খাদ্য মেলায় গিয়েও খাবার না খাওয়ার গল্প🤭
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন। আজ আমি ''নালে ঝোলে'' খাদ্য মেলার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
শীতকালে কলকাতায় খাদ্য মেলা কোথাও না কোথাও হয়ে চলেছে । আজ নিউটাউনে খাদ্য মেলা শেষ হচ্ছে তো কাল দমদমে খাদ্য মেলা শুরু হচ্ছে ।এরকমভাবে জায়গায় জায়গায় খাদ্য মেলা হচ্ছে ।আর খাদ্য মেলা হচ্ছে সেখানে আমি যাব না,সেটা সম্ভব নয় কারণ খাদ্য মেলায় যেতে এবং খেতে দুটোই আমার খুবই ভালো লাগে। এবং সব থেকে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে নতুন নতুন খাবার ট্রাই করতে ।তো অত প্রকার খাবার তো কখন ও খাওয়া সম্ভব নয় ,তাই যে সকল খাবারগুলো আগে কখনো খাইনি বা খেয়েছি হয়তো সেই খাবারগুলো সেখানে হয়তো জনপ্রিয় খাবার ,আমি সেই খাবার গুলোই বরাবর খাবার চেষ্টা করি কারণ রোজকার খাবার খাওয়ার কোনো মানেই হয় না। যাই হোক আমাদের এখানে অর্থাৎ দমদমে ১৭ থেকে ২৬ শে জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যমেলা হয়ে ছিল ।মেলাটি আমার বাড়ির খুবই কাছে ,সকলেই প্রায় এই মেলায় যাওয়ার জন্য বলছিল ।কিন্তু এই মেলায় যাবো যাবো করে আর যাওয়া হয়ে উঠছিল না। আমি এই মেলাতে প্রত্যেক বছরই আসি। তাই এই বছরও বাদ দিইনি।আর এই বছর খাদ্য মেলাতে গিয়েছিলাম ব্ল্যাকসের সাথে। সে এক গল্প। আপনাদের সাথে সেটাই আজ ভাগ করে নিচ্ছি।
এই খাদ্য মেলায় গিয়েছিলাম আমি শুক্রবার অর্থাৎ ২০ তারিখ। সেই দিন কোনো প্ল্যান ছাড়াই মেলায় গিয়েছিলাম ।কারণ ব্ল্যাকস এর সেদিন কলেজ ছিল । কলেজ থেকে ফেরার পথে ও প্রত্যেকবারই আমার সাথে দেখা করে তারপরই বাড়ি যায়।তো সেই দিনও তাই , আমার সাথে দেখা করার পরেই বলছে যে তার খিদে পেয়েছে ।তাই ভাবলাম যে খাদ্য মেলায় গেলে কেমন হয় মেলায় গেলে ভালো ও লাগবে , আবার খাওয়া ও হয়ে যাবে ।তো যেই ভাবা সেই কাজ।সবার প্রথমে আমরা খাদ্য মেলায় গেলাম ,যাওয়ার আগে ভীষণ উৎসাহী ছিলাম দুজনে ,বিশেষ করে আমি। তাছাড়া এই বছর ওর প্রথমবার খাদ্য মেলায় যাওয়া ।আমি আগেই বলে নিচ্ছি এই খাদ্য মেলা যে মাঠে হয় সেই মাঠটা খুবই ছোটো ।কিন্তু এই রকম ছোটো মাঠের মধ্যেই অনেকগুলো স্টল বসেছে। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ টা মতন। বড় স্টল বলতে আর্সলান থেকে শুরু করে দাদা বৌদির বিরিয়ানি ।তাছাড়া ও স্টলের কিছু ছবি সেগুলো আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি ।এবার আসি মূল কথায় আমরা ওই দিন মেলায় ঢোকার সাথে সাথে দেখছিলাম যে প্রচুর ভিড়। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম যে ব্ল্যাকসের খুব একটা পছন্দ হচ্ছে না। তবুও একপ্রকার মেলায় যখন ঢুকলাম ঢুকে দেখছি মেলার মাঠ যতটা না বড় তার চেয়ে বেশি হলো লোক সংখ্যা । তাহলে বুঝতে পারছেন কি পরিমান ভিড় রয়েছে, এই জন্যই কথায় আছে বাঙালি হচ্ছে ভোজন রসিক মানুষ। আর এটা একদমই প্রমাণিত ।যথারীতি আমি গিয়ে বুঝতেই পারছিলাম না গিয়ে যে কোন স্টল থেকে খাবার নেবো কারণ ১০ থেকে ১৫ জন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক একটা স্টল এ। এরকম প্রত্যেকটি স্টল জুড়েই রয়েছে তার মধ্যে দু তিনটি স্টল ফাঁকা ছিল ।কিন্তু দু তিনটে স্টল থেকে আমাদের খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। তার মধ্যে ব্ল্যাকস চুপ করে গেছে । প্রথমত ওর একেবারেই ভিড় পছন্দ নয় । অত ভিড় দেখে মুখ শুকিয়ে গেছে। শুধু আমি যখন ওকে বললাম যে কি খাবে বলো তো ওর উত্তর শুনে বুঝতে পারলাম যে এই ভিড়ের মধ্যে ওর হাজার খিদে পেলেও খাবে না। তাই বাধ্য হয়ে বেরিয়ে গেলাম আমার ইচ্ছে ইচ্ছেই রয়ে গেলো। যাই হোক পরবর্তীতে অন্য কোনো খাদ্য মেলায় যাব। কিন্তু সেই দিনের খাদ্য মেলায় যাওয়ার ইচ্ছে পূর্ণ হলেও খাওয়ার ইচ্ছা আর পূরণ হলো না।
