এমবিএ চাইওয়ালাতে কাটানো কিছুটা সময়।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে এমবিএ চাইওয়ালাতে কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
অনেকে আছে যারা চা বা কফি খেতে খুব পছন্দ করে। তার মধ্যে আমিই একজন দুটোই আমার খুব ভালো লাগে। কফি খুব বেশি একটা না খেলে ও চা ছাড়া আমার একটা দিনও যায় না। একদিকে বলতে গেলে আমি খুব চা প্রেমী। হ্যাঁ দিনে চার-পাঁচবার না খেলেও দুবার চা খাই, কেন জানিনা চায়ের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা রয়েছে । আমার অনেক চেনা জায়গা রয়েছে যেখানে খুব সুন্দর চা বানায় আমারও একটু আগ্রহ আছে যে কোথায় কোথায় ভালো চা বা স্ন্যাকস টাইপের কোনো খাবার পাওয়া যায় । আমার বাড়ির খুব কাছে অর্থাৎ লেকটাউনে যাওয়া-আসার পথে এই দোকানটি আমার খুব চোখে পড়ে ।দোকানটির নাম হচ্ছে এমবিএ চাইওয়ালা ।আমার এই নামটি দেখে খুব মনে হয়েছিল যে রকম নামকরণের কারণ কি ?
এই এমবিএ মানে হচ্ছে মি. বিল্লোর আহমেদাবাদ চাইওয়ালা'। প্রফুল্ল বিল্লোর নামে একজন যিনি ভারতের শীর্ষ বি স্কুল থেকে এমবিএ করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন ।আর এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন ভালো বেতন এবং সুযোগ যার জন্য তাকে এমবিএ ডিগ্রী করতে হয়েছিল । তিনি এমবিএ প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুবার উত্তীর্ণ হওয়ার পর, CAT পরীক্ষায় পাস করতে ব্যর্থ হন।এরপর তিনি সারা দেশ ভ্রমণ করার জন্য বের হন এবং তিনি একটি চাকরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি ম্যাকডোনাল্ডসে প্রতি ঘন্টায় 200 টাকা বেতনে কাজ করতেন । কিন্তু তিনি অন্য কারো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার থেকে নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে ছিলেন। তাই তিনি তিনি ভেবেছিলেন অন্য কারো জন্য বার্গার বিক্রি করার থেকে যদি সে নিজেই কিছু তৈরি করতে পারে এবং বিক্রি করতে পারে সেখান থেকেই এই এমবিএ চাইওয়ালার সাম্রাজ্যের সূচনা হয়।
একটি MBA ড্রপ-আউট একটি বিখ্যাত চাওয়ালা হয়ে আন্তর্জাতিক সেনসেশন হয়ে ওঠে। তার আউটলেটটি দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদ এবং এখন কলকাতার মতো শহরগুলিতে সারা দেশের যুবকদের নাড়া দিয়েছে।
প্রফুল্ল সেই বিজ্ঞ উক্তিটির প্রতি মনোযোগ দিয়েছিলেন যা বলেছিল, "বড় স্বপ্ন দেখুন, ছোট শুরু করুন, এখনই কাজ করুন।"
যাই হোক এই এমবিএ চাইওয়ালাতে আমি কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম ।আমি এখানে গিয়ে একটি কোল্ড কফি অর্ডার করেছিলাম। তার সাথে চাও খেয়েছিলাম অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমি চায়ের ছবি তুলতে ভুলে গেছি, এখানের চায়ের এতটাই টেস্ট ছিল খাওয়ার পর মনে পড়েছিল যে আমি ছবি তুলতে ভুলে গেছি। তারপরেই কফি অর্ডার করেছিলাম তার সাথে পাস্তা এবং স্যান্ডউইচ অর্ডার করেছিলাম । একটা কথা এখানে প্রত্যেকটি খাবারের দারুন টেস্ট।
বন্ধুবান্ধবের সাথে বা প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানোর জন্য খুব ভালো একটা জায়গা। প্রত্যেকটি খাবার এখানে খুবই ভালো এবং খুব তাড়াতাড়ি খাবার সার্ভ করে দেয় । সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি ব্যবস্থা রয়েছে এখানে ।আমার এখানে চা খেয়ে খুবই ভালো লেগেছিল । সুন্দর সময় কাটিয়ে ছিলাম।
চাইওয়ালার নামকরণ তো বেশ ভালই লাগলো। উনার আইডিয়াটা ইউনিক ছিল। আমি সবসময়ই রং চা খেতে খুব পছন্দ করি। দুধ চা বা কফি খেতে আমার তেমন একটা ভালো লাগে না।
এখন তো বর্ষাকাল। বর্ষাকালের কোন এক বিকেলে বৃষ্টির পরবর্তী সময়ে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে চায়ের কাপে চুমুক দেয়ার ফিলিংস টাই অন্যরকম।
দাদা আমিও রং চা খাই। দুধ চা খেলেও খুব কম খাওয়া হয়। আর কফি হলেও কোল্ড কফি খাই।
একদম 😍😍
