গতকাল পুজোর শপিং করতে গিয়ে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সাথে গতকাল পুজোর কিছু শপিং এর মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
কিছু কিছু সময় এমন যায় যে চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না ।আর বেশ কিছুদিন ধরে এতটাই ব্যস্ত আছি পোস্ট করারও সময় করে উঠতে পারছি না। কিন্তু ব্যস্ততা তো মানুষের জীবনের একটা অংশই । তাই একটু সময় পেয়ে আজকে আবার পোস্ট লিখতে শুরু করছি। সামনেই বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। রাস্তাঘাটে এখন বেরোলে পা ফেলাই দায় হয়ে যাচ্ছে। কারণ এখন সবার শুধু শপিং আর শপিং ।বিকেল হলেই প্রচুর ভিড় হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ কিছু জায়গা আছে যেখানে খুব ভিড় হয় যেমন হাতিবাগান ,এসপ্ল্যানেড মার্কেট , গড়িয়া, বড়বাজার এরকম অনেক মার্কেট আছে এই সময়টাতে অনেক ভিড় থাকে। বিশেষ করে বিকেল চারটে বেজে গেলে ভিড় বাড়তে শুরু করে। তাই যদি তার আগে কেনাকাটি করে নেওয়া যায় তাহলেই ভালো আর কি।
গতকাল মা, আমি ,আর কাকিমনিরা সবাই মিলে পুজোর শপিং করতে গিয়েছিলাম ।তাছাড়াও আমাদের সামনে কিছু অনুষ্ঠান আছে যেগুলোতে শাড়ি পড়তেই হবে ।সেগুলোই কিনতে যাওয়া।তবে যাই হোক শপিং করতে যাওয়ার একটা আলাদাই মজা আছে ।শপিং করতে যাওয়ার জন্য বেলা একটা নাগাদ বেরিয়ে গেলাম।আমরা গড়িয়ার দিকে গিয়েছিলাম ,কারণ গড়িয়ার ওখানে শাড়ির দোকান গুলো খুব সুন্দর। তাছাড়া ওখানে অনেক বড় মার্কেট রয়েছে। সেই জন্যই ওখানে যাওয়া। প্রথমে গেলাম ট্রেডার্স এ সেখান থেকে একটা শাড়ি নিলাম। এই শাড়ির কালারটা আমাকে এতটা এট্রাক্ট করেছিল তাই কোনো কিছু না ভেবেই শাড়িটা কিনে নিলাম ।
এরপর ওই দোকান থেকে বেরিয়েই আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয় গেলাম। প্রথমে বাইরে থেকে কিছু বুঝতে পারছিলাম না বলে অন্য দোকানে যেতে চাইছিলাম। কিন্তু মা বলাতে একবার দোকানের ভিতরে ঢুকতেই আর আমি ওখান থেকে বেরোয়নি ।প্রায় চার ঘণ্টা ওখানেই শপিং করেছি ।মানে প্রায় সাতটা মতো শাড়ি কিনেছি ।
এখানে শাড়ির কালেকশন এত সুন্দর, যে শাড়ি দেখাচ্ছিলো সেই শাড়িতেই মনে হচ্ছিল চোখ আটকে যাচ্ছে ।কিন্তু হ্যাঁ এখানে শাড়ির দাম অনেক। তবু দাম অনুযায়ী শাড়িগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর ।শাড়ি পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। তাই এতগুলো নিয়ে নেওয়া। প্রায় ৮০,০০০ টাকার মতো শপিং করেছি।
প্রত্যেকটি শাড়ি আমার একদম মনের মত হয়েছে ।ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম তেমনটাই পেয়েছি এবং কিনেছি। তার মধ্যে এত শাড়ি দেখে আমার মাও একটা না কিনে পারলো না ।তাই মা ও একটা শাড়ি কিনেছে। এরকম শাড়ি কিনতে কিনতে মোটামুটি সাড়ে ছটা বেজে গিয়েছিল।
তবে যাই হোক এরকম একটা সুন্দর শপিং করে আমাদেরও ভীষণ ভালো লেগেছিল। এরপর শাড়ি কিনে বেড়িয়ে সবাই একসাথে কালীঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরলাম ।আর গতকাল সব মিলিয়ে পূজোর শপিং এক কথায় দারুন হয়েছে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

দিদি আপনার পূজোর শপিং দেখে অনেক ভালো লাগল। আসলে দিদি শাড়িতে নারী। আমার কাছে ও শাড়ি পড়তে বেশ ভালো লাগে তবে পড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারি না। আপনার শাড়ি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি দিদি দামি শাড়ি ভালো তো লাগবেই। আশাকরি এখন পূজো ভালো ভাবে কাটবে।
দিদি আপনি তো দেখছি পূজো উপলক্ষ্যে বেশ দারুন একটি পোস্ট করেছেন। আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমার মনে হচিছল যে কতদিন যাবৎ যে শাড়ী পড়ি না। সে যাই হোক বেশ দারুন শপিং করলেন। তার সাথে আবার যব্বর খাওয়া দাওয়া । বেশ ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ দিদি এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রত্যেকটা শাড়ি অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি। যে কোন অনুষ্ঠানে আমার কাছেও শাড়ি পড়তে অনেক ভালো লাগে। যেহেতু আপনার সামনে বেশ কিছু অনুষ্ঠান আছে তাই শাড়ি কিনে খুবই ভালো করেছেন। আর শাড়িতে আপনাকে অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। ধন্যবাদ দিদি কেনাকাটার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দিদি পুজোর কেনাকাটা করতে গেলেন।সবাই বেশ আনন্দ নিয়েই কেনাকাটা করলেন। শাড়ি গুলো খুব সুন্দর লাগছে।আশাকরি পরলেও আপনাকে মানাবে।আপনি শাড়ি পড়তে পছন্দ করেন।আমি অবশ্য পছন্দ করিনা।আমার ঝামেলা লাগে।অনেক ভালো লাগলো আন্টির শাড়িটি ও। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। সবাই শেষে মজা করেই খাওয়া দাওয়া করলেন।দেখে খুব ভালো লাগলো।
ঈদ বা পূজোর আগে এমনিতেই মার্কেটে প্রচুর ভিড় দেখা যায়। আর বিকেল থেকে মানুষের ভিড় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যাইহোক অনেক গুলো শাড়ি কিনেছেন তো দিদি। শাড়ি গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ভালো জিনিসের দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। বেশ কয়েক ঘন্টায় ৮০,০০০ টাকার শপিং করেছেন তাহলে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি খুব ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরো একবছর পর আবার আপনাদের প্রধান উৎসব আসছে। এই সময় সব জায়গাই ভীড় থাকবে এটাই স্বাভাবিক দিদি। এক শাড়ির দোকানেই ৮০০০০ হাজার টাকার শপিং করেছেন টা কী দিদি হা হা। বেশ অনেক গুলোই কিনে ফেলেছেন মনে হচ্ছে। শপিং শেষে আবার খাওয়া দাওয়া। সবমিলিয়ে পরিবারের সবাই বেশ ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেছেন।
পূজা উপলক্ষে অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর শাড়ি কিনেছেন দিদি।প্রত্যেকটি শাড়ি অনেক সুন্দর হয়েছে।আসলে মেয়েরা শপিং করতে বেশিই ভালোবাসে। আর মেয়েদের শাড়িতে একটু বেশিই সুন্দর লাগে। আশা করি প্রত্যেকটি শাড়িতে আপনাকে দারুন মানাবে। ধন্যবাদ দিদি পুজোর শপিং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।