শীতের সকাল
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আজ আমি শীত ও নস্টালজিয়া নিয়ে আলোচনা করবো।
শীতের সকাল আর বাঙালির নস্টালজিয়া একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।শীতকাল বাঙালির জীবনে এক বিশেষ অধ্যায় যা শুধুমাত্র ঋতুর পরিবর্তন নয় বরং জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি, সংস্কৃতি ও আবেগকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে।
শীতের সকালে বাঙালির জীবন বেশ ধীরগতি ও আরামদায়ক হয়।ঘুম ভাঙে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে যখন চারপাশে শিশির ভেজা মাঠ আর কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস।শীতের সকালে খেজুরের রস আর তার সঙ্গে সদ্য বানানো পিঠেপুলি—এই জুটির কোনো তুলনা হয় না।গ্রামে শীতকাল মানেই পিঠেপুলির উৎসব।সকালের কুয়াশা কাটতে কাটতে যখন সূর্যের আলোর আঁচ লাগে,তখন মাটির গন্ধ আরাম দেয় মনকে।শীতের সকালে বাজারে টাটকা শীতকালীন সবজি, যেমন ফুলকপি, মুলো, শিম, আর টমেটোর দৃশ্যও বাঙালির নস্টালজিয়ার বড় অংশ।
যারা গ্রামে বড় হয়েছেন, তাদের শীতের সকালে মাঠে খেজুর গাছের রস সংগ্রহ, ঘরোয়া পিঠা বানানোর গল্প, আর বন্ধুদের সঙ্গে খেলার স্মৃতি চিরস্মরণীয়।শীতকাল মানেই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, স্কুলে পিকনিকের আয়োজন আর নতুন বইয়ের গন্ধ।আগেকার দিনে শীতের সকাল মানেই বাড়ির বড়দের সঙ্গে চৌকিতে বসে কম্বল মুড়ি দিয়ে গল্প শোনা।
শহুরে জীবনে শীতকাল একটু আলাদা।ছুটির দিনে লাল চা হাতে বারান্দায় বসে কুয়াশায় ঢাকা শহর দেখা এক অন্য রকম অনুভূতি।ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে ছোট বাগান আর উষ্ণ রোদ, কিংবা বিকেলে পার্কে হাঁটা—সবই স্মৃতির পাতা ভারী করে।
বাঙালি সংস্কৃতিতে শীতকাল মানেই বিভিন্ন উৎসব ও মেলা। পৌষ পার্বণ, নবান্ন, ও শীতকালীন বইমেলা এই ঋতুর বিশেষ অংশ। বিশেষত, গ্রামের মেলা বা পৌষ সংক্রান্তি বাঙালির জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
শীতের সকাল তাই শুধু একটি ঋতুর অংশ নয়, এটি বাঙালির অনুভূতির গভীর থেকে উঠে আসা এক নিঃশব্দ স্মৃতি যা বছরের পর বছর ধরে মনকে উষ্ণতা দেয়।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 4.634695043867972 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
আমাদের সঙ্গে শীতকালে কিন্তু পরীক্ষা শেষ হত না। আমাদের ফাইনাল পরীক্ষাও তো মার্চ মাসে। তাও শীতকাল মানেই একটা উৎসবের আমেজ। যদিও তা দূর্গা পুজো থেকে শুরু হতো, শীতকালের আমি একটা অন্যরকম। পিকনিক, বাগানে নতুন ফুল, কেক খাওয়া পিঠেপুলি মেলা ইত্যাদি। আরো কত স্মৃতি রয়েছে। খুব সুন্দর লিখেছেন শীতকাল সম্পর্কে।
শীতের সকাল নিয়ে বেশ দারুন একটি পোস্ট করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো দিদি ।শীতের সকাল মানেই আরামদায়ক ঘুম কুয়াশাচ্ছন্ন চার দিকটা শিশির ভেজা মাঠ কনকনে ঠান্ডা বাতাস। ঘরে ঘরে চলে পিঠা পুলি খাওয়ার উৎসব টাটকা শাক-সবজি ফল ও অপূর্ব কিছু ফুল যা মুগ্ধ করে সবাইকে।সত্যিই শীতকাল মানে অন্যরকম একটা অনুভূতি। ধন্যবাদ দিদি দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এক লেখাতেই দুই জীবনের দারুণ বর্ণনা দিয়েছেন দিদিভাই। বিশেষ করে শহরের থেকে গ্রামের জীবনটাকে শীতকালে বেশি উপভোগ করা যায় । ভালো লাগলো দিদি ভাই লেখাটা।
শীতের সকালে আসলেই খুব ভালো ঘুম হয়। আর ঘুম থেকে একেবারেই উঠতে ইচ্ছে করে না। তবে ঘুম থেকে উঠে যদি শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে, তারপর খেজুরের রস খাওয়া যায়, তাহলে মনটা আনন্দে ভরে যায়। যাইহোক গ্রামের শীতকাল এবং শহরের শীতকালের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। গ্রামের শীতকালটা দারুণভাবে উপভোগ করা যায়। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।