নারকেল দিয়ে পাটিসাপটা তৈরি করার পদ্ধতি।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে নারকেল দিয়ে পাটিসাপটা রেসিপি তৈরি করে দেখালাম।আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
পৌষ পার্বণ মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠা উৎসবের ধুম। ভোজনরসিক বাঙালির ঐতিহ্যর সাথে যেন মিশে আছে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা নানা পিঠার নাম। পৌষের শেষ দিনে পিঠে পুলি পাটিসাপটার গন্ধে মাখা রোদ্দুর জীবনটাকে যেন আরও মিষ্টি মধুর করে তোলে । আমাদের বাড়িতে যা পিঠে হয় সবটাই এই পৌষ সংক্রান্তির দিন,আলাদা করে আর কখনো পিঠা করা হয়ে ওঠে না।তাই এই একটা দিনেই যেন সমস্ত আনন্দ আমরা পুষিয়ে নিই।এই দিনে তিন থেকে চার ধরনের পিঠা হয়ে থাকে যেহেতু আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি তাই সবার ঘর থেকেই পিঠের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।বেশ আনন্দের মধ্যেই নতুন গুড়ের পিঠার স্বাদ নিতে নিতেই দিনটা কেটে যায়। পিঠার রাজা পাটিসাপটা। সাধারণত চালের গুঁড়ো,দুধ,খেজুর গুড়,নারকেল দিয়েই পাটিসাপটা তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে পাটিসাপটার রেসিপি ভাগ করে নিলাম।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১ নারকেল | ২টো |
২. দুধ | ১ প্যাকেট |
৩.গুড় | পরিমান মতো |
৪. গুঁড়ো দুধ | ১ প্যাকেট |
৫. চালের গুঁড়ো | ৫০০গ্রাম |
৬. ময়দা | পরিমান মতো |
প্রথম ধাপ
•প্রথমে ৫০০ গ্রাম মতো চাল নিয়ে নিলাম। তারপর সেই চালটাকে তিন ঘন্টা মতো জলে ভিজিয়ে রাখলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
•তারপর সেই চালগুলো ঝরা দিয়ে মিক্সারে ভালো করে গুঁড়ো করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• এরপর চাল গুড়ো করে নিয়ে সেখানে ঝোলা গুড় মিশিয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর তার সাথে অল্প জল ও দুধ মিশিয়ে নিয়েছিলাম।এবং দু কাপ মতো ময়দা নিয়ে নিয়েছিলাম। এমনভাবে পাটিসাপটার গোলাটা তৈরি করলাম যাতে বেশি পাতলা আবার বেশী ঘোলাও না হয়ে যায়। সাথে অল্প জলও মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• এইভাবে পাটিসাপটার গোলাটা বানিয়ে নিলাম।
প্রথম ধাপ
• প্রথমে দুটো নারকেল কুড়িয়ে নিয়েছিলাম ভালো করে।
দ্বিতীয় ধাপ
• তারপর সেই নারকেলের মধ্যে গুঁড় মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• তারপর গ্যাসের মধ্যে নারকেলের পুরটা ভালো করে টানিয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর কিছুটা গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নিলাম,তারপর নামিয়ে দিলাম।
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমে একটি ননস্টিক প্যান এ একটু তেল ব্রাশ করে অল্প আঁচে গরম করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• এরপর প্যান গরম হয়ে গেলে ডালের চামচের এক চামচ গোলা ঢেলে ছড়িয়ে রুটির মত করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• এরপর যখন একটু শুকিয়ে আসল তখন খানিকটা নারকেলের পুর দিয়ে মুড়িয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• তারপর সেকা শেষে নামিয়ে ফেললাম। এইভাবে বাকি গোলা ও নারকেলের পুর দিয়ে পাটিসাপটা গুলো তৈরি করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• ব্যাস এই ভাবে তৈরি হয়ে গেল পাটিসাপটা।
আমার একটি নিজস্বী
ধন্যবাদ
শীতের সময় পাটিসাপটা রেসিপি খেতে বেশ মজা লাগে । আপনি অনেক সুন্দরভাবে পাটিসাপটা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন বিশেষ করে উপস্থাপনাটা আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে্ । ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুস্বাদু একটি শীতকালীন রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যাঁ দাদা শীতের সময়ই তো পিঠে পুলির সময়। অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ভাবে প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য।
