মুখোশের আড়ালে মানুষ
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু বাস্তব ঘটনা তুলে ধরছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
চোখের সামনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে বা এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত প্রত্যেকের সাথেই ঘটে চলেছে ।কিন্তু তার কোনো প্রতিবাদ মানুষ করে না বরং চুপচাপ মেনে নেয়। মানুষের জীবন সবসময় একরকম চলে না ।আমরা ছোটো বয়সে যে সকল কাজ করতাম আর একটু ম্যাচিউর বয়সে যে সকল কাজকর্ম করি তার মধ্যে অনেক আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকে। ছোটো বয়সে আমরা যে খেলনা বাটি নিয়ে খেলা করি ,একটু বড় হয়ে গেলে কিন্তু সেই খেলনাবাটি আমাদের কাছে ফেলনা মনে হয় ।
এরকম অনেক কিছুই আছে যেটা আমরা ছোটো বয়সে করে থাকি, বড় বয়সে সেগুলো আমরা করি না।তেমনভাবে ছোট বয়সের করা ভুল আমাদের অনেক সময় অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। আর আমি মনে করি একটা মানুষ ছোটো বয়সে যে ভুলগুলো করে থাকে সেগুলো থেকে অনেক শিক্ষা পায়। আর ঠিক ভুল নিয়েই মানুষের জীবন। কোনো মানুষই পুরো ঠিক কাজ করতে পারে না ।কারণ সব ঠিক কাজ আমাদের দ্বারা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর যদি কোনো ভুল কাজ করে থাকি সেখান থেকে আমরা শিক্ষাও নিয়ে থাকি ,যাতে পরবর্তীতে সেই একই কাজ ঠিকভাবে করতে পারি।
কিন্তু আমাদের আশেপাশে কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের শিক্ষিত বলে দাবি করে, কিন্তু প্রতিমুহূর্তে সেই মানুষ আমাদের ভুলগুলোকে প্রতিমুহূর্তে খোটা দিতে থাকে। আমি একটা জিনিস বুঝিনা যে প্রতিটা মানুষেরই তো কিছু ঠিক ,কিছু ভুল থাকে ।তার থেকেও বড় কথা সব মানুষ এক হয় না।তবুও মানুষের স্বভাব মানুষকে খোটা দেওয়া। অনেক মানুষ আছে মানুষের উপকার করে সেই মানুষকে পরবর্তীতে প্রতি মুহূর্তে খোটা দিয়ে থাকে। আমি মনে করি এদের মানসিকতা অত্যন্ত খারাপ ।কিন্তু এই মানুষগুলোই নিজেদের খুব শিক্ষিত মনে করে ,ভাবে যে তারা যা করছে তাই ঠিক কিন্তু এইটুকু বোঝে না যে কোনো মানুষের অতীত নিয়ে বা কোনো মানুষের উপকার করলে তাকে সেটা নিয়ে প্রতিনিয়ত খোটা দেওয়া খুব অন্যায় ।আর এই মানুষগুলোকে আমার সবচেয়ে বেশি নিচু মানসিকতার এবং অশিক্ষিত বলে মনে হয় । এছাড়াও মানুষের কথা মানুষকে অনেক ভাবে আঘাত করে এই কথাই পারে মানুষকে আনন্দ দিতে আর এই কথাই পারে মানুষকে দুঃখ দিতে।আমি জানি না আপনাদের মতে এই মানুষগুলোকে কি বলা উচিত ।আমার মতে শিক্ষিত তো একেবারেই বলা উচিত না ।
সবশেষে একটাই কথা বলবো প্রতিটা মানুষের উচিত সুখে না হোক দুঃখে অন্তত পাশে দাঁড়ানো। উপকার করলে তাকে সেই মর্যাদা দেওয়া ।এবং কোনো মানুষের অতীত নিয়ে কখনো কাউকে খোটা না দেওয়া। এটাই হলো আসল মানুষের পরিচয়।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মানুষের পুরনো যে কোন কর্মের কারণে প্রতিনিয়ত খোটা দেওয়া সত্যিই একটা খারাপ দিক। প্রতিটি মানুষ ভুল করে আর সেই ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা লাভ করে। আর একটা জিনিস সত্যি বলেছেন দিদি ঠিক আর ভুল নিয়েই মানুষের জীবন। মুখোশের আড়ালে মানুষ সত্যিই অনেক বেশি ভয়ংকর। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন যারা মানুষকে খোঁচা দিয়ে কথা বলে বা আপনার কোন উপকারে আসার পরে খোটা দেয় তারা বড় অশিক্ষিত। যারা মানুষের মনে আঘাত দিয়ে কথা বলে আমার মনে হয় তাদেরকে সমাজের আবর্জনা হিসেবে আখ্যায়িত করা উচিত।
