ভাইঝির জন্মদিনে।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে ভাইঝির জন্মদিনের কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা ভাগ করে নিলাম।


দুদিন আগে আমার এক ভাইঝির জন্মদিন ছিল। ভাইজি বলতে আমার মামার ছেলের ঘরের মেয়ে ।সময়ের সাথে সাথে কত কিছু বদলে যায় ।একটা সময় এই দাদার সাথে কত গল্প ,আড্ডা ,খেলাধুলা করতাম ।এই মনে হলো সেদিনই বিয়ে হল।এখন বাবাও হয়ে গেল। আমরা ভাই বোনেরাও কত বড় হয়ে গেলাম। আমার মামার বাড়ি আমার বাড়ির খুব কাছে, বলতে গেলে দশ পনেরো মিনিট এর দূরত্ব। কিন্তু খুব অদ্ভুত ভাবে আমার বাবা-মায়ের লাভ ম্যারেজ না অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। যখনই কেউ শুনে এত কাছাকাছি মামার বাড়ির তখন সবাই প্রশ্নটাই করে।যাই হোক এখন খুব একটা মামার বাড়ি যাওয়া হয় না ।ওই কোনো অনুষ্ঠান থাকলে তখনই যাওয়া হয়। এছাড়া আলাদা করে সেই আগের মতো যাওয়া হয়ে ওঠে না ,মামার বাড়িতে আমার মা সবচেয়ে ছোটো। সেই অর্থে আমিও ভাইবোনদের মধ্যে ছোটো।অনেকদিন পর এই রকম একটা জন্মদিন উপলক্ষে নিমন্ত্রণ পাওয়ায় আবার একসাথে সবার দেখা হল ।খুব এক্সাইটেড ছিলাম এই কারণে যে অনেকদিন পর আবার সবার সাথে দেখা হচ্ছে ।এখন কর্মব্যস্ততার মাঝে সবার সাথে সেভাবে দেখা হয়ে ওঠেনা ।কোন অনুষ্ঠান হলেই তখন সবার সাথে দেখা হয়। এই মুহূর্তটা খুব সুন্দর হয় যখন একসাথে সমস্ত ভাই-বোনদের সাথে দেখা হয় ।তখন যেন মনে হয় আর ওখান থেকে আসতে ইচ্ছা করে না। যাই হোক অনেক দিন পর আবার দেখা ,এরআগে দাদার বিয়ে উপলক্ষে সবার সাথে দেখা হয়েছিল আবার সেই দাদার মেয়ের এক বছরের জন্মদিন উপলক্ষে সবার সাথে দেখা হচ্ছে। এই বছর দাদার মেয়ে এক বছরে পড়ল খুব সুন্দর আয়োজন করা হয়েছিল ।

WhatsApp Image 2022-05-14 at 11.50.27 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-05-14 at 10.44.32 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-05-14 at 10.44.35 PM (1).jpeg



ওর অন্নপ্রাশন করা হয়নি , আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসে অন্নপ্রাশন করা হয় অর্থাৎ মুখে ভাত দেওয়া হয়। এই অন্নপ্রাশন ছয় মাসেই বড় করে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল কিন্তু করোনার জন্য সেটা করা হয়ে ওঠেনি।তাই জন্যই এই এক বছরের জন্মদিন করা । যেহেতু জন্মদিন সেহেতু সন্ধ্যে সন্ধ্যে রেডি হয়ে চলে গিয়েছিলাম। মা বাবা একটু আগেই গিয়েছিল ।আর আমি একটু দেরী করেই বাড়ির সবার সাথে একসাথে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সাথে সাথে দেখি কেক কাটার আয়োজন চলছে ।

WhatsApp Image 2022-05-14 at 10.45.13 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-05-14 at 10.45.14 PM.jpeg



অনেক লোক ছিল তার মধ্যে খুব গরম ও পড়েছিল সেদিন ।তাই কেক কাটার সময় দেখলাম দাদার মেয়েটা একটু কান্নাকাটি করছিল যেহেতু এত লোকজনের মধ্যে এই প্রথম । যাইহোক কেক কাটা হয়ে গেলে সবাইকে সেই কেক ভাগ করে দেওয়া হল ।এবার আসি খাবারের দিকে। অনেকগুলি স্টাটার আইটেম ছিল। যেমন চিকেন কাবাব তার মধ্যে তিন রকম কাবাব। তার সাথে বেবিকর্ন ও পনির পকোড়া ছিল । খুব একটা বেশি কিছু স্টাটার আমি খাইনি কারণ তার কিছুক্ষণ পরেই মেন কোর্স খেতে হবে আর আমার একটু খেলেই পেট ভরে যায় তাই আর স্টাটার খেয়ে পেট ভরাতে চাইনি।

WhatsApp Image 2022-05-14 at 10.45.14 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-05-14 at 11.50.27 PM (2).jpeg



এরপর হলো ছবি তোলার পালা। আর আমিতো সেলফি তুলতে খুব ভালবাসি ।সবার সাথে সেলফি তুললাম। কিন্তু যার জন্মদিন তার সাথে সেলফি তোলার ভীষণ চাপের হয়ে পড়েছিল। কারন সে কাউকে দেখলেই কেঁদে ফেলছিল ।অনেক চেষ্টা করে একটু খেলার ছলে ফটো তুলেছি🤭।

