ছোটবেলার দুর্গাপুজো ও আজকের দিনে পুজো নিয়ে আমার অনুভূতি
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে ছোটবেলার দুর্গাপুজো ও আজকের দিনে পুজো নিয়ে আমার অনুভূতি থেকে কিছু কথা ভাগ করে নিলাম।
সময়ের চাকা কারো জন্য অপেক্ষা করে না।সে চলবে নিজের নিয়মে।এটাই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নিয়ম।এই পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান হলো সময়।অর্থ,খ্যাতি এমন কি হারানো স্বাস্থ্য ও সম্মান ও কোনো না কোনো ভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।হয়তো পদ্ধতি ও প্রচেষ্টা অনেকটা কঠিন হয়ে যায় কিন্তু একদম অসম্ভব নয়।তবে চলে যাওয়া সময়কে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।এই জন্য সময় এই পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান।
আমাদের ছোটবেলা পেরিয়ে গেছে,তখন যে ইচ্ছে চিন্তা ভাবনা ছিলো এখন এই বয়সে দাঁড়িয়ে তার অধিকাংশটাই পরিবর্তিত হয়ে গেছে।হয়তো এই পরিবর্তনই জগতের নিয়ম।ছোটবেলায় চাওয়া ছিল, অল্প আর পাওয়ার আনন্দ ছিলো সীমাহীন।আর এখন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসটা অর্জন করাই খুব কঠিন।আর তার জন্য জীবনে প্রত্যেকের রয়েছে দুশ্চিন্তা আর কঠিন পরিশ্রম।আমি আপনি এর ব্যতিক্রম নই, কারণ আমরা সবাই একই সিস্টেম এর মধ্যে জীবন কে অতিক্রম করছি।
আর অল্প কিছুদিন পর আশ্বিন মাস শুরু হয়ে যাবে।হাওয়ায় কাশফুলের দোলা আর আকাশে সাদা মেঘের মেলা জানান দেবে" মা আসছেন"।বাঙালির বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব।দুর্গা পূজা বাঙালির সবচেয়ে বড় আবেগ ও ভালো লাগা।
২০২১ সালের ডিসেম্বর এ ইউনেস্কো দুর্গা পুজোকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।সেই সুবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে এই বছর আনুষ্ঠানিক ভাবে দুর্গা পুজো ঘোষণা করে দেন।
আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি আছে।সারা কলকাতা আলোয় আলোয় ভরে যাবে।এ এক অনন্য দৃশ্য বিস্তর ভালোলাগা।কলকাতায় সারারাত জুড়ে ঠাকুর দেখে বেড়ানো বাঙালির চিরকালীন সর্বোত্তম ভালোলাগা।অনেক দক্ষ শিল্পীদের দ্বারা অভিনব অভিনব পান্ডেল করা হয় যা গুলো কেমন সৃজনশীলতায় পরিপূর্ণ তেমনি জাঁকজমকে ভরা।
ছোটবেলা পুজো ও এখন পুজোয় আমার ভালোলাগা
আসলে সময়ের সাথে কিছু কিছু পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।কম বয়সে আসলে সব কিছুর প্রতি একটু বেশি ভালোলাগা ও টান কাজ করে ,যে গুলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকটাই কমে যায়।আগে মহালয়ার দিন থেকেই আমাদের মধ্যে পুজো নিয়ে চরম আগ্রহ শুরু হয়ে যেত।নতুন নতুন পোশাক কেনাকাটা করা পুজোর একটা খুবই আনন্দময় অংশ।নতুন জামার গন্ধ পুজোর আমেজ কে আরো বাড়িয়ে দিতো।তারপর বাড়ির অন্যান্য ভাই বোনদের সাথে পুজোয় ঠাকুর দেখতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি আজ ও মনের মধ্যে সযত্নে রাখা আছে।এখন সবাই বড় হয়ে গেছে।
প্রত্যেকের বন্ধুবান্ধব হয়েছে আলাদা একটা জগৎ তৈরি হয়েছে।আর আজ এই সময় দাঁড়িয়ে পুজোর প্রতি ছোটবেলার সেই অমেঘ টান টা আর অনুভব করি না।হ্যাঁ এটা সত্যি একটা ভালোলাগা প্রবল ভাবে কাজ করে।কিন্তু সেই সময়ের পুজো আর আজকের পুজোর মধ্যে একটি ধারণামূলক পার্থক্য সুস্পষ্ট।
যাই হোক আর কিছু দিনের মধ্যেই চারিদিকে আলো আর আনন্দের বন্যা বয়ে যাবে।এই উৎসবে সবাই সুস্থ থাকুক আর সবার পুজো অনেক ভালো করে কাটুক।এই প্রত্যাশা রেখে আজ এখানেই সমাপ্তি টানছি।
