ফুড ফোটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে হরিদ্বার এর কিছু খাবারের ছবি ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
আজকে আবারও আপনাদের সঙ্গে ফুড ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হলাম।অনেকেই হয়তো জানেন আমি হরিদ্বার গিয়েছিলাম। ঘুরতে গিয়ে নানান রকম খাবার খেয়েছি। কিন্তু একটা কথা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে ২১ দিনের ট্যুরে ২১ দিনই আমি ভেজ খেয়েছি ।কারণ ওখানে ননভেজ খাবার পাওয়া যায় না ।আর ওখানে বললেও ভুল হবে আমরা যেখানে যেখানে গিয়েছি সেখানে সেখানেই ননভেজ পাওয়া যায় না। তো পুরোটাই ভেজ খাবারের মধ্যেই ছিলাম। আর এই ব্যাপারটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং ।আমি ননভেজ খুব ভালোবাসি , আর ননভেজ খেতে ভালবাসি বলে ভেজ খেতে ভালোবাসি না এটা একেবারেই নয়, রান্না টেস্ট হলে আমি ভেজ খাবারও মারাত্মক রকম ভাবে ভালোবাসি। হরিদ্বারে খাবার নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি কিন্তু এছাড়া যে সকল জায়গাগুলোতে গিয়েছিলাম সেগুলো তো অনেকটাই প্রবলেম হয়েছে কারণ ওই জায়গাগুলোতে ব্রেকফাস্ট হিসাবে শুধু ম্যাগি, আলুর পরোটা ,আর বাটার টোস্ট থাকতো ফলে ২১ দিন ধরে এই খাবারই ব্রেকফাস্ট হিসেবে খেতে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে একটু প্রবলেম হয়েছে তবুও এমন কিছু কিছু খাবার ছিল সেগুলো খুব টেস্টফুল ছিল। তারই কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি ।আশা করি আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে ।
ভেজ ম্যাগি
ম্যাগি খেতে কম বেশি অনেকেই ভালোবাসে ।আমরা ব্রেকফাস্ট হিসাবে ম্যাগি নিয়েছিলাম কিন্তু যেহেতু আমরা সকালে খেয়েছিলাম সেই হিসাবে যতটা হালকা করা উচিত ছিল। খুব মশলা দিয়ে করেছিল তাতে করে টেস্ট হলেও বেশ ঝাল ঝাল ছিল ।
আলুর পরোটা
আলুর পরোটা অনেকেই খেতে ভালোবাসে। আমারও বেশ ভালো লাগে ।আর আলুর পরিমাণ বেশি হলে পরোটা কিন্তু দারুন খেতে হয়। আর এই খাবার টিও বেশ টেস্টি ছিল ।
লুচি আর ছোলে বাটুরে
লুচি আর ছোলে বাটুরের সাথে বেশ গরম গরম ফুলকো লুচি খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। আর আমরা প্রায়ই হয়তো ময়দা দিয়ে লুচি খাই কিন্তু এই লুচি গুলো আটার ছিল তাতে টেস্ট কিন্তু দারুণ ছিল ।
দই বড়া
আমরা প্রায়শই রাস্তাঘাটে দই বড়া খাই ।যেহেতু নতুন একটা জায়গায় গিয়েছিলাম আর একটি দোকানে খুব ভিড় দেখে দই বরা নিয়েছিলাম । খেতে দুর্দান্ত ছিল আমার তো কলকাতার থেকে হরিদ্বার এর দইবড়ার টেস্ট দারুণ লেগেছে ।
লস্যি
লস্যি খেতে কে না ভালোবাসে আর গরমের মধ্যে ঠান্ডা ঠান্ডা লস্যি মন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। এই হরিদ্বারের লস্যির টেস্ট দারুন ছিল।
ডিভাইস | redmi note9 |
---|---|
লোকেশন | (হরিদ্বার ) |
ক্রেডিট | @swagata21 |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শুনে ভালো লাগলো দিদি আপনি ভেজ ননভেজ দুটোই খেয়ে থাকেন। তবে হ্যা, এটা একটা সমস্যা যে ভিন্ন ধরনের বা আইটেমের খাবারগুলো এক টাকা খেতে ভালো লাগে না, আর আপনিতো টানা একুশ দিন সেটা বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছিলেন। আলু পরোটা আমার বেশ প্রিয়, ভিষণ ভালো লাগে খেতে।
আপু আপনি তো বেশ অনেকদিন বেড়িয়েছেন দেখছি। বেশ আনন্দে কেটেছে নিশ্চয়ই আপনার সময় গুলো। আপনার প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টের খাবারগুলো কিন্তু বেশ লোভনীয় ছিল । আলু পরোটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ম্যাগি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঝাল ঝাল হয়েছে । ঝাল ঝাল হলে খেতে বেশ ভালোই লাগে । বেশ ভালো ছিল খাবার গুলো।ধন্যবাদ।
