আমতলা কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার কিছু মুহূর্ত
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আমতলা কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে মানে ব্ল্যাক্সের জন্মদিন উপলক্ষে আমি সকালবেলা ঠিক করেছিলাম মন্দিরে পুজো দিতে যাবো ।কারণ বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন কাটানো একসাথে ।তাই জন্যই ঠিক করেছিলাম যে সকালবেলাটা পুজো দিয়েই পুরো দিনটা শুরু করবো।
আমাদের সকালে ওঠা কারোরই অভ্যাস নেই ।আর যেহেতু জন্মদিন তার মধ্যে পুজো দেবো তাই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে দুজনেই স্নান করে রেডি হয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তবুও একটু বেলা হয়ে গেছিল ।তাও সময়ের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
এই আমতলা কালী মন্দিরে আমরা বিয়ের পর প্রথম পুজো দিতে গেছিলাম। কারণ বাঙালি রীতি অনুসারে বিয়ের পর মন্দিরে গিয়ে একসাথে পুজো দিতে হয়। তখন পরিবারের সবাই একসাথে গিয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল। এখানে তাই আবার জন্মদিনের উপলক্ষে গিয়েছিলাম। আর এই দিনটা খুব ফাঁকা ফাঁকা ছিল ।তাই খুব সুন্দর ভাবে পুজো দিতে পেরেছিলাম ।
যাওয়ার সাথে সাথেই মন্দিরের নিচে টিকিট কাটতে হয় যে কত টাকার পুজো দেবো । তারপর সেখান থেকে পুজোর ডালা নিয়ে আমরা কালী মায়ের কাছে পুজো দিলাম ।শোনা কথাতে এই মা খুব জাগ্রত ।আর এত সুন্দরভাবে নিয়ম নিষ্ঠা করে পুজো দেওয়া যায় যে এখানে গেলে বারবার যেতে ইচ্ছা করবে।
কলকাতার দিকে মন্দিরগুলোতে তো একরকম ব্যবসায়ী চলে। তাই সময় নিয়ে একটু পুজোও দেওয়া যায় না ।ওখানে শুধু সময় নিয়ে দাঁড়ালেও এক মিনিটও মায়ের কাছে দাঁড়াতে দেয় না ।কিন্তু এখানে এসে পুজো দিয়ে যতক্ষণ ইচ্ছা বসে থাকা যায়। বলতে গেলে প্রায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা যায় ।তাছাড়াও ভোগের ব্যবস্থা আছে ।দুপুরবেলা আমরা পুজো দিয়ে ছিলাম শুধু ।কারণ বাড়িতেই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল ।
তবে যাই হোক পূজো দিয়ে সামনে রাধা কৃষ্ণের মন্দির ছিল। সেখানেও কিছুটা সময় কাটিয়ে ছিলাম ।আর এই মন্দিরটার একটা অদ্ভুত আকর্ষণ আছে ।কারণ পরিবেশটা এত সুন্দর যে কিছুতেই আসতে ইচ্ছা করবে না। আর বিশাল বড় জায়গা জুড়ে । মন্দিরটা একধারে হলে তার সামনে এতটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে যে ভীষণ ভালো লাগবে আর বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালি রয়েছে।
রাধা কৃষ্ণের মন্দিরের সামনে কাঁঠাল গাছ ছিল ।এত কাঁঠাল ধরেছিল এরকমভাবে চোখের সামনে এরকম গাছ দেখা হয়নি ।আমার কাছে তো খুব ভালো লাগছিল। আর আমরা মন্দিরে খুব সুন্দর ভাবে সুষ্ঠুভাবে পুজো দিয়ে বাড়ি চলে আসলাম ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ছোট দাদার জন্মদিন উপলক্ষে দেখছি আপনি ভাল রকমের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন পুজো দেওয়ার জন্য। যদিও বা আপনাদের কারোরই সকালে ওঠার অভ্যাস নেই তাও সকাল সকাল উঠে ছিলেন কারণ ওই দিনটি তো ছিল আপনার কাছেও বিশেষ স্পেশাল। যাই হোক ছোট দাদার জন্মদিন উপলক্ষে পূজা দেওয়ার সুন্দর অনুভূতি বর্ণনা করেছেন দিদি। কাঁঠাল গাছটাতেও দেখছি অনেক বেশি কাঁঠাল ধরেছে। সর্বোপরি আপনাদের আগামীর পথচলা যেন পুষ্পে ভরা পরিপূর্ণ হয় এই কামনায় ব্যক্ত করলাম।
পুজো দেওয়ার সুন্দর মুহূর্তের অসাধারণ ফটো ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলে আপনার আজকের এই পোস্টের মধ্য দিয়ে। তবে কাঁঠাল গাছের চিত্রটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। বর্তমান সময়ে কাঁঠাল গাছ গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে, এত বেশি কাঁঠাল ধরে এজন্য।
খুব ভালো লাগলো শুনে দিদি, বিয়ের পর দাদার প্রথম জন্মদিন উপলক্ষ্যে দারুণ অনুভূতি নিয়ে একত্রে পুজো দেয়ার বিষয়টি। আপনাদের সম্পর্কটা সুন্দর থাকুক যুগের পর যুগ, এই দোয়া করছি। প্রকৃতির দৃশ্যগুলো সত্যি দারুণ ছিলো।
ব্ল্যাক্স দাদার জন্মদিনে পুজো দিতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো দিদি। বিয়ের পর প্রথম পুজো দিতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনাদের দুজনের জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দিদি। এভাবেই যেন জীবনের প্রত্যেকটি জন্মদিন ভালো কাটে এই প্রত্যাশাই করি দিদি।
ছোট দাদার জন্মদিনের পুজো দিতে গিয়ে অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছেন এবং সেই সব মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। আপনারা যেন সবসময় এভাবেই একে অপরের পাশে থাকেন এই কামনা করছি।
ছোট দাদার জন্মদিনে দাদাকে নিয়ে আমতলা কালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো দিদি। বিশেষ দিনগুলোতে পুজো দিতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আপনাদের দুজনের জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দিদি।
বাহ্! মন্দিরের পরিবেশটা তো আসলেই দারুণ। সবুজ গাছগাছালি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। ছোট দাদার জন্মদিনে মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। দোয়া করি আপনাদের ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকুক সারাজীবন। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
দিদিভাই, মন্দিরটা সবুজ প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত। মন্দিরের পরিবেশটা দেখে বেশ ভালই লাগলো , ছোট দাদার জন্মদিন উপলক্ষে সেখানে গিয়ে, বেশ দারুণ সময় আপনারা অতিবাহিত করেছেন, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
শুভেচ্ছা রইল আপনাদের দুজনের জন্য।