পুজোর মার্কেটিং এর কিছু মুহুর্ত। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে পুজোর মার্কেটিং এর কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের জন্য আর কিছুদিনের অপেক্ষা। আর এই উৎসব উপলক্ষ্যে মানুষ কেনাকাটি দু মাস আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে। পুজোর এক মাস আগে থেকেই তো কলকাতার মার্কেটগুলোতে পা ফেলা দায় হয়ে যায় । আর করোনার দু'বছর পরে এই প্রথম পুজো যেখানে সবাই একটু স্বাভাবিক নিয়মে এসেছে তাই বুঝতেই পারছেন যে কত ভিড় হতে পারে এই পুজোয়।যাই হোক কিছুদিন আগেই আমার বিএড ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে ,তাই আর একটা দিন ও অপেক্ষা না করেই পুজোর কেনাকাটি করতে গেলাম @blacks আর @tanuja দির সাথে ।এই বছর ব্ল্যাকস এর সাথে আমার প্রথম পুজো কাটানো । তাই ওর ইচ্ছে অষ্টমীর দিনকে ওর দেওয়া শাড়ি পড়েই যেন আমি অঞ্জলি দিই। তাই শাড়ি কিনতে গেলাম সেই দিনকে।আমাদের এই কলকাতার সব থেকে বড় শাড়ির মল আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল ,সেখানেই শাড়ি কিনতে গেলাম। এটি এমন একটি মল যেখানে সমস্ত ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়। যেহেতু সন্ধ্যা হলেই দোকানগুলোতে ভিড় বেড়ে যায় তাই জন্য আমরা বিকেল বিকেল বেরিয়ে ছিলাম। আর এই বছর ব্ল্যাকসের ও এই প্রথমবার আমাদের সাথে বলতে গেলে মেয়েদের সাথে শপিং করতে যাওয়া😜।
সাড়ে ছটার মধ্যেই শাড়ির মলে পৌঁছে গেলাম ।যাইহোক আমি কিন্তু সত্যি কথা বলতে শপিং করতে খুব একটা টাইম নিই না, যেটা পছন্দ হয় সেটাই কিনে ফেলি কোনো কনফিউশন থাকেনা ।তাই আমার কোনো কিছুই কেনাকাটি করতে খুব একটা দেরি হয় না । আর আমারও দিভাইয়ের সাথে এই প্রথম কেনাকাটি ছিল ,দিভাই ও এদিক থেকে আমার মতো দেখলাম । তাই আমাদের দুজনেরই মোটামুটি আধ ঘন্টার মধ্যে শাড়ি পছন্দ হয়ে গেল। পূজো উপলক্ষ্যে দিদি পাঁচটা শাড়ি কিনলো। আর আমি তিনটে শাড়ি কিনলাম। মোট আটটা শাড়ি কিনে সাতটার মধ্যে ওখান থেকে বেরিয়ে গেলাম।
কেনাকাটির পর খাওয়া-দাওয়া তো করতেই হবে তাই জন্য আমরা হাতিবাগান করিমস এ ঢুকলাম। এই করিমস কিন্তু মটন বিরিয়ানির জন্য ভীষণভাবে বিখ্যাত। এই করিমস এর মেইন ব্রাঞ্চ দিল্লিতে তারই একটি শাখা হাতিবাগানে যেখানে আমরা গিয়েছিলাম ।ওখানে গিয়ে সবার প্রথমে যার যার পছন্দের খাবার অর্ডার করলাম। সবার প্রথমেই টিনটিন কি খাবে জিজ্ঞাসা করতেই কোল্ডড্রিংকস খাবে বলে চিৎকার করতে লাগলো😜। তারপর ওকে কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে শান্ত করে নিজের নিজের পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার করলাম। সবার প্রথমে ব্ল্যাকস এর সবচেয়ে ফেভারিট চিকেন তান্দুরি সেটা অর্ডার করলাম ।তারপর আমি আর দিভাই বাসন্তী পোলাও, মাটন কষা, তার সাথে লাচ্ছা পরোটা নিলাম। সবশেষে ভার্জিন মজিটো নিলাম।
সেদিন যেহেতু দাদা যায়নি তাই দাদার জন্য চিকেন টেংরি কাবাব আর শিক কাবাব পার্সেল নিয়ে ছিলাম। প্রত্যেকটি খাবারের টেস্ট খুব ভালো ছিল শুধু একটাই জিনিস একটু মোটামুটি লেগেছে সেটা হল প্রত্যেকটা খাবার খুব মিষ্টি মিষ্টি ছিল তাছাড়া সব ঠিকঠাকই ছিল। এইভাবে খুব সুন্দর ভাবে সন্ধ্যেটা কাটিয়ে বাড়ি চলে এলাম।
