চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সর্বশেষ পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আগের পর্বে আমি জগদ্ধাত্রী পুজোর দুটো প্যান্ডেল আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে লাস্ট একটা জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডেলের ছবি ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের খুব ভালো লাগবে।
আমরা মানকুন্ডু সার্কাস মাঠের পুজো দেখে তার পাশে নতুন পাড়ার জগধাত্রী কমিটির পুজো দেখার জন্য গিয়েছিলাম। এইবারের পুজো ৪৮ বছরে পদার্পণ করেছিল। এখানকার পূজা মন্ডপ দেখার মত ছিল ।এই পূজা মন্ডপে যখন আমরা ঢুকেছিলাম ঢোকার সাথে সাথে সাঁওতালি গান দিয়েই মণ্ডপের প্রবেশদ্বার শুরু হয়েছিল । পুরুলিয়ার আদিবাসী সম্প্রদায়কে পুরোপুরিভাবে ফুটিয়ে তুলেছে এখানকার পূজা কমিটির উদ্যোক্তারা । পুরো মন্ডপটি ছৌ নাচের মুখোশের মূর্তি দিয়ে সাজানো ছিল । তেমনই মন্ডপের ভিতরে মাতৃ প্রতিমাও ভীষণ সুন্দর ছিল।এখানকার পুজোর থিমের নাম হল ছৌ নহে সামান্যা অনন্যা।
এমনকি এই পুজো মন্ডপটি পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে মন্ডপ নির্মাণে যে সকল সামগ্রী ব্যবহার করেছে তা সম্পূর্ণরূপে পরিবেশ বান্ধব যেমন ভুট্টার খোসা, তাল পাতা, খেজুর গাছের ছাল, নারকেলের ছোবড়া,বেনা গাছ, গাছের শুকনো ডাল তেতুলের আঁশ , খড় ইত্যাদি।
যেহেতু আমরা অষ্টমীর দিন গিয়ে lছিলাম তাই প্রচুর ভিড় ছিল ,আর এই মন্ডপটা ভীষণ ভীষণ সুন্দর হয়েছিল। তো এক মিনিটও দাঁড়িয়ে ছবি তোলার মতো জায়গা পাচ্ছিলাম না। কিন্তু সব মিলিয়ে যতটুকু দেখেছি ততটুকুর মধ্যে আমার কাছে এই মণ্ডপটি খুবই ভালো লেগেছে।চন্দননগরে গিয়েছি আর সেখানে আলোকসজ্জার ছবি দেবো না তা তো হয়না । চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো যতটা মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ততটাই আকর্ষণীয় এখানকার লাইটিং ।
তাই কিছু কিছু ওখানকার লাইটিং এর ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম ।
এই সমস্ত ঠাকুর দেখতে দেখতে আমাদের সাড়ে সাতটা বেজে গিয়েছিল ।আর আর ততক্ষণে ভিড়ও অনেক বেড়ে করে দিয়েছিল।তাই যখন আমরা বাড়ির দিকে আসছিলাম তখন যে মন্ডপগুলোতে আমরা ১০-১৫ মিনিটের সময় থেকে বেশি থাকিনি সেই মন্ডপগুলোতেই এক দু'ঘণ্টার মধ্যে এমন লাইন পড়ে গেছিল যে আমরা যদি দেরি করে আসতাম বা সন্ধ্যার সময় আসতাম তাহলে হয়তো এক দু ঘন্টা লাইন দিতে হতো। যাই হোক আমরা খুব ভালো টাইমে বেরিয়ে গিয়েছিলাম এবং আমাদের চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর দেখার ইচ্ছেটাও সেদিন পূরণ হয়েছিল। আমরা সেদিন ভীষণ আনন্দ করেছিলাম । আর এখানেই জগদ্ধাত্রী পূজার পর্ব শেষ করলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সর্বশেষ পর্বে ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। ডেকোরেশন ছিল খুবই সুন্দর। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে এ ধরনের ডেকোরেশন দেখতে পাওয়া খুবই দুর্লভ একটি বিষয়। অনেক চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন সেই সাথে অনেক চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন দিদি।
দিদি কেমন আছেন আপনি, আশাকরি ভাল আছেন
আপনি চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পূজোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, খুব সুন্দর লাগছে দেখতে।এখানকার ডেকোরেশন ও দারুন ছিল।পূজোর বিবরন আর ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।