়ার সুযোগ নেন- হা হা হা ।হ্যাংলা হেরিয়াম এর বিরিয়ানি মনে হচ্ছে অনেক মজা।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম আমাদের এই ভারতবর্ষে বিরিয়ানির আগমনের ইতিহাস টাই তুলে ধরেছেন। তবে নতুন তথ্য জানতে পেরে এমনিতেই ভালো লাগে। কথা হচ্ছে আমিও আপনার মত একজন বিরিয়ানি প্রেমি, আমাদের দেশেও পুরাতন ঢাকায় এরকম নামক কিছু বিরিয়ানির হোটেল আছে।
যদি কখনো কলকাতা যাওয়া হয় তাহলে এই রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি ট্রাই করার চেষ্টা করব। তবে সাথে তো আরো লোক দরকার পড়বে কারণ ৬৫০ টাকার বিরিয়ানি খেতে তিনজনের দরকার হয়। প্রয়োজনে আপনাকে আর দাদাকে ইনভাইট করব হা হা হা
দিদি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মাত্র চোখ খুললাম। আর দেখলাম সামনে এত সুন্দর একটি লোভনীয় খাবার। এ যেন স্বপ্নে দেখছিলাম মনে হলো। কিন্তু না চিমটি কেটে দেখলাম সত্যি। আপনার হ্যাংলা হেরিয়াম রেস্টুরেন্টের ৬৫০ টাকা দামের বিরিয়ানি। দেখতে তো সেরকম। কি আর করার ঢাকায় থাকি। এত সুন্দর বিরানি তো আর ভাগ্যে জুটবে না। তাই ছবি থেকে নিয়ে একটু একটু করে খেয়ে ফেললাম মনে মনে। যাক আপনার পোষ্টটি অত্যন্ত লোভনীয় ছিল। এছাড়া আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বিরিয়ানি সম্বন্ধে কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম। তবে কথাটা কিন্তু বেশ ছিল - পূজোর দিনে বিরিয়ানি না খেলে ঠাকুর রাগ করবে।
পারস্যে প্রথম যে বিরিয়ানির জন্ম তাই আমি আজকেই জানতে পারলাম।ঠিক বলেছেন আপু বিরিয়ানি হলে আর কি লাগে,আহা বিরিয়ানির ছবি দেখেই আমার জিভে জল এসে গেলো।আসলেই ব্ল্যাকবোর্ডের লেখাটা বেশ মজার ছিলো। আপু কলকাতায় না হয় পরে যেয়ে খাব নে,আপনি আগে আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েন 🤣🤣।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
দিদি কখনো এভাবে তো ভেবে দেখিনি বিরিয়ানি পারস্যে জন্ম সেটা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। তাছাড়া ভারতবর্ষে মঙ্গলদের মাধ্যমে বিরিয়ানির অগ্রযাত্রা হয় এখন তো বিরানি খুবই জনপ্রিয় । আমি আর্সেনাল নামটি যখন শুনলাম ক্লাবের কথা মনে পড়েছে। যাইহোক, এই বিরিয়ানি আপনার খুবই পছন্দের সেটা জানতে পারলাম। খুবই ভালো লাগলো রেস্টুরেন্টের সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখে।
কেমন আছেন দিদি, আশাকরি ভাল আছেন। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম পারস্য দেশে প্রথম বিরিয়ানির জন্ম। এরপর মোঘলদের হাত ধরে ভারতে পা দেয়।আপনি সুযোগ পেলেই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিরিয়ানি টেস্ট করেন। হ্যাংলা হেরিয়াম নামটা বেশ দারুন তো। আর ব্ল্যাক বোর্ডের লেখাটাও কিন্তু দারুন ছিল। এখানে এক প্যাকেট বিরিয়ানি ৬৫০ টাকা হলে ও তিনজন খুব তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া যায়।আর আপনার কাছে বেশ ভালও লেগেছে খেতে। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দুর্গাপূজার সময় সকল জায়গাতেই অনেক বেশি ভিড় দেখা যায় বিশেষ করে শহর অঞ্চলে। বর্তমান সময়ের গ্রাম অঞ্চলেও দুর্গা পূজার সময় অনেক বেশি ভিড় হয়। যাইহোক ঠাকুর দেখতে গিয়ে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন রেস্টুরেন্টের মধ্যে আসলে বিরিয়ানি খেতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে। আপনিও দেখছি তাদের মধ্যেই একজন, রেস্টুরেন্টের ভেতরের একটা কথা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে যে বিরিয়ানি না খেলে ঠাকুর রাগ করবে হাহাহা। এখানে রেস্টুরেন্ট মালিক খুব বড় ধরনের একটা চালাকি করেছে 🤣
আসলেই লেখাটা বেশ মজার ছিলো।আর লিখেছেও বেশ সুন্দর করে।আহা,বিরিয়ানী দেখে জিভে জল চল্র আসলো।
দিদি আমিও বিরিয়ানি প্রেমী। আপনি খুব সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে অনেক মজার বিরিয়ানি খেয়েছেন। রেস্টুরেন্টের থিম ভাল হলে আলাদা একটা রুচি কাজ করে সাইকোলজিক্যালি । হ্যাংলা থেরিয়াম রেস্টুরেন্টের থিম গুলো সত্যিই সুন্দর। এবার বলি বিরিয়ানির কথা দেখেই জিভে জল চলে আসার মত অবস্থা। কালারফুল বাসমতি চালের বিরিয়ানির ছবি দেখেই ক্ষুধা লেগে গেল। ধন্যবাদ দিদি।