বর্তির বিলে ঘোরার কিছু ছবি।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে বর্তির বিলে ঘোরার কিছু ছবি ভাগ করে নিলাম।


বেশ কয়েক মাস আগে আমি বর্তির বিল ঘুরতে গিয়েছিলাম ।আমি যেহেতু কলকাতায় থাকি সেহেতু গ্রামের পরিবেশ আমাকে খুব টানে। ওখানকার রাস্তাঘাট বাড়িঘর, মানুষজন, তাদের আদব-কায়দা অনেক আলাদা। বলতে গেলে আমার কাছে খুব সুন্দর লাগে সেই সব গুলো। কলকাতা শহর থেকে এখন দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। বহুতলের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে গাছপালা। যেহেতু এখন আর সেই গাছপালায় মোড়া পরিবেশ দেখা হয়ে ওঠে না সেহেতু সেরকম জায়গা খুঁজতেই শহর থেকে একটু দূরে ঘুরতে যাই মাঝে মাঝে।


WhatsApp Image 2022-08-28 at 11.49.11 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-08-28 at 11.49.10 PM.jpeg

আর এই বর্তির বিল জায়গাটি আমি ফেসবুকের মাধ্যমেই জেনেছিলাম আজ থেকে দু'বছর আগে। এখনো পর্যন্ত এই জায়গায় আমি চার থেকে পাঁচবার গিয়েছি। আমার বাড়ি থেকে জায়গাটি যেতে দুই ঘন্টা মতো লাগে। তাই সেভাবে যাওয়া না হয়ে উঠলেও যতবারই গিয়েছি ততবারই আমার খুব ভালো লেগেছে। সত্যি কথা বলতে আমার মন ভালো করার মতো এই জায়গাটি।যখন আমার প্রথম ব্ল্যাকসের সাথে পরিচয় হয় তখন আমি ওর পোস্টে অনেকবার গ্রামের নানা জায়গা দেখেছি। ভীষণ ভালো লাগতো ।তাই ওকে প্রায়ই বলতাম যে ওই জায়গাগুলোতে ঘুরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। সত্যি কথা বলতে ওর ও গ্রামের জায়গা ভীষণ পছন্দের তাই এখন মাঝে মাঝেই ওর সাথে সেই সকল জায়গাগুলোতে যাই।

WhatsApp Image 2022-08-28 at 11.49.08 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-08-28 at 11.49.07 PM (1).jpeg



WhatsApp Image 2022-08-28 at 11.49.12 PM.jpeg


WhatsApp Image 2022-08-28 at 11.49.09 PM.jpeg


আসলে এই বর্তির বিলে আমার প্রথম যাওয়া করোনাকালীন সময়ে।কারোনার প্রথম ঢেউয়ের পর দীর্ঘ সময়ের ঘরবন্ধি দশা কাটিয়ে সবাই একটু মুক্ত বাতাসের খোঁজ করছে।হঠাৎ করেই এই বর্তি বিলের কথা বেশ ছড়িয়ে পড়ে আর হ্যাঁ অবশ্যই এটা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে।সামাজিক মাধ্যমের এই কাজটা বিশাল শক্তিশালী দিক।পারস্পরিক সংযোগ স্থাপনে এর তুলনা প্রশ্নাতীত।যাই হোক বর্ষার মোটামুটি শেষের দিকে আমার প্রথম এই জায়গায় যাওয়া।পরবর্তীতে শীতের দিনে ও গিয়েছিলাম এবং এবারের দোলের সময় ও একবার গিয়েছিলাম এই জায়গাটিতে।একটু আগেই বললাম যে যতবারই গিয়েছি প্রত্যেকবার আমার খুব সুন্দর লেগেছে।বিশেষ করে এই জলাভূমি আর নৌকা।

