মা বাবার অ্যানিভার্সারির কিছু মুহূর্ত 🤭।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে মা বাবার অ্যানিভার্সারির কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
আগের পর্বে বলেছিলাম যে সন্ধ্যেবেলার মধ্যে অনেক কিছু কেনাকাটা করতে হয়েছিল।আর সেই গুলো কেনাকাটি করতে করতে বাড়ি আসতে সাড়ে আটটা বেজে গিয়েছিল। আর মা বাবা কোথায় আছে এই খবর দেওয়ার জন্য আমি বোনকে বলে রেখেছিলাম কারণ বোন মা-বাবার সাথে গিয়েছিল ।আর আমি যখন বাড়ি এসেছিলাম তখন অলরেডি মা বাবা দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রো ধরে নিয়েছে বারিবাসার জন্য আর সেখান থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব প্রায় তিরিশ মিনিট মতো আর আমার হাতে খুব কম করে হলেও আধ ঘন্টা থেকেই এক ঘন্টা মত ছিল। আর এই এক ঘন্টার মধ্যে আমাকে সমস্ত ঘর সাজাতে হবে খুব চাপের মধ্যেই পড়ে গিয়েছিলাম ।এত কিছু ভেবে আমি নিচে গেলাম দেখলাম কোনো ভাই বোন আছে কিনা সাহায্য করার জন্য ।দেখলাম বাড়িতে সেভাবে কেউই নেই কারণ আমি যে বেলুনগুলো এনেছিলাম ওই বেলুন গুলো ফোলাতে পারলেও গিট দিতে পারি না😔।আর এই কাজগুলো পারে একমাত্র আমার ভাইরা ।কিন্তু এমন অবস্থা যে একজন ভাই ঘুমাচ্ছিল আর একজন বাড়িতেই ছিল না তারপর বড় কাকাকে জিজ্ঞেস করলাম পারবে কিনা তো বললো পারবে ব্যাস এই শুনে সব বেলুন কাকার কাছে নিয়ে চলে এলাম। ৫০ টা বেলুন এনেছিলাম তার মধ্যে তো পনেরোটা মতো ফেটেই গেল বাদবাকি যা ছিল এক ঘন্টার মধ্যে সেগুলো দিয়ে ঘর সাজানো হয়ে গেল ।
আর গোলাপ ফুল দিয়ে বিছানার উপরটা সাজিয়ে নিলাম।আর ঘর সাজানোর সাথে সাথে মা ও চলে এলো। মা চলে আসার পর বাড়ির সবার জন্য ওয়েট করছিলাম ঠিক আধঘন্টা পর বাড়ির সবাই চলে এলো। ততক্ষণে মা-বাবার ছবি তুলছিলাম।ছবি তুলে যে ঘরটা সাজিয়েছিলাম সেই ঘরে নিয়ে গেলাম । ঘরটা সাজানো দেখে মায়ের খুব ভালো লেগেছে । বাবা ও খুবই খুশি। মা আশা করেনি যে এরকম ভাবে সারপ্রাইজ দেবো তারপর আমি যে শাড়িটা কিনেছিলাম সেটাও তখন মায়ের হাতে তুলে দিলাম । তারপর মা-বাবা কেক কাটলো। কেক কাটা হয়ে গেলে সেই কেক সবাইকে ভাগ করে দিয়ে ফ্যামিলির সবাই মিলে ছবি তুললাম একসাথে।
এইসব করতে করতে অনেকটা রাত হয়ে গেছিল। তারপর সব ভাইবোন একসাথে খেতে বসে গেলাম । খুব আনন্দ করে, সন্ধ্যেবেলাটা কাটালাম ।এভাবেই অ্যানিভার্সারি দিনটা সেলিব্রেট করলাম।
সবাই দেখতে অনেক সুন্দর।।
সবই বুঝতে পারছি 😒
আগের পর্ব পড়েছিলাম।আসলেই খুব ভালো সারপ্রাইজ হলো।বেশ সুন্দর সাজিয়েছেন।আপু।শুভ কামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে❤️।
খুব অল্প সময়ের মাঝে ঘরটা কিন্তু দারুণ ভাবে সাজিয়ে ফেলেছেন দেখছি। গোলাপ ফুলের হার্ট সিম্বল্ টি দেখে মনে হচ্ছে ওইটা বিছানায় যেন প্রিন্ট করে দেওয়া। চিন্তা করছি হঠাৎ এমন সাজানো গোছানো আয়োজন দেখে আংকেল আন্টি কতইনা খুশী হয়েছিল।
কিন্তু এটা কত তম বিবাহ বার্ষিকী ছিল তা কিন্তু অজানায় থেকে গেল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭ তম বিবাহ বার্ষিকী ছিল।আগের পর্বে দিয়েছিলাম 😊।
সকলে মিলে খুব সুন্দর ভাবে ঘরটি সাজিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। এভাবে বাবা-মাকে আনন্দ দিতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মা বাবার অ্যানিভার্সারির মুহূর্ত অনেক আনন্দ মজার সাথে পার করেছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর তারা একসাথে পার করলো এভাবেই হাজার বছর পার করুক এই দোয়া রইল।
আপনার আব্বা আমার বিবাহ বার্ষিকী অনেক সুন্দর ভাবে সেলিব্রেট করা হয়েছে সবকিছুই আপনার পরিকল্পনা মাত্রিক সম্পন্ন হয়েছে দেখলাম। ঘরের ডেকোরেশন দেখে খুব ভালো লাগলো অনেক চমৎকার একটি সময় কেটেছে। প্রার্থনা করি প্রতিটি দিন যেন আপনার এমন আনন্দের সহিত কাটুক।
আপনার মা-বাবার এনিভার্সারি আপনি খুব জাঁকজমক ভাবে পালন করেছেন। তবে এত অল্প সময়ে এত কিছু করেছেন সত্যি অবাক করার মত। কাউকে না পেয়ে কাকাকে দিয়ে বেলুন ফুলেতে গিয়ে ৫০টার মধ্যে ৩৫ টা টিকেছে এটা স্বাভাবিক বেলুন ফুলাতে গেলে ফুটে যায়। তবুও যে আপনার মা বাবাকে স্পেশাল কিছু উপহার দিতে পেরেছেন সেটাই বা কম কিসে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
বাহ,দারুণভাবে সারপ্রাইজ দিয়েছেন দিদি আপনার মা-বাবাকে।খুবই সুন্দর করে ঘরটি সাজিয়েছেন,সবাই অনেক খুশি।বাবা মায়ের একটুখানি ভালো লাগা দেখলে মন ভরে যায়। ধন্যবাদ দিদি,শুভকামনা রইলো আপনার পরিবারের জন্য।