তারপর ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা দমদমেরই একটি খুব ভালো রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম এই রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে দাড়াও পথিকবর। এক কথায় রেস্টুরেন্ট এর অ্যাম্বিয়েন্স যতটা ভালো খাবারের মান ও ততটা ভালো ।এখানকার প্রত্যেকটা স্টাফেদের ব্যবহার ও খুব ভালো তার সাথে খাবার ও তাড়াতাড়ি সার্ভ করে দেয় ।সেই হিসেবে আমরা এখানে ঢুকে কিছুক্ষণ বসেই চিকেন তান্দুরি ,চিকেন সুপ ,আর ফিস ফ্রাই অর্ডার দিলাম । তারাতারি খাবার ও চলে এসেছিল। এই হল আমাদের সেদিন খাদ্য মেলায় গিয়েও খাবার না খেয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার গল্প।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
অন্য খাদ্যমেলায় গিয়ে খাবো ঠিক আছে?
দাদা আমাদের সবাইকে নিয়ে যাইয়েন 😉😉।
না কিছু ঠিক নেই 🤭
আমাদের এখানে কখনো খাদ্য মেলা হয়নি। তাই সেই অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। বাঙালিরা খাবার খেতে পছন্দ করে। আর ভোজন রসিক বাঙালিরা যখন সুযোগ পেয়েছে মেলায় যাওয়ার তাই তো ভিড়ের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গেছে। এত ভিড়ের কারণেই হয়তো বাধ্য হয়ে আপনাদেরকে রেস্টুরেন্টে খেতে হয়েছে। যাই হোক মাঝে মাঝে প্রিয় মানুষটির জন্য কিছু কিছু ইচ্ছা অপূর্ণই রাখতে হয়। হয়তো আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার অপূর্ণ ইচ্ছা কোন একদিন আবারও পূর্ণ করবে। সেই সুযোগে আবারো অন্য কোন খাদ্য মেলায় যাওয়া হবে দিদি।
😍😍😍😍
যাই হোক মাঝে মাঝে প্রিয় মানুষটির জন্য কিছু কিছু ইচ্ছা অপূর্ণই রাখতে হয়।হয়তো আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার অপূর্ণ ইচ্ছা কোন একদিন আবারও পূর্ণ করবে।
আসলেই বাঙালি বলতেই ভোজনরসিক। আপু আমি কয়েকদিন ঝাউভাত খেতে খেতে অস্থির হয়ে গিয়েছি,এখন খাবারের ছবি দেখলে আর খাবারের কথা শুনলে খেতে ইচ্ছে করে। যাই হোক মেলায় যেয়ে মানুষের ভীরে খেতে পারেননি তাই অন্য একটি
রেস্টুরেন্টে খেয়েছেন।তবে আমার কাছে রেস্টুরেন্টের নামটা বেশ ভালো লেগেছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনি কেমন আছেন এখন ?
বাসায় ফিরেছি আপু হাসপাতাল থেকে ২ দিন আগে।কিছুটা ভালো আছি।
এটা ঠিক ই বলেছেন বাঙালী মানে ভোজনরসিক।আমাদের এখানে খাদ্য মেলা নামে কোন মেলা হয়না আসলে। আপনারা ভীড়ের কারনে সেখানে খেতে পারেননি। কিন্তু রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব মজার খাবার খেয়েছেন। ফটোগ্রাফি দেখে খেতে ইচ্ছে হলো দিদি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনুভূতি গুলো সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন বেশ ভাল লাগলো।
আমাদের এদিকে এ রকমের কোন মেলায় হয় না। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে খাদ্য মেলার বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম। আসলে আপনার ইচ্ছা থাকলে কি হবে এত ভিড়ের মধ্যে কি আর খাওয়া যায়। তাইতো দাদা আপনার কথা ভেবেই আপনাকে রেস্টৃরেন্টে নিয়ে গেল। হয়তো জীবনে কোন একদিন যখন মেলায় ভীড় কম থাকবে তখন আপনার অপূর্ণ ইচ্ছা গুলো পূর্ণ হয়ে যাবে।
তাইতো দাদা আপনার কথা ভেবেই আপনাকে রেস্টৃরেন্টে নিয়ে গেল।