খুব সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছেন আপু। অনেকদিন যাবত এভাবে পাটিসাপটা খাওয়া হয়না। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে শেয়ার করলেন। আপনার পাটিসাপটার রেসিপি প্রেমে পড়ে গেলাম শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 😍😍😋
আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসা করার জন্য।
খুবই সুন্দর এবং সহজ উপায়ে আপনি পাটিসাপটা বানানো শিখিয়েছেন। যেভাবে আপনি বানিয়েছেন সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু খেতে হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর এবং সহজ উপায়ে পাটিসাপটা বানানোর পদ্ধতি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি তাহলে শিখেছেন বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনি অসম্ভব সুন্দর নারকেল পিঠা বানাতে পারেন। আপনার পিঠা রেসিপি দেখে আমার তো প্রচুর খেতে ইচ্ছে করতেছে। আপনার রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু এবং সৃষ্টি হয়েছে তা আপনার প্রতিটি ধাপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু আপনার আগামীর জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দরভাবে প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন দিদি পৌষ পার্বণ মাসেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠা উৎসব শুরু হয়।নানা রকমের পিঠা তৈরি করা হয় প্রতিটা বাঙালির ঘরে ঘরে।দিদি নারিকেল দিয়ে পাটিসাপটা পিঠা সত্যিই অনেক লোভনীয় লাগছে। আপনি এত সুন্দর এবং যত্ন সহকারে পিঠাগুলো তৈরি করেছেন দেখে আমি লোভ সামলাতে পারছিনা।পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এতো সুস্বাদু পিঠা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপনার কাছে আমার পিঠা তৈরি করা এত ভালো লেগেছে তাহলে তো অবশ্যই কলকাতায় আসলে আমাদের বাড়ি আসতেই হবে নেমন্তন্ন রইলো কিন্তু।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসার জন্য।
দিদি কলকাতা আসার খুব ইচ্ছে গো আসব দিদি
পাটিসাপটা পিঠা আমার খুবই পছন্দের। এর সাথে নারিকেল আর গুড়
দেয়ার কারণে এটি আরও বেশি সুস্বাদু হয়।আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটি খুবই সুন্দর হয়েছে দিদি।আমার খুব পছন্দের পিঠা আর নারকেল দিয়ে তৈরি করা, আপনার পিঠে দেখে কিন্তু খেতে ইচ্ছে করতেছে।
আমারও খুব পছন্দের পাটিসাপটা পিঠা।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসা করার জন্য।
এই পিঠা আমার খুব পছন্দের। আমিও মাঝে মাঝে বানিয়ে খাই। আপনার পিঠার রেসিপি এবং কালার দুইটাই অসাধারণ হয়েছে।অনেক ডেলিশশিয়াস, 😋😋
অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও 😋😋
নারিকেল দিয়ে পাটিসাপটা পিঠা খুব সুস্বাদু হয়েছিল হয়তো খেতে ।😋😋
দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন
দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে
পিঠার কালারটা দারুণ ভাবে ফুটেছে এই জন্যই হয়তো এত আকর্ষণীয় লাগছে।।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসার জন্য।
সত্যিই পাটিসাপটা পিঠা গুলো দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। আমার তো দেখে খুবই ভাল লেগেছে। সত্যিই পাটিসাপটা খেতে খুবই ভালো লাগে আমার। তেমনি সুন্দর হয়েছে আপনার পাটিসাপটা পিঠা গুলো। আসলেই যে দেখবে তার এ খেতে ইচ্ছে করবে এই পাটিসাপটা পিঠা। সত্যি পিঠা গুলো দেখতে খুবই আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।