লাউ চিংড়ি রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে লাউ চিংড়ি ঘন্ট রেসিপি তৈরি করে দেখালাম।আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
লাউ চিংড়ি হল আঞ্চলিক গ্রাম বাংলার একটি রেসিপি। যা বাঙালির জনপ্রিয় একটি রেসিপি। লাউ চিংড়ি রান্না যেমন টেস্টি তেমন পুষ্টিকরও বটে।কারণ লাউ শরীরের অনেক উপকার করে। লাউয়ের মধ্যে যেমন প্রচুর পরিমাণে জল থাকে তেমনই থাকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানও ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম। ফলে শরীর সুস্থ থাকে। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর লাউয়ের মধ্যে কোলন নামের এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটার রয়েছে। যা শরীরে স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে বিভিন্ন মানসিক সমস্যাও দূরে থাকে। যাঁদের মধ্যে রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও রোজ লাউ খান। লাউয়ের মধ্যে যে পটাশিয়াম থাকে তাই আমাদের রক্তচাপ মাত্রার মধ্যে রাখে। তাছাড়া এই লাউ চিংড়ি রেসিপিটি আমার খুব ভালো লাগে এবং আমাদের বাড়িতে প্রায়ই এই রান্নাটি হয়ে থাকে। আর চিংড়ি দিয়ে যেকোনো রান্নাই খুবই সুস্বাদু লাগে খেতে। আর খুব সহজেই রেসিপিটি তৈরি করা যায়, তাই আজকে আমি লাউ চিংড়ির রেসিপি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. লাউ | ১ টি (কুচোনো) |
২. সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
৩. তেজ পাতা | ২ টো |
৪. চিংড়ি মাছ | ১৫০ গ্রাম |
৫. হলুদ গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
৬. জিরে ফোড়ন | পরিমাণ মতো |
৭. কাঁচা লঙ্কা | ২ টো |
৮. লবণ | ১ চামচ |
৯. চিনি | ১ চামচ |
১০.গরম মশলা | পরিমাণ মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমে একটি লাউ ভাল করে কুচিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• এরপর একটি কড়াইতে সাদা তেল গরম করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• তেল গরম হয়ে এলে জিরে তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর নুন, হলুদ দিয়ে মাখানো চিংড়ি মাছ গুলো হালকা ভেজে নিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর ঝিরিঝিরি করে কেটে রাখা লাউ দিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• এরপর পরিমাণমতো নুন, হলুদ দিয়ে দিলাম।লাউ এর থেকে যে জল বেড়োবে তাতে ই রান্নাটা হবে।
সপ্তম ধাপ
• লাউ এর জল শুকিয়ে এলে এর মধ্যে চিনি,চিংড়ি মাছ দিয়ে দিলাম। তার সঙ্গে দুটো কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিলাম ।এরপর বেশ কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলাম একটি পাত্র দিয়ে।
অষ্টম ধাপ
• সবশেষে গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে দিলাম।
নবম ধাপ
•তারপর এক চামচ চিনি দিয়ে নামিয়ে দিলাম।
দশম ধাপ
ব্যাস এভাবে লাউ চিংড়ি তৈরি হয়ে গেল ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দিদি আপনার রান্না করা লাউ চিংড়ির ঘন্ট বেশ লোভনীয় হয়েছে। লাউ এর অনেক গুন। আর শীতকালে লাউ সবজি দারুন হয় খেতে। আপনার রেসিপির উপস্থাপনা খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।
লাউ চিংড়ির কম্বিনেশনটা কিন্তু বেশ লাগে দিদি। যদিও আম্মু অন্য ভাবে রাধে। চিংড়ি গুলো ছোট থাকে আর লাউ এর পিছ গুলো বড় থাকে। তবে রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে আপনার এই রেসিপি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে।
ঠিকই বলেছেন লাউ চিংড়ি গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী খাবার আমার তো খুবই ফেভারিট।
বিশেষ করে লাউ চিংড়ি ঘন্ট সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
আপনি অনেক মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে।
লাউয়ের এত পুষ্টিগুণ ও গুনাগুণ সম্পর্কে জানা ছিল না দিদি। যদিও লাউ খেতে পারি না। তবে লাউয়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরে মনে হচ্ছে এখন থেকে লাউ খেতে হবে। লাউ চিংড়ি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। এই খাবারটি খেতে সবাই পছন্দ করে। চিংড়ি মাছ আমার ভীষণ প্রিয়। যে কোন সবজির সাথে চিংড়ি মাছ রান্না করে খেতে ভালো লাগে। এভাবে একদিন লাউ চিংড়ি রান্না করে খেয়ে দেখতে হবে দিদি। দারুন লোভনীয় দেখাচ্ছে আপনার তৈরি করা এই রেসিপি।
দিদি দারুন বলেছেন লাউ চিংড়ি সত্যিই জনপ্রিয় একটি রেসিপি। আমাকে যদি বলা হয় সবথেকে কোন তরকারিটা বেশি ভালো লাগে নিঃসন্দেহে লাউ চিংড়ি তরকারির কথা বলবো।
ভীষণ লোভনীয় দেখাচ্ছে তরকারিটা, আর বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ দিদি দারুন রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
লাউ আমার খুবই প্রিয় একটি তরকারি। লাউ তরকারিটা মাছ দিয়ে রান্না করে রুটি দিয়ে খেতে খুবই মজা লাগে। আপনি চিংড়ি দিয়ে লাউ মাছ রান্না করেছেন। রান্না দেখে বোঝা আছে রান্নাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। গ্রাম বাংলা সব থেকে পরিচিত দরকার হচ্ছে এই লাউ। আরে লাউ পছন্দ করেনা এমন লোকের সংখ্যা খুব কমই আছে।লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছের খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।
অও,লাউ দিয়ে চিংড়ি রেসিপিটি দারুণ হয়েছে দিদি।লাউ শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং পেটকে ঠান্ডা করে।আপনি সুন্দর বর্ননা দিয়েছেন।তাছাড়া চিংড়ি দিয়ে লাউ ভাজি অনেক সুস্বাদু লাগে খেতে।ধন্যবাদ দিদি।
হুম লাউ চিংড়ি গ্রাম বাংলার খুব জনপ্রিয় একটি তরকারি। লাউয়ের অনেক ঔষুধি গুন আছে তা জানতাম। কিন্তু আজকে আপনার মাধ্যমে লাউয়ের যে এত গুন তা জানা হলো। তাহলে তো আমাদের প্রতিদিন রান্নায় একটি লাউ অনায়াসে রাখা যায়। যাক দিদি আপনার লাউ চিংড়ির বাঙালি রান্নার রেসিপিটি কিন্তু বেশ লাগছে। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বদু হবে।
লাউ চিংড়ি রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। পুষ্টিকর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ইউনিক রেসিপি দেখে আমিও শিখে নিলাম। চিংড়ি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয়েছে। কখনো লাউ দিয়ে খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।
আসলেই দিদি লাউ আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি ৷ তবে চিংড়ি মাছ টাও বেশ পছন্দের সবার ৷ আপনি লাউ চিংড়ি মাছের বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে ৷ আসলেই এভাবে রান্না করলে বেশ ভালোই লাগে খেতে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় এবং মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