মানুষ মাত্রই ভুল,তাই কোনো মানুষ ই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তবে ভুল থেকে অবশ্যই শিক্ষা নিতে হয়, যাতে করে ভুলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। মানুষ সামাজিক জীব, সুতরাং একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উপকার করার পরে যারা খোঁটা দেয়,তারা নিঃসন্দেহে খুবই নিচু মনের মানুষ। প্রকৃত অর্থে উপকার করার পর খোঁটা দিলে, সেই উপকারের কোনো মূল্যই থাকে না। যাইহোক দারুণ লিখেছেন বৌদি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি সময়ের সাথে বদলে যায় জীবন যেমন ছোট বেলার সময় আর বড় হওয়ার সময় কতটা তভাৎ ৷ তবে আজকের ব্লগের টপিকটা বেশ ভালোই লিখেছেন ৷ আসলে আমাদের সমাজে এমন মুখোশের আড়ালে মানুষ অনেক আছে ব৷ যারা নিজেকে বড় মনে করে ৷ আর উপকারের কথা বললেন না ৷ আজকাল মানুষ কে উপকার করলে দুদিন পরে ভুলে যাবে ৷ আর খটা দেওয়া মানুষের স্বভাব ৷ যা হোক দিদি শেষের কথা গুলো ভালো বলেছেন ৷ আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করেছে ৷
বৌদি ঠিক বলেছেন মানুষের জীবন সবসময় একরকম চলে না ছোটবেলায় যেমন ছিলাম বড় হয়ে তার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। মানুষ মানুষের জন্য। একজন আরেকজনকে উপকার করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উপকারের বিনিময়ে যদি খোঁচা দেয় তাহলে অবশ্যই নিচু মন-মানসিকতা ও অশিক্ষিত বলে মনে হয়। কারো উপকার করে তার প্রতিদানে কিছু বলা ঠিক না। মুখোশের আড়ালে মানুষ সত্যিই অনেক বেশি ভয়ংকর এ কথাটি অপ্রিয় হলেও সত্যি। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৌদি ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে সবচাইতে অপছন্দের কাজ হলো কারো উপকার করলে পরবর্তীতে সেটা নিয়ে কথা শোনানো। এটার চেয়ে খারাপ কিছু আর হয় না। এরা কখনোই শিক্ষিত হতে পারে না। ভুল মানুষের জীবনে দারুণ একটা জিনিস আমি বলব। ভুল মানুষ কে এমন কিছু শিক্ষা দেয় যা পরবর্তীতে পুরো জীবন আমাদের কাজে লাগে। ভুল থেকে পাওয়া শিক্ষায় সবচাইতে বড় শিক্ষা। সময় যায় আমাদের বয়স বাড়ে সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় আমাদের রুচি ইচ্ছা শখ।
ঠিক বলেছেন দিদি ছোটকালে আমরা যে খেলা নিয়ে খেলা খেলি বড় হয়ে গেলে সেটা আমরা ফেলনা মনে করি। আসলেই আমাদের সমাজে এমন কিছু শিক্ষিত মানুষ আছে যারা অশিক্ষিতের মতো কাজ করে থাকে ।তারা মানুষকে সাহায্য করলে সেগুলো পরে খোঁটা দিয়ে থাকে। অতীতের কোন বিষয় মনে করিয়ে খোটা দিয়ে থাকে। এগুলো মোটেও ঠিক নয়। মানুষের সব সময় মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থাকা উচিত। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি জ্ঞানমূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার এই কথার সঙ্গে একদম সহমত পোষণ করছি দিদিভাই।
দারুণ বাস্তবিক কথা লিখেছেন।
বিশেষ করে গ্রামের দিকে এই খোটা মেরে কথা বলার অভ্যাসটা বেশি মানুষের। তারা নিজেকে মনে করে সব জান্তা! এরা শিক্ষিত হলেও মূখ্যের মতো কাজ করে। আর এদেরকে শিক্ষিতও বলা যায় না। শিক্ষিত বলাটা একেবারেই ভুল হবে। আমি সবসময় চেষ্টা করি এমন টাইপের মানুষ থেকে দশহাত দূরে থাকার।
অতীত নিয়ে তারাই খোটা দেয় যাদের নিজেদের কোন ব্যক্তিত্ব নেই দিদি। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কমবেশি অতীত থাকে। তবে সেখান থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে যদি একবার বেরিয়ে আসি, তারপরেও যদি মানুষ সেই জিনিসগুলো নিয়ে খোটা দেয়, তাহলে সেটা অবশ্যই খারাপ। তাছাড়া উপকার করে বারবার সেটা মনে করিয়ে দেওয়া কিংবা খোটা দেওয়া এটা কিন্তু দুর্বল মানসিকতার পরিচয়। আমি মনে করি, এই মানুষগুলো থেকে সবসময় দূরে থাকা উচিত।