কুমোরটুলি পার্কের পুজো/১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কুমোরটুলি পার্কের পুজোর কিছু ছবি ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বহু পুরানো কলকাতা তথা বাংলার মুর্তি তৈরির প্রাণকেন্দ্র হল কুমোরটুলি।আর এই কুমোরটুলির একদম পাশেই রয়েছে কুমোরটুলি পার্ক ।এই কুমোরটুলি পার্ক এই বছর ৩০ বর্ষে পা দিয়েছে।আমি এই কুমোরটুলি পার্কের ঠাকুর প্রত্যেক বছর দেখি, যখন দক্ষিণ কলকাতা ঠাকুর দেখতাম না, তখন আমি এই উত্তর কলকাতার প্রত্যেকটি ঠাকুর দেখতাম। যে জায়গার ঠাকুরগুলো দেখতাম তার মধ্যে উত্তর কলকাতার কুমোরটুলি পার্ক হচ্ছে একটি।
কুমোরটুলি পার্কের এবারের থিম 'অন্বেষণ '।
সমগ্র পৃথিবীর মাথাব্যথা এখন বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে। মানুষের অদূরদর্শী কার্যকলাপে যেভাবে দূষণ বাড়ছে,তার ফলে হিমবাহ গলে এক সময় জলে ডুবে যেতে পারে পৃথিবীর বড় বড় শহর।বিজ্ঞানীদের এহেন আশঙ্কা সত্যি হলে জলে নিমজ্জিত অবস্থায় কিভাবে হবে দুর্গাপুজো সেটা নিয়েই এই কুমোরটুলি পার্কের থিম। অর্থাৎ ভবিষ্যৎ রূপের কল্পনায় তৈরি করা হয়েছে।
তলদেশমণ্ডপে ঢুকতে গিয়ে বোঝানো হচ্ছে অর্ধেক পৃথিবী এবং জাহাজ, নৌকার মতো জলযান । গোটা মণ্ডপ ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যদি জলের তলায় শারদোৎসব পালনের মতো দিন আসে, তখন কীভাবে হবে পুজো ? সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপে । প্রথমেই দেখা যাচ্ছিল অর্ধেক পৃথিবীতে জল পড়ছে । সবটা জলের তলায় চলে গেলে কেমন হবে দেখতে ? তা তুলে ধরা হচ্ছে এই মণ্ডপে ৷ যখন আমি মন্ডপের ভিতরে ঢুকছিলাম মনে হচ্ছিল যেন সাবমেরিন এর নিচে রয়েছি, এক কথায় সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছে গিয়েছি চারিদিকে রয়েছে মুক্ত প্রবাল। সমুদ্রের তলদেশের পুরো রূপটাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে ।আর একদিকে থেকে দেখানো হয়েছে সমুদ্রের তলায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে একটি মণ্ডপ যেখানে এই দুর্গাউৎসব পালিত হচ্ছে । সমুদ্র মন্থনের পাহাড়ের আদলে এবার প্রতিমা তৈরি হয়েছে।এখানে আরেকটা জিনিস খুব ইন্টারেস্টিং মণ্ডপের চারিদিক থেকে অর্থাৎ যেদিক থেকে দেখা হবে সে দিক থেকেই দুর্গার মুখ দেখা যাচ্ছিল।সব মিলিয়ে পুরো মণ্ডপটাই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে এবং খুবই ইউনিক চিন্তা ভাবনা বলে আমার মনে হয়েছে।
মূর্তি তৈরীর প্রাণকেন্দ্র কুমোরটুলি। সত্যি দিদি আশ্চর্যজনক ছিল সমুদ্রের তলদেশের কল্পনার সাজানো পূজা মন্ডপ। আপনি অসাধারণ লিখেন, এবং খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। কুমোরটুলিতে আপনার ঘুরে বেড়ানো এবং কি এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য, শুভেচ্ছা রইল।
সমুদ্রের তলদেশে কল্পনার পূজার মন্ডপটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আজকে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।
কুমোরটুলি পার্কের এবারের থিম সত্যি দারুন ছিল। আসলে পৃথিবী দিনে দিনে দূষিত হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণের কারণে হয়তো পৃথিবী একসময় বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দারুন একটি থিম অনুযায়ী এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সত্যি আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো না দেখলে কখনো বুঝতেই পারতাম না পুজোর থিম এতটা ইউনিক হতে পারে।
দিদি নমস্কার
একবারে শ্যামা পুজোর থিম জটিল ৷ আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারি নি ৷ সমুদ্র মন্থনের পাহাড়ের আদলে এবার প্রতিমা তৈরি হয়েছে৷ সত্যি দিন দিন পৃথিবী দুষন হচ্ছে ৷ আর তাই তো এবারের পুজোর থিম সত্যি অসাধারণ লাগছে ৷ আর বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলো ছিল দেখার মতো ৷
এক কথায় বলা যায় ফিউচারকেই থিম বানিয়েছে।দারুণ আইডিয়া কিন্তু তাই না?আর পরিবেশটাও পারফেক্ট রিক্রিয়েট করেছে।
ভবিষ্যৎ এর কথা ভাবলে সত্যিই অনেক ভয় লাগছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এরকম দিন যেনো না আসে। কুমোরটুলি পার্কের এবারের থিম ছিল অসাধারণ সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা যার কোন তুলনা হয় না। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি দিদি। সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে দিদি।
কুমোরটুলির কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু কুমোরটুলি পার্ক এই বছর ৩০ বর্ষে পা দিয়েছে এটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। জলের তলায় কিভাবে পুজো মন্ডপ হবে সেটা এবারের পূজোর থিম এটা জানি অবাক হলাম। বিষয়টি একদমই অবাক করা। আবার দেখলাম অর্ধেক জলের তলায় আমার অর্ধেক উপরে এরকম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। বিষয়গুলো আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।
অসাধারণ শিল্পশৈলী কুমোরটুলি প্রতিমা কারিগরদের। সত্যি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দিদি। তাদের থিম কল্পনা শক্তি দুর্জয় গতির চেয়েও দুর্জয়। কি ঘটবে আগামীতে এই পৃথিবীতে? সেই চিন্তা শক্তিকে প্রস্ফুটিত করে অপরূপ সুন্দর একটি প্রতিমা দর্শন করলাম মা দুর্গার। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
কুমোরটুলির দুর্গাপুজোর এবারে থিমটা সত্যিই বেশ ইন্টারেস্টিং এবং শিক্ষামূলক ছিল আমাদের সবার জন্য। তবে তুমি এখনো দুর্গাপুজো নিয়ে পোস্ট করে যাচ্ছ, সেটা দেখে তো আমি বেশ অবাক হলাম। আমি তো বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দুর্গাপূজা নিয়ে পোস্ট করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে তোমাকে দেখে আবার পুনরায় সাহস হলো। আশা করি কালীপুজো শেষ হলেই আবার দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের পোস্ট নিয়ে হাজির হব। খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছো তোমার এই পোস্ট।
আমি দূর্গাপুজোর পোস্ট দুদিন করলাম শুধু 😒। এইবার তো কিছু পোস্ট করতেই পারলাম না।তুমি করো দেখবো তখন।
কালী পুজো নিয়ে পোস্ট করা শুরু করবো এখন থেকে স্বাগতা দি। তারপর দুর্গাপুজো আর কালীপুজো নিয়ে মিক্সড পোস্ট করব। পুজো নিয়ে পোস্ট করলে আসলে কেউ কমেন্ট করতে চায়না। এই জন্য আগ্রহ কমে গেছে।