ঠিকই বলেছেন দিদি যতই বড় হচ্ছি ততই যেন পূজা ঈদ এগুলোর প্রতি আনন্দ হারিয়ে ফেলছি। ছোটবেলা যেমনটা আনন্দিত উচ্ছসিত থাকতাম এখন আর ঐরকম আনন্দ কাজ করে না। সত্যি সময় বড়ই অদ্ভুত জিনিস। সময়ের পরিক্রমায় আনন্দ বৃহৎ মায়া সবই কেটে যায়।।
ঠিক বলেছেন দিদি। সময় কারো জন্য থেমে থাকে না। সময় সময়ের গতিতে চলতে থাকে তবে ছোটবেলায় আমরাও পুজোমণ্ডপে অনেক মজা করতাম তবে। এখন আর খুব একটা বেশি ইনজয় করা হয় না। সবাই নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তবে ছোটবেলায় আমরা পুজো মণ্ডপের কাছ থেকে অনেক খেলনা কিনে আনতাম। সেগুলো দিয়ে বাসায় খেলাধুলা করতাম। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
এটা সত্যি ছোটবেলায় কাটানোর দুর্গাপুজোর সাথে এখনকার বয়সে কাটানো দুর্গাপুজোর বিস্তার ফারাক। কম বয়সে আসলে সব কিছুর প্রতি একটু বেশি ভালোলাগা আর টান থাকে ,যেটা বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকটাই কমে যায়।
ছোট বেলার পুজো গুলোই সুন্দর।মা আসছেন এই অপেক্ষা টাই মধুর।এখন এই যান্ত্রিক জীবনে পুজোর প্রতি সেই টান আর অনুভব হয়না। অনেক সুন্দর লিখেছেন দিদি৷ পুজোর নিমন্ত্রণ রইল।
এটা চিরন্তন বাস্তব কথা যে সময় কখনই থেমে থাকে না এবং সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না।তাই সময়ের সাথে সাথে ছোটবেলা আর বড় বেলাও কিন্তু পরিবর্তন হয়ে যায়।ছোটবেলার স্মৃতি মুখর সময় গুলো বড় বেলায় অনেক মজার বিষয়।তবে এটাও সত্য কথা যে আগে দুর্গাপূজায় যে রকম মজা হতো এখন আর তেমন মজাটা অনুভব করতে পারিনা।♥♥
সত্যিই দিদি , সময় সময়ের গতিতে চলে ৷ কেনো কিছুর বিনিময়ে চলে যাওয়া সময়কে ফিরে আনা সম্ভব নয় ৷ সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পরিবর্তন ঘটে , নিজেরও অনেকটা পরিবর্তন ঘটে ৷ হয়তো ছোট বেলার চাওয়া পাওয়া আর অনুভূতিই শ্রেষ্ঠ ৷ যাই হোক দূর্গাপূজার শুভেচ্ছা রইল দিদি ৷ বছরে একবার মা আসে আমাদের মাঝে , মাকে দেখার অনুভুতি পরিবর্তন হওয়ার মতো নাহ ৷
আমাদের ঈদের ক্ষেত্রেও একেবারেই এমন হয়।ছোটবেলায় কি পরিমাণ হৈহুল্লোড় হতো তা বলা মুশকিল।কিন্তু এখন ভালো লাগে ঠিক ই, কিন্তু আগের সে আমেজ নেই।
সত্যি দিদি, ছোটবেলার আনন্দকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কি উৎফুল্লতা ও হইহুল্লোড় করে পুজোর দিনগুলো। এখন আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয় ছোটদের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের পূজার আনন্দে উৎসবে আনন্দদানের প্রচেষ্টা ও সফল করার। অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আনন্দের ধারাবাহিকতা ছড়িয়ে সর্বত্র , পৃথিবী থেকে ঝুট ঝামেলা দূর হয়ে যাক , পবিত্রতা ও শান্তি বিরাজ করুক প্রতিনিয়ত এমনটাই কামনা করি এবারের শারদীয় দূর্গা পূজাতে ।
তবে এইটা সত্য, যাহা জীবন থেকে চলে যায় তাহা কভু ফেরত আসে না ।
যথার্থ লিখেছেন দিদি ।
দিদি নমস্কার
প্রথমে জানাই অগ্রিম পুজোর শুভেচ্ছা দিদি আপনি পুজো নিয়ে খুব একটা বল্গ লিখেছেন ৷
সত্যিই দিদি সব কিছু ফিরে পাওয়া গেলেও চলে যাওয়া সময়কে কখনো ফিরে আনা সম্ভব না ৷
আর দিদি আমি একমত পোষন করছি ছোট্ট বেলার সময় চিন্তা ধারা ভাবনা গুলো যে রকম ছিল সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সেগুলো আজ অনেক পরিবর্তন হয়েছে৷
যাই হোক দিদি এবারও পরিবারের সাথে ঠাকুর দেখতে যাবো খুব আনন্দ হবে ৷এটাই দুর্গা মায়ের কাছে প্রার্থনা ৷