কুমোরটুলিতে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।কুমোরটুলিকে উত্তর কলকাতায় ইমোশন বলা চলে।কুমোরটুলি কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটা।কলকাতাবাসী ও কলকাতাপ্রেমীদের কাছে এই জায়গা আবেগের অপর নাম। এই অঞ্চল থেকে মৃৎ শিল্পীদের বসতি অঞ্চল বলা হয় ।কলকাতার এই অঞ্চল থেকে দেব দেবীর প্রতিমা সব জায়গায় সরবরাহ করা হয়, শুধু কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নয় দেশের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় এই অঞ্চল থেকে মুক্তি পেতে রপ্তানি করা হয়। কুমোরটুলি পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত মৃৎশিল্প কেন্দ্র।কুমোরটুলি শিল্পীদের দুর্গা প্রতিমার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে দেশ বিদেশ জুড়ে। শুধু দুর্গা প্রতিমাই নয় বাঙ্গালীদের সমস্ত পূজার প্রতিমা এই কুমোরটুলিতেই কিন্তু তৈরি হয়ে থাকে। বর্তমানকালে কুমারটুলির দুর্গা প্রতিমা আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা,ইউরোপ, জাপান ইতালি সমস্ত প্রবাসী বাঙালিদের কাছে সরবরাহ করা হয়। প্রতিবছর বিশ্বের ৯৩ টি রাষ্ট্রে কলকাতার এই পটুয়াপাড়া থেকে প্রতিমা প্রেরণ করা হয়ে থাকে। এই সংখ্যা বর্তমানে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক পূর্ব ইউরোপীয় দেশ, যেখানে পূর্বে ধর্মীয় উৎসব নিষিদ্ধ ছিল, সেখান থেকেও এখন অনেক বরাত আসে। কুমারটুলি শিল্পী সংঘের এক মুখপাত্রের মতে, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া ও পোল্যান্ড থেকে অনেক অনাবাসী ভারতীয় কলকাতায় এসে দুর্গাপ্রতিমা কিনে নিয়ে যান। আবার বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ গ্রেটার শিকাগো, দক্ষিণী, সংস্কৃতি, গার্ডেন স্টেট পূজা কমিটি অফ নিউ জার্সি, ইস্ট কোস্ট দুর্গা পূজা কমিটি অফ নিউ ইয়র্ক প্রভৃতি সংস্থার পক্ষ থেকে মার্কিননিবাসী ভারতীয়েরা কুমারটুলিতে এসে প্রতিমা পছন্দ করে নিয়ে যান। এছাড়া কলকাতায় অনাবাসীদের প্রতিমা কেনায় সাহায্য করার জন্য শতাধিক এজেন্টও কাজ করেন।যদিও কুমারটুলির প্রতিমাশিল্পীরা অনেকেই দারিদ্র্যের মধ্যে দিনযাপন করেন। কুমারটুলির প্রতিমাশিল্পীদের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হলেন মোহনবাঁশী রুদ্রপাল ও তার দুই পুত্র সনাতন রুদ্রপাল ও প্রদীপ রুদ্রপাল, গোরা চাঁদ পাল, প্রদ্যোৎ পাল, রাখাল পাল, গণেশ পাল, অলোক সেন, কার্তিক পাল, কেনা পাল প্রমুখ। বর্তমান যুগে ‘থিম শিল্পী’দের রমরমা সত্ত্বেও সনাতন প্রতিমার গুণগ্রাহী আজও কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের দিয়ে প্রতিমা নির্মাণ করান। পুরুষদের পাশাপাশি কুমারটুলিতে প্রায় ৩০ জন মহিলা প্রতিমাশিল্পী রয়েছেন।সরস্বতী পুজোর বেশ কিছুদিন আগে কুমোরটুলি গিয়েছিলাম। পূজো উপলক্ষে কুমোরটুলিতে ব্যস্ততা তখন তুঙ্গে। সেই সময় অলরেডি অনেকেই ঠাকুর বায়না করে রেখেছেন।আমি আগেই বলেছিলাম যে উত্তর কলকাতা থেকে আমার বাড়ি খুবই কাছে। আর কুমোরটুলি থেকে আমার কলেজ দু মিনিটের পথ ছিল। তাই এই জায়গায় আমি প্রায়ই আসতাম ।আমার খুবই ভালো লাগে কুমোরটুলিতে আসতে। আজ কুমোরটুলিতে তোলা সরস্বতী ঠাকুরের কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