লেখাগুলোর সাথে ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ ছিলো, লেখাগুলো ভালো লেগেছে কারন চা’র ব্যাপারে অনেকের মাঝেই এই রকম অনুভূতি আমি দেখিছি। কিন্তু বিশ্বেস করেন দিদি, আমি সম্পূর্ণ উল্টো, কোন কোন মাসে আমি এক কাপ চা খাই কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। অফিসিয়াল কাজে একেবারে আটকে না গেলে আমি পারতপক্ষে চা-কফি কোনটাই খাই না। সত্যিটা হলো আমার কাছে ভালো লাগে না, এবার দৌড় দিবো আপনি কিছু বলার আগেই, হা হা হা।
আমি কিছু বলবো না দাদা। আসলে অনেকেই আছে যারা চা খেতে পছন্দ করে না।
হাহাহাহা 🤭ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
এমবিএ চাইওয়ালাতে কাটানো কিছুটা সময় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। চমৎকার একটি জায়গা এসব জায়গায় গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো দিদি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
এটা শুনে সত্যি খুব ভাল লাগলো আপু। প্রথমে আমিও ভেবেছিলাম যে এমবিএ নাম কেন হল পরে অবশ্যই লোকটির পুরো কাহিনী শুনে বুঝতে পারলাম। মানুষ হলে এমনই হওয়া উচিত। তার সাফল্যের শীর্ষে আজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে 👏। তবে আপু একটা কথা চা এবং কফি কোনটাই আমার খুব একটা পছন্দ না। কফি মাঝে মাঝে খেলেও চা আমার একেবারেই ভাল লাগেনা। তবে আপনার মত আমার আম্মুরো চা ছাড়া চলেই না। দিন অন্তত দু কাপ লাগেই। এবং কি যখন আমি আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম এবং কমেন্টস করেছিলাম তখনও আমার আমার চা খাচ্ছিল 😁। যাহোক আপু ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটি সব শেষে খাবার-দাবারের ছবিগুলো দেখে সব সময় আপনি এভাবে খাবার-দাবারের ছবি দেখিয়ে লাভ লাগিয়ে যান।
অনেক ধন্যবাদ দিদি।খুব ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে। তাহলে এক দিক থেকে আপনার আম্মুর সাথে আমার মিল আছে বলতে হবে।
চা আর কফি মধ্যে আমি কফি সামান্য পরিমাণে পান করি। তাও মাঝে মাঝে। চাও আমি মোটেও খাইনা। কিন্তু চা প্রেমিক আমি অনেক দেখেছি।
বিল্লোর আহমেদাবাদ চাইওয়ালা উনার সাফল্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। খুব ভালো লাগলো আপু সুন্দর কিছু মুহূর্তের মাঝে ভাগ করে নিলেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রথমত এই নামটি শুনে অবাক হলাম। নামটা কিন্তু অনেক সুন্দর। তাছাড়া বিশেষ কিছু কঠিন শব্দ ব্যবহার করেছেন আজকের লেখাগুলোতে। আর ফটোগ্রাফি তো আপনার সবসময় বেশি ভালো হয়। এখানকার চা এত মজা জেনে বেশ ভালো লাগলো। চায়ের ছবি উঠাতে ভুলে গিয়েছেন আমরা তো দেখতে পারলাম না। মুহূর্তটা বেশ ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ দিদি। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এমবিএ নামটা দেখেই ভেবেছিলাম নিশ্চয়ই কোনো একটা ইতিহাস আছে। এখন দেখছি এ বিশাল ইতিহাস। মি বিল্লোর কথাটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে অন্যের বার্গার বিক্রির চেয়ে নিজের কিছু বিক্রি করব। এককথায় অসাধারণ একটা মোটিভেশন। এবং ভেতরের অবস্থা খাবারের মান সবমিলিয়ে দারুণ একটা জায়গা। আমিও আপনার মতো চায়ের পাগল।।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আর এটা জেনেও ভালো লাগলো আপনিও আমার মত চা প্রেমী ।
ফাইনালি এমবিএ চা ওলাতে গেছো। খুব সুন্দর লাগছে দেখে ছবিগুলো। আমার যাবার খুব ইচ্ছা আছে। এখন অব্দি যায়নি।
এই স্তার্ট আপ টির ব্যাপারে শুনেছি খুব। ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখেছি, প্রফুল্ল ইঙ্কটকের মত প্রেস্টিজিয়াস প্লাটফর্মেও গিয়েছিল শুনেছি। আমি কোণদিন যায়নি এদের আউটলেটে , অনেক বন্ধুই গেছে, তাদের মুখে শুনেছি আম্বিয়েন্সটা দারুন। আর বিরাট ব্যাবসা করে এরা। সদ্য দুবাই তেও একটা আউটলেট খুলেছে। এইসব দেখে টেখে আমারও মনে হয় নিজের মত একটা শুরু করি এরকম ব্যাবসা। দেখা যাক আগামীতে পারি কিনা। বেশ লাগলো দেখে, ভালো থাকবেন খুব। আনন্দে থাকুন।