WhatsApp Image 2022-05-14 at 10.44.33 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-05-14 at 10.47.31 PM.jpeg

ফটো তোলা শেষ হলে সবার সাথে একটু গল্প করলাম ।যেহেতু রাত হয়ে যাচ্ছিল সবাই খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি ও করছিল। মেন কোর্সও অনেকগুলো আইটেম ছিল। একদিকে যেমন ভেজ আইটেম ছিলো তেমনই অন্যদিকে ননভেজ ও ছিল ।আমি আর ভেজ আইটেম এর দিকে যায়নি। সোজা ননভেজ।


WhatsApp Image 2022-05-14 at 11.56.09 PM.jpeg



খাওয়া শেষ ।এবার বাড়ি আসার পালা।মাঝে মাঝে এরকম জন্মদিন বা বিয়েবাড়ি পেলে বেশ ভালোই লাগে। সবথেকে বড় কথা এরকম পারিবারিক নেমন্তন্ন পেলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।সবার সাথে দেখা হওয়াটা ,সবার সাথে আড্ডা দেওয়া , তার সাথে খাওয়া-দাওয়া তো আছেই। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর ভাবে জন্মদিনটা কেটেছিল। সেই আনন্দের মুহূর্তটাই আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে পেরে খুব ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ

Sort:  
 2 years ago 

মাঝে মাঝে এরকম পারিবারিক অনুষ্ঠান গুলোতে যেতে পারলে ভালই লাগে। সেটা যদি আবার কাছের কেউ হয় তাহলে তো আর খুশির সীমা থাকেনা। আপনার ভাইঝির জন্মদিনে অনেক আনন্দ করে কাটিয়েছেন দেখেই বুঝতে পারছেন। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

সবথেকে বড় কথা এরকম পারিবারিক নেমন্তন্ন পেলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।সবার সাথে দেখা হওয়াটা ,সবার সাথে আড্ডা দেওয়া , তার সাথে খাওয়া-দাওয়া তো আছেই।

আসলেই আপু পারিবারিক অনুষ্ঠান গুলো তে যোগ দিতে পারলে খুবই ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সবাই একসাথে হওয়া। আপনার ভাইজি তো অনেক কিউট আপু😍। প্রথম ছবিটির মধ্যে একদম লাল পরীর মত লাগছে দেখতে।
জন্মদিন উপলক্ষে ডেকোরেশন টাও খুব সুন্দর ভাবে করেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপনাদের বাড়ি থেকে আপনার মামার বাড়ির দূরত্বের কথা শুনে আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম আপনার বাবা মায়ের হয়তো লাভ ম‍্যারেজ। যাইহোক আপনার ভাইজির জন্মদিন টা দেখছি অনেক জাকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়েছে। খাওয়া দাওয়া ফটোগ্রাফি সবমিলিয়ে বেশ দারুণ কাটিয়েছেন তো সময় টা।।

 2 years ago 

আপনারও দেখছি প্রায় আমার মত অবস্থা। আমিও একেবারে ভেজের দিকে যাইনা। সবসময় ননভেজ এর দিকেই যাই।তবে এই বাচ্চাদের সাথে ছবি তোলার বিষয়টি একেবারেই ঠিক বলেছেন। তাদের সাথে ছবি তোলা বিরাট ঝামেলার কাজ।

 2 years ago 

হাহাহা🤭।
ফটো তোলার জন্য ১০ মিনিট খেলতে হয়েছে তারপর ফটো তুলতে পেরেছি।

 2 years ago 

আমারো আত্মীয়দের সাথে কোন বিশেষ অনুষ্ঠান বা আয়োজন ছাড়া তেমন দেখাই হয়না।

আপনার মামাতো ভাইয়ের মেয়েটি বেশ কিউট😍। আর আরেকটা কথা না বললেই নয়, আপু তোমার চোখগুলোর প্রেমে পড়ে গেলাম। ভালো থেকো আপু। 🥰

 2 years ago 

বাহ! খুব মিষ্টি লাগছে তাকে, একদম কিউট লাগছে আপনার ভাইঝিকে। আর কেকের ডিজাইনটাও দারুন হয়েছে। আর পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে, কারনটাও একই সকলের সাথে দেখা করার একটা সুযোগ পাওয়া যায়। যাইহোক কিউট বেবিটার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইল।

 2 years ago 

প্রথমে জানাই জম্মদিনের শুভেচ্ছা।আসলেই মাঝে মধ্যে পারিবারিক এইসব অনুষ্ঠানগুলো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আত্নার সম্পর্ক আর ও মুজবুত হয়ে উঠে।সাথে আমাদের শিশুগুলো আর ও উৎপল্লবোধ করে থাকে।

 2 years ago 

প্রথমেই আমি জানতে চাই আপনার ভাইঝি কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা শুভ জন্মদিন।ভাইঝির জন্মদিনের কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দিদি। আসলে জন্মদিনের অনুষ্ঠান মানেই একটি আনন্দ-উৎসব সেখানে থাকে নানা ধরনের লোভনীয় খাবার আর অনেক মানুষের সমাগম।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.034
BTC 63896.48
ETH 3315.00
USDT 1.00
SBD 3.92