ডিভাইস | vivo v21 |
---|---|
লোকেশন | কুমোরটুলি(উত্তর কলকাতা ) |
ক্রেডিট | @swagata21 |
আমি যতদূর জানি এবং দেখেছি বিভিন্ন মুভিতে কুমোরটুলি হলো প্রতিমা কারিগর দের জায়গা। এবং এখানে অসংখ্য প্রতিমা তৈরি করা হয়। এবং এদের হাতের কাজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসনীয় ও পুরষ্কারপ্রাপ্ত। দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দিদি। বেশ সুন্দর ছিল।।
একটা জায়গাতে এতো গুলো শিল্পী থাকতে পারে!ভাবতেই তো পারিনা এসব জাস্ট।শিল্পীর হাতের ছোঁয়ার দেখা পাওয়া দুষ্কর আজকাল।
অনেকগুলো অজানা তথ্য আজ জানতে পারলাম দিদি, সত্যি বলতে এটা একদিকে অবাক করার বিষয় আবার অন্যদিকে আপনাদের জন্য গর্বের বিষয়, এখনকার প্রতিমাগুলো বিশ্বের ৯৩ টি দেশে যায়। ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ ক্যাপচার করেছেন।
কুমোরটুলিতে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং অনেক অজানা তথ্য আপনার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন, পড়ে ভালো লাগলো।
কুমারটুলি কলকাতা বাঁশি ও কলকাতা প্রেমীদের সত্যিই একটা আবেগের জায়গা। গদ্যে কবিতায় গানে এই কুমারটুলির নাম কত বারই না উঠে আসে। আর এই সময় থিম শিল্পীদের রমরমা থাকা সত্ত্বেও কুমারটুলির মৃৎশিল্পী দের দিয়ে প্রতিমা বানানোর রেশ কমেনি, এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো।
কলকাতার কুমোরটুলির গল্প অনেক শুনেছি এবং টিভিতে দেখেছি। এবার কলকাতা গিয়ে ভীষণ ইচ্ছে ছিল একবার ঘুরে আসা কুমোরটুলি থেকে কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারিনি। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে সেই ইচ্ছের কিছুটা অংশ যেন পূরণ হয়ে গেল। শিল্পীর হাতের ছোঁয়া শিল্পকে কত অনন্য উচ্চতায় যে নিয়ে যেতে পারে সেটা ভাবতেই অবাক লাগে। প্রণাম জানাই সকল গুণী শিল্পীদের প্রতি।
কুমোরটুলিতে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
দিদি আলোকচিত্র গুলো দেখেই বুঝতে পারছি কেন ওই প্রতিমা গুলোর কদর বিশ্বজুড়ে। একেকটা প্রতিমা বিশেষত্ব একেক রকম। সব মিলিয়ে অসাধারণ লাগছিল আমার কাছে দেখতে। আর কুমোরটুলির তথ্যটি জেনে বিস্মিত হলাম। কারণ টিভিতে এর আগে শুনেছিলাম কুমোরটুলির শিল্পীদের কথা। কিনা কিন্তু আজকে বিস্তারিত জানতে পারলাম যে ৯৩টি দেশে প্রতিমা প্রেরণ করা হয়। তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিগত সময়ে দিদি কুমোরটুলির ঘটনা সম্পর্কে বেশ কিছু প্রতিবেদন দেখেছিলাম টিভিতে । বিশেষ করে দূর্গাপূজার আগে বেশ ভিড় থাকে সেই এলাকাতে । বেশ ভালই তথ্য দিয়েছেন দিদি । ভালোই ছিল প্রতিমা গুলোর ছবি গুলো ।
একটিমাত্র পাড়া থেকে পুরো বিশ্বে ৯৩ টি এ দেশে মূর্তি পাঠানো হয়!! সেটা কি ভাবা যায়.. সত্যি বৃহৎ মৃৎ শিল্প গড়ে উঠেছে সেখানে। তবে আমাদের নীলফামারীতেও ছোটখাটো মৃৎশিল্পীদের দেখা যায়। বিশেষ করে পুজোর সময় অনেক সুন্দর সুন্দর প্রতিমা তৈরি করে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল দিদি।