WhatsApp Image 2022-08-29 at 12.16.51 AM.jpeg

WhatsApp Image 2022-08-28 at 11.49.07 PM.jpeg


এই অঞ্চলের পরিবেশের মতোই মানুষ গুলো অনেক বেশি মুক্তমনা।শহরের কোলাহলকে পিছনে ফেলে এই সবুজে ঘেরা শান্ত নির্মল পরিবেশ খুবই ভালো লাগে।শীতকালে এখানে সর্ষে ফুলের অপূর্ব মেলা বসে।আসছে শীতকালে যাওয়ার একটা ইচ্ছে রইলো।

ধন্যবাদ

Sort:  
 2 years ago 

আপু, এরকম সবুজ ঘেরা এবং মনোরম পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে পরিবেশটি আসলেই অনেক সুন্দর।বর্তির বিলে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দঘন মুহূর্তটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

সরষে ফুলের ছবি দেখে মনটা খুশিতে ভরে গেলো। আসলে এই ফুলের ছবি দেখে গ্রামের কথা মনে পড়ে গেলো। আর সত্যি বলতে বাকি ছবিগুলোও অনেক সুন্দর ছিলো। আমার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য অনেক ভালো লাগে।

 2 years ago 

সত্যিই মন ভালো করার মতোই একটা জায়গা, ঠিকই বলেছেন। জায়গাটি একবার গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না, এমনই সুন্দর জায়গা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর। ধন্যবাদ মনমুগ্ধকর কিছু ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

শহরের ইট পাথর ভীড়ের মধ্যে থাকতে থাকতে যে কেউ হাফিয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার যে গ্রামের পরিবেশ গ্রামের মানুষের সরলতা ভালো লাগে এটা শুনে ভালো লাগে। বর্তির বিলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করেছেন। অনেকদিন পর সরিষা খেত দেখলাম।

 2 years ago 

এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে ২ বছর আগে একটি জায়গার নাম জেনেছিলেন আর সেখানে যাওয়া মাত্রই খুঁজে বের করে ফেলেছেন আপনি অনেক বেশি চালাক চতুর হাহাহা। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি ভালো ছিল খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

গ্রামীন পরিবেশ আমার কাছেও দারুণ লাগে, তাইতো শহর ছেড়ে গ্রামীন পরিবেশে চলে গেছি। বর্তির বিলতো তাহলে খুব বেশী দূরে না আপনার বাসা হতে আর এই কারনেই বোধহয় এতোবার গিয়েছেন। ব্ল্যাক দাদার পোষ্টের মাধ্যমে এর আগে জেনেছিলাম এই বিলের সম্পর্কে। নৌকার ফটোগ্রাফি দারুণ লেগেছে আমার কাছে। তবে হ্যা, শীতকালে গ্রামের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

 2 years ago 
খুবই ভালো লাগলো দিদি বর্তির বিলে ঘুরতে যাওয়ার ফাঁকে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আপনার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে। মনটা জুড়িয়ে গেল। প্রতিটি ফটোগ্রাফি মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে যাওয়া আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি,প্রকৃতির এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
 2 years ago (edited)

জায়গাটা দেখে বোঝা যাচ্ছে দেখতে অনেক সুন্দর। বিশেষ করে সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি হলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য

 2 years ago 

গ্রামের পরিবেশ ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে যে বর্তির বিলের দৃশ্যগুলো আপনি দেখালেন নীলফামারীতে এরকমই একটি পদ্মব বিল রয়েছে। যেখানে পদ্ম হয় এবং প্রচুর মানুষ সেই পদ্মবিল ঘুরতে আসে তবে। গ্রামের প্রত্যেকটি জায়গায় আমার কাছে অসাধারণ লাগে, গ্রামের পরিবেশ, গ্রামের মানুষজন, গ্রামের খাবার। আপনি গ্রামে অনেক চমৎকার সময় কাটিয়েছেন দিদি।

 2 years ago 

দিদি আমিও বর্তির বিল সম্পর্কে ছোট দাদার পোস্টের মাধ্যমেই জেনে ছিলাম এবং কিছুদিন আগে দাদা সেখানে গিয়েছিল কিন্তু তার সহযাত্রী যে আপনি ছিলেন তা আজ পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল দুজনার জন্যই।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 66028.29
ETH 2694.36
USDT 1.00
SBD 2.89