পূজো মানেই খাওয়া দাওয়া
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
পূজো মানে ঘোরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়া। পূজো বলতে আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর কথাই আমি এখানে বলছি। প্রতি বছর আমি পূজোর পাঁচদিন ঠাকুর দেখতে বেরোই ।কেন জানিনা এই পুজোর কয়টা দিন না বেরোলে খুব মন খারাপ লাগে । ছোটোবেলা থেকে আমার যতদূর মনে পড়ে এখনো পর্যন্ত পুজোর পাঁচটা দিনের মধ্যে একটা দিনও এমন যায়নি ঠাকুর দেখিনি হয়নি । প্রতি বছর পূজোর দিনগুলোতে ঠাকুর দেখি।
ঠাকুর দেখতে যাওয়ার একটা আলাদাই আনন্দ কাজ করে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে যে কোনো জায়গায় কোন থিমের উপর কাজ হয়েছে ! কারণ প্রত্যেকটা শিল্পীর কাজ এত সুন্দর হয় ।তার মধ্যে এমন কিছু প্যান্ডেল থাকে যে দাঁড়িয়ে শুধু দেখতে ইচ্ছা করে যে কেমন হয়েছে! কিভাবে বানিয়েছে।
সেই রকম ভাবেই পুজোর পাঁচটা দিনের মধ্যে একটা দিন ধরা থাকে কোনো ঠাকুর না দেখে সেদিন শুধু কোথাও গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করি। আর শুধু খাওয়া দাওয়া বলতে বুফেতেই সম্ভব কারণ বুফেতে অনেক রকম খাওয়ার আইটেম থাকে। আর অনেকটা সময় সেখানে কেটেও যায়। তাই একটা দিন বাধা ধরা থাকে বুফেতে খাওয়ার জন্য ।
গত দু'বছর আগে আমরা সপ্তমীর দিন সল্টলেকের কাছে একটি the stadel রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম ।পূজো উপলক্ষে পাঁচদিন বুফে খাওয়ার জন্য অনেক রকম নতুন নতুন আইটেম রেখেছিল। আর পুরোটাই বাঙালিয়ানা ছিল। তার সাথে চাইনিজ ও ছিল। এত ভিন্ন রকমের খাবার ছিল কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবো বুঝেই উঠে পারছিলাম না ।আর প্রতিটা খাবারের স্বাদ খুব ভালো ছিল ।এমনকি এই রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা আরো খুব সুন্দরভাবে সাজানো ছিল। পুরোটাই একটা বাঙালিয়ানার ছাপ ছিল।
আমার কাছে তো সব মিলিয়ে খুবই ভালো লেগেছে। এমন কি রাত বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও বাড়তে লেগে গিয়েছিল। আসলেই এই বুফে রেস্টুরেন্টে খুবই ভালো ছিল ।আর আমাদের সপ্তমীর দিন ও খুব সুন্দর কেটেছিল ।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
এবার ও তাহলে একটাদিন দারুণ খাওয়া দাওয়া হবে।পোস্ট চাই কিন্তু।
চিংড়ির ও অন্যান্য খাবারের আইটেম গুলো দেখে, এই মাঝরাতে পেটের মধ্যে নড়াচড়া করে উঠেছে দিদিভাই, বলতে গেলে লোভ লেগে গিয়েছে। মনে মনে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুললাম।
ঘুরাঘুরির সাথে খাওয়া দাওয়ার অন্য রকম একটা সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ঘুরতে গেলে অবশ্যই কিছু না কিছু খেতে হয়। যাইহোক দূর্গা পূজার সময় ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি একেবারে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন বৌদি। ব্যুফেতে খাওয়া দাওয়া করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। একেবারে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া দাওয়া করা যায়। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।