কলিকাতার সবচেয়ে বড় শাড়ির মল মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল। এটা জেনে আমার খুবই ভালো লাগলো নতুন একটি তথ্য পেলাম। আর ব্লাক সাগার মতামত অনুসারে আপনি যে নতুন শাড়ি পরে পূজার ওই কার্যক্রমটা করলেন এটা জেনেও ভালো লাগলো। আসলে প্রিয়জনের ইচ্ছা পূরণ করার মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা রয়েছে।
আসলে বাঙালির বড়ো উৎসব বলে কথা ভিড় তো লাগবেই।তবে আপনার মত আমার সভাব ও কিছুটা একই।কোনোকিছু কিনতে খুব একটা সময় নেই না।যাইহোক এবারের পুজো দাদার সাথে খুব সুন্দর হোক এই আশা করি।
যাক ব্ল্যাকস দাদাকে তাহলে আর বেশি ঘোরা লাগেনি আপনাদের পেছনে খুব দ্রুতই শাড়ি পছন্দ করে ফেলেছেন হি হি। ঠিকই বলেছেন দিদি করোনার দুবছর পর এবং ভালোমতো পুজো হচ্ছে এজন্য সবাই অনেক উচ্ছসিত। নিজেরা রেস্টুরেন্টে খেলেন এবং দাদার জন্য নিয়ে পার্সেল নিয়ে গেলেন বাহ বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা।।
করোনার পর এইবার সবাই পুজোর সময় একটু আনন্দ করবে জন্যই আগে থেকে কেনাকাটা শেষকরছে। এজন্যই হয়তো এতো ভিড়। দাদাকে এখন থেকেই শপিংয়ে অভ্যস্ত করে নিচ্ছেন । তাছাড়া মাত্র ৩০ মিনিটে আটটা শাড়ি পছন্দ করে ফেলেছেন। আসলেই সময় নেননি শাড়িগুলো কিনতে। আর শপিং মানেই তো খাওয়া দাওয়া। শপিং শেষে বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখছি। ভালোই সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনাদের পূজার জন্য।
উৎসব এলেই কেনাকাটার জন্য ধুম পড়ে যায়। আর পূজো মানেই তো আরো কেনাকাটা। কারণ পূজো অনেক বড় একটি উৎসব আর আপনারা শাড়ি কিনলে। আসলে আধা ঘন্টার মধ্যে শাড়ি কেনাকাটা হয়ে গেছে। শাড়িতে অনেক সুন্দর লাগবে আশা করছি। অনেক আনন্দময় মুহূর্ত পার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
শাড়িগুলো দারুণ তবে এটা পড়ে বেশ অবাক হলাম যে এতো জলদি কারো কেনাকাটা শেষ হতে পারে।সত্যিই অবিশ্বাস্য লাগলো আমার কাছে।
যেটা কিনবো সেটা গিয়ে বললাম তাই তাড়াতাড়ি হয়ে গেছিলো। তার মধ্যে টিনটিন কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল😐।
সত্যিই দিদি পূজার এক থেকে দেড় মাস আগে থেকেই শপিংমলগুলোতে প্রচুর ভিড় থাকে।সবথেকে বড়ো উৎসব বলে কথা।তাছাড়া খুবই কম সময়ে সুন্দর সুন্দর শাড়ি কিনে ফেলেছেন দিদি দেখে ভালো লাগলো।শপিং করে খাওয়া দাওয়া না হলে ঠিক জমে না।দাদার জন্য পার্সেল করে খাবার নিয়ে ভালো করেছেন।শাড়ীগুলি ও সুন্দর দিদি।
মা দুর্গার উৎসব মানেই আনন্দ, হইহুল্লর পরিবারের কেনাকাটা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হবে শারদীয়া উৎসব। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মার্কেটে কেনাকাটা এটিও একটি বিশাল আনন্দ। @blacks আর @tanuja দিদি ও টিন টিন বাবুসহ মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটার মুহূর্তগুলো বেশ ভালই উপভোগ করেছেন। আপনাদের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
দুজনকে একসঙ্গে দেখে বেশ ভালো লাগলো । তাছাড়াও দিদি আগে যখন আকাশ বাংলা চ্যানেল দেখতাম টিভিতে তখন এই শাড়ির মার্কেটের নাম বহুবার শুনেছি ।
আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল হয়তো তাদের সেই সময় ভারতীয় বাংলা টিভি চ্যানেল গুলোর সঙ্গে হয়তো তাদের স্পন্সরশীপ ছিল । যাইহোক আপনাদের দুজনের শাড়ি গুলো কিন্তু সুন্দর হয়েছে দিদি ।
অনেক ধন্যবাদ দাদা ❤️।