বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
আজ আমি যে ফ্রেন্ডের কথা বলবো সে যে আমার কাছে শুধু বন্ধু ঠিক সেরকম নয়। বন্ধুর থেকেও বেশি কিছু। আমাদের কলেজে আলাপ কিন্তু কলেজে আলাপ হলেও মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের রক্তের কেউ । আমি যখন কলেজে বাংলা অনার্স নিয়ে পড়ছি আমার এই বান্ধবীর সাথে আলাপ হয় ।আমাদের মর্নিং কলেজ ছিল তো সেখান থেকেই আমার আলাপ। সত্যি কথা বলতে খুব একটা বন্ধু বান্ধব আমার নেই আর থাকলেও তার সংখ্যা খুবই কম ।যখন আমার এই বান্ধবীর সাথে দেখা হয় প্রথম দিন থেকেই আমাকে এতটা আগলে রাখতো যেন মনে হতো খুব নিজের কেউ না হলে এভাবে কেউ কাউকে আগলে রাখতে পারেনা । আমার যেহেতু সকালে কলেজ ছিল সেহেতু আমার ঘুম থেকে উঠতে ভীষণ কষ্ট হতো কারণ আমি সারারাত জেগে থাকতে পারলেও সকালে ওঠা আমার পক্ষে ভীষণ কষ্টের ছিল ।তাই আমার এই বান্ধবী সকালে উঠে সবার আগে আমাকে ডেকে দিত। তারপর কলেজে কোন গুরুত্বপূর্ণ নোটস তৈরি করা থেকে শুরু করে পরীক্ষার আগে সাজেশন তৈরি করা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু সেই করে দিতো। আমি সত্যি খুব লাকি ছিলাম এই রকম একজন বান্ধবী পেয়ে।
এই বান্ধবী আমার থেকে তিন বছরের বড় । আর ও বিবাহিত ।ওর শ্বশুরবাড়ি ভীষণ ভালো , বিশেষ করে তার হাজবেন্ড তাকে সমস্ত কিছুতে সাপোর্ট করতো আমার সেটা ভীষণ ভালো লাগতো । আমাদের মধ্যে কথার শুরু হয় বাবু বলা দিয়ে কেউ কাউকে নাম ধরে ডাকতে পারিনা, আর আমাদের মধ্যে এমন কোনো কথা নেই ,যেটা আমরা শেয়ার করি না। যাই ঘটনা ঘটে যাই হয় আমাদের মধ্যে সবার আগে আমি ওকে ফোন করে বলি বা ওর জীবনে যা হয় ও আমাকে ফোন করে বলে। আজও এমনটাই হয়ে চলেছে। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক মোটামুটি আট বছর হতে চললো ।আমি চাই সারা জীবন আমাদের এমনই বন্ধুত্ব থাকুক।
আজ অনেকদিন পর সেই বান্ধবীর সাথে ঘুরতে বেরোলাম। বেরিয়েই সবার আগে শপিং করতে গেলাম।আমাদের ঘুরতে বেরোনো মানেই প্রচুর আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়া। আর খাওয়া-দাওয়ার থেকে বেশি হচ্ছে গল্প করা ।একবার দেখা হলে আমাদের গল্প শেষ হতে চায় না। যাইহোক আমরা প্রথমে হাতিবাগানে দেখা করে কিছু কেনাকাটা করে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে ছিলাম ।খুব সুন্দর ছিল রেস্ট্রুরেন্ট এর ডেকোরেশনটা ।টায়ার দিয়ে বসার সিট গুলো তৈরি ছিল। আমরা প্রথমে ঢুকেই ফিস ফ্রাই আর মোমো নিয়েছিলাম ।
অনেকক্ষণ গল্প করার পর আমাদের কারোরই খুব একটা সময়ের দিকে খেয়াল ছিলো না ।খাওয়া-দাওয়া শেষ আবার কবে দেখা হবে সেই প্ল্যান করে বেড়িয়ে গেলাম ।বেরিয়েই ও একটা কোলড্রিংস নিল। একসাথে খেলাম। কিছু সেলফি তুললাম । তারপর ওকে মেট্রোতে তুলে দিয়ে আমি বাড়ি চলে এলাম ।
যাই হোক খুব সুন্দর একটা দিন কাটালাম আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে।
বান্ধবীর সাথে গল্প করলে আমারও একই অবস্থা হয়। দুজনকে দেখতে বেশ মিষ্টি লাগছে।
আপু আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে ।আর আপনার বন্ধুটি দেখতে বেশ কিউট। আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে ।খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দুজন । আসলে বাস্তবে এরকম বন্ধু পেলে সত্যিই জীবনটা ধন্য হয়ে যায়। এদিক থেকে আপনি খুবই লাকি এত ভালো একজন বন্ধু পেয়েছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে আপনার সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আসলে বেস্ট ফ্রেন্ড যখন কাছে আছে তখন খারাপ সময় গুলো অটোমেটিক ভালো হয়ে যায়। বেস্ট ফ্রেন্ড ঘন্টার মধ্যেই আরেকটা জাদু কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এর সাথে খুব ভাল সময় কাটিয়েছন। বেস্ট ফ্রেন্ড সাথে থাকলে সময় এমনি তেও ভালো কাটে। আপনারা দুই জনেই অনেক সুন্দর 😊। আপনাদের সময়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি
বেস্ট ফ্রেন্ড মানেই অর্ধেক জীবন।তাকে ছাড়া কিছুই চলে না এমন অবস্থা। আপনাদের বন্ধুত্ব সারাজীবন থাকুক সেই দোয়াই শুধু করবো
আপু দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করেছেন। আসলেই বান্ধবী ছোট হোক বড় হোক মনের মিলেই আসলো।ভালো বান্ধবী হতে রক্তের সম্পর্ক লাগে না।আট বছরের সম্পর্ক মানেই অনেক দিনের। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড আপনার থেকে তিন বছরের বড় হলেও আপনারা খুবই ক্লোজ। আপনারা সকল কথা শেয়ার করে থাকেন। এ বিষয়টি খুবই ভালো লাগলো। আসলে বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে সকল কিছু শেয়ার করা যায়। যাইহোক আপনার নাম ধরে ডাকে না, বাবু বলে ডাকেন বিষয়টি আরো ভালো লাগলো। আপনাদের সারা জীবন যেন এই ভালোবাসার বন্ধন থাকে এই দোয়া রইল।