কালীঘাটে পুজো দিতে গিয়ে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কালীঘাটে পুজো দেওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গতকাল কালীঘাট গিয়েছিলাম মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে । যেহেতু এখন শীতকাল। সকাল সকাল উঠবো ভেবেছিলাম । উঠতে ও দেরি হয়ে গেছিল ।আর বেরোতে বেরোতেও প্রায় দশটা বেজে গিয়েছিল ।বলতে গেলে অনেকটাই বেলা হয়ে গেছিল। তবে যাই হোক প্রায় এগারোটার মধ্যে আমরা মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
মন্দিরে পৌঁছানোর পরে দেখতে পেলাম মন্দির থেকে প্রায় কুড়ি মিনিট দূরত্বে লাইন পড়ে গেছে ।তার মানে বুঝতেই পারছেন কি বিভৎস্য লাইন ছিল । আমরা তো ভেবেই পাচ্ছিলাম না যে এই লাইন দিয়ে কি করে মন্দির দর্শন করবো! যেহেতু পৌষ মাসের শেষ শনিবার ছিল তাই জন্য প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছিল।
যদি আমরা সেই লাইনে দাঁড়াই প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘন্টা লেগে যাবে মন্দির দর্শন করতে। তাই কোনো কিছু না ভেবেই মন্দিরের কাছাকাছি পুজো দেওয়ার জন্য একটি স্টলে গিয়ে দাঁড়ালাম। সেখানে কথাবার্তা বলে বুঝলাম যে কোনোভাবেই সেদিন আমরা মন্দির দর্শন করতে পারবোনা।
তার মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা দেখার জন্য বাইরে থেকে প্রচুর বিহারী মানুষের আগমন ঘটেছিল। তার জন্য প্রচুর ভিড় ছিল। এর মধ্যে প্রায় পদপৃষ্ট হয়ে দুজন মারা গিয়েছিল। তাই জন্য মন্দির কর্তিপক্ষ পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল। আর এই কারণে এতক্ষন ধরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে সবাইকে পূজা দিতে হচ্ছিল।
কিছুক্ষণ পুরোহিতদের সাথে কথা বলার পর বুঝলাম যে মন্দির দর্শন না করে যদি মন্দিরের বাইরে থেকে পুজো দেওয়া যায় ,তাহলে কোনো অসুবিধা নেই ।তারা দিয়ে দেবে এবং পুজোর সামগ্রী মন্দিরে তারা গিয়ে দিয়ে আসবে ।কিন্তু ভক্তরা সেখানে যেতে পারবে না অগত্যা সেই সিদ্ধান্তেই আমরা রাজি হলাম। কারণ এ ছাড়া কোনো উপায় আমাদের হাতে ছিল না ।
মন্দিরের বাইরে থেকে কালিমাকে স্মরণ করে পুজো দিয়ে দিলাম। এইভাবে কখনো আগে পূজা দিইনি তাই মনটা কেমন একটা লাগছিল । মনে মনে ভাবলাম এর পরে কোন একদিন এসে সুন্দর করে মায়ের কাছে এসে পুজো দিয়ে যাবো।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
কালি মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো দিদি ৷ তবে মানুষের ভীরের জন্য মন্দির পর্যন্ত পৌচ্ছাতে পারেননি এবং মন্দিরও দর্শন করতে পারেননি এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো ৷ আসলে এতো মানুষের ভীরে মন্দির পর্যন্ত লাইন ধরে পৌচ্ছানো অনেকটাই কষ্টসাধ্য বিষয় হতো ৷ বাইরে থেকেই পুজো দিয়ে এসেছেন এটাও বেশ ভালোই হয়েছে ৷ তবে মন্দির দর্শন করতে পারলে নিশ্চয়ই ভীষন ভালো লাগতো আপনাদের ৷ যাই হোক ,পরবর্তীতে আবার গিয়ে মন্দির দর্শন এবং পুজো দিয়ে আসবেন দিদি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য ৷
ওরে বাবা এতো মানুষের আনাগোনা দেখেই তো কেমন যেন লাগছে। এই ভিড়ের মধ্যে মন্দিরে প্রবেশ করা মোটেই সম্ভব নয়।
এটা শুনে সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগলো। আপনারা পুরোহিতদের কথা অনুযায়ী, মন্দিরের বাহিরে পূজা দিয়ে খুব ভালো করেছেন বৌদি। পরবর্তীতে যেকোনো সময় মন্দিরে গিয়ে পূজা দিতে পারবেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
দিদিভাই আমার একটা কথা মনে পড়েছে, গত কয়েকদিন আগে ছোট দাদা বিহারীদের নিয়ে একটা পোস্ট লিখে ছিল, এখন বুঝতে পারছি দাদা তার কোন অভিজ্ঞতা থেকে ঐ পোস্টটি লিখেছিল, দুজন মানুষ পিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে, ব্যাপারটা বেশ দুঃখজনক। তারপরেও আপনারা নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু পেরেছেন ততটুকু করেছেন পুজার জন্য , এটাই বা কম কিসের ।
সর্বদা নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন, এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।
শুভেচ্ছা রইল 🙏