প্রিয় আপু, খুবই সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রত্যেকটি খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে আবার খুবই ভালো লেগেছে। অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। লস্যি এর ফটোগ্রাফিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে আমার। অত্যন্ত লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওয়াও দিদি আপনি যে খাবারগুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন সত্যি লোভনীয়। ফুল ফটোগ্রাফির মধ্যে দই খাবারটি আমার খুবই প্রিয়। দই খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আমাদের শহরে একটি রেস্টুরেন্টে দই পাওয়া যায় সেই দইটি খুবই সুস্বাদু। যদিও দাম বেশি নেয় তারপরও খেতে অনেক ভালো লাগে বলে তার চাহিদাটা অনেক বেশি। মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
যারা শুধু ভেজ খায় তাদের ভেজ কিন্তু অসম্ভব মজাদার হয়। আপনি যে জায়গায় গিয়েছেন ওখানে ননভেজ লোকজন গেলে তো বিপদে পড়ে যাবে। তারপরও খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে ননভেজওয়ালারাও এগুলোর প্রেমে পরে যাবে। এত লোভনীয় খাবার গুলো। এরকম নুডুলস হলে ২১ দিন কেন তার বেশিও একটানা খাওয়া যাবে। খাবারগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছেন দিদি। ঘোরাঘুরি করলে এমনিই ক্লান্ত লাগে। সেই মুহূর্তে যদি এরকম এক গ্লাস লস্যি হয় তাহলে তো কথাই নেই। ভালো লাগলো খাবারগুলো দেখে।
সময়ের সাথে সাথে আপনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো কারণ ২১ দিনের ট্যুরে ২১ দিনই ভেজ খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। তবুও যে আপনি সময়ের সাথে সাথে পরিবেশের সাথে সাথে নিজেকে অনেকটাই মানিয়ে নিতে পেরেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। ভেজ এবং ননভেজ বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে এ ব্যাপারটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। যাইহোক অবশ্যই ট্যুরে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং অনেক রকম ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য দিদি।
বাহ!! আপু আপনার আপনার খাবারের ফটোগ্রাফী গুলো দেখছি আমার জিভে জল চলে এসেছে। আলু পরোটা আমার খুবই পছন্দের আমি মাঝে মাঝে বাসায় তৈরি করি। কিন্তু কখনো বাহিরে গিয়ে খাওয়া হয়নি। তাছাড়া ছোলে বুটের ডাল ফুলকো লুচি দেখেও খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপু দই বড়ার কথা আমি প্রথম শুনলাম। এবং প্রথম দেখলাম তাই আমার খুব টেস্ট করতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হরিদ্বার ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছুদিন ছিলেন জেনে সত্যিই ভালো লাগলো দিদি। আসলে একেক অঞ্চলের খাবারের ধরন একেবারেই আলাদা। তাইতো সেখানকার রেস্টুরেন্ট গুলোতে নন-ভেজ খাবার বেশি পাওয়া যায়। অন্য রকমের এক অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ হয়েছে দিদি। লোভনীয় সব খাবারের ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো।
আসলে সত্য বলতে কি আপু পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চললে কিন্তু আর কোন রকমের প্রবলেম হয় না। আর আপনি নিশ্চয় সব পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারেন। তাই তো আপনার কোন প্রবলেম হয়নি। তা ভালোই হয়েছে। ২১ দিন না হয় একটি ভিন্ন ধরনের খাবারই খেলেন। তবে আপনার ফুড ফটোগ্রাফি টি কিন্তু অসাধারন। দেখে তো চোখ ফিরানো যাচেছ না । বলেন তো দিদি এখন কি করি?
সত্যি বলতে কি দিদি ভাই শাকসবজি মাঝেমধ্যে খেতে আমার ভালো লাগে, তবে টানা ২১ দিন বাপ রে বাপ। তবে একদিক থেকে শাক সবজি খাওয়া প্রচুর উপকারী শরীরের জন্য। বেশ ভালই উপভোগ করলাম খাবারের ছবিগুলো।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য 🙏