শিক্ষক দিবস নিয়ে কিছু কথা ।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন। আজ আমি শিক্ষক দিবস কিছু কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
ক থায় বলে জীবনে যিনি প্রথম আলো দেখান তিনি প্রথম গুরু। যে মানুষটি হাত ধরে সমস্ত বাধা-বিপত্তি চলতে সাহায্য করেন তিনি দ্বিতীয় আর অবশ্যই হাজার চড়াই উতরায় পার করতে জীবনের জ্ঞান সমৃদ্ধ করার চেষ্টায় যিনি আমাদের প্রতিনিয়ত নানাভাবে সাহায্য করে চলেছেন তিনি শিক্ষাগুরু। ছোটবেলা থেকে সবাই শিক্ষকের প্রতি এক অগাধ শ্রদ্ধা সম্মান এবং ভালোবাসা নিয়ে পথ চলতে শুরু করে। বিদ্যা, অধিবিদ্যা, সঙ্গীত, বাচিক, গবেষণা ও জীবন শিক্ষায় যারা শিখিয়েছেন এবং প্রতিনিয়ত শিখিয়ে চলেছেন তাঁদের সকলকে জানাই শিক্ষক দিবসের আভূমি প্রণাম lআজ ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস,ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন ভারতের শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। শিক্ষক দিবস বলেই শুধুমাত্র সম্মান প্রদর্শন নয়। শিক্ষকদের প্রতি এই সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন চলুক ১২টা মাস। ৩৬৫ টা দিন ভালো থাকুক সমস্ত শিক্ষকেরা।
আজ আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতি সংস্কার দিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মান্যতা দেওয়ার বিশেষ দিন।আমাদের শিক্ষাব্রতে শিক্ষিত ও দীক্ষিত করার প্রয়াসকে বহন করে এসেছেন এবং চলেছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা।একুশ শতকে নারীর ক্ষমতায়নের কাণ্ডারিকে তাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন লক্ষ্যের দিকে।শ্রী শ্রী সারদা মা'র 'জীবনদর্শন' অনুসরণ করলে দেখা যায় তিনি ছিলেন ত্যাগ,সহমর্মিতা,সততা,সহানুভূতির মুর্ত প্রতীক।আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি যেন একটি বন্দুক।আর আমরা যেন সেই বন্দুকের গুলি।আর আমাদের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা সেই বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দিয়ে সটান ছুটিয়ে দেন এই গুলিদের,যারা নাশ করে অশুভ শক্তি,উদাত্ত কন্ঠে বলতে পারে,"আমরা করবো জয় নিশ্চয়।"
প্রারম্ভিক শিক্ষা পেয়েছি বাবা মায়ের কাছ থেকে।চলতে শিখেছি,বর্ণমালা শিখেছি,রূপকথাদের গল্প শুনেছি,এমনকি রামায়ণ শুনেছি বাবা মায়ের কাছেই।আমাদের শেখার হাতেখড়ি তাঁদের হাতেই।গুরুজনদের সম্মান জানানো,উচিত অনুচিতের বোধ সবটাই বাবা মায়ের কাছে শিখেছি।তাঁরাই প্রথম গৃহশিক্ষক।তাঁদের দেখানো পথ,তাঁদের বলা দৃঢ় চরিত্র গঠনের প্রতিটি পদক্ষেপ চিরস্মরণীয়।
প্রত্যেক শিক্ষাগুরুই হলেন মানুষ তৈরীর কারিগর। আমরা অনবরত সকলের কাছ থেকে শিখেই চলেছি।শেখার কোনো শেষ নেই। আমরা কনিষ্ঠদের কাছ থেকেও অনেক সময় অনেক কিছু শিখি, জীবনের প্রতি মুহূর্তেই শিক্ষা গ্রহণ করি। ছোটোবেলাতে মায়ের মুখে শোনা বই খাতা পড়ার বাইরেও মানুষ হওয়ার পড়াটা সবচেয়ে দামি, সেটাতেই নিজেদের পারদর্শী করে তুলতে হবে জীবনের সব পরীক্ষায় যেমন পাস করাটা জরুরী নয়, তেমন হার মেনে নেওয়াটাও অন্তিম পদক্ষেপ নয়।মা,তুমিই আমার প্রথম এবং প্রিয় শিক্ষক। যার কাছে নিজের প্রথম ভাষাটা শিখেছি।জীবনে চলার পথে আজও প্রতি মুহূর্তে শিখে চলেছি। আর এভাবেই শিখতে থাকবো।
একজন মানুষের সমস্ত সফলতার পেছনে যেমন মা বাবার অবদান থাকে তেমনি শিক্ষক শিক্ষিকার অবদান ও অপরিসীম। একজন আদর্শ শিক্ষক শুধু পড়াশুনায় এগিয়ে যাওয়া নয় তিনি তাঁর ছাত্র ছাত্রীদের মানুষের মতো মানুষ হতে সাহায্য করে। তিনি যেমন ছাত্রের সাফল্যের পাশে থাকেন তেমনি ব্যর্থতার পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিয়ে থাকেন, একটি ছোট চারাগাছ যেমন কারো যত্নে বড় হয়ে উঠে আমাদের ফুল, ফল, ছায়া, অক্সিজেন আরও কত কি উপকারে আসে একজন আদর্শ শিক্ষকের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ছাত্ররা ও তেমনি আদর্শ মানুষ হয়ে উঠে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। গুরু দ্রোণাচার্য না থাকলে যেমন অর্জুন বিশ্বে সেরা তীরন্দাজ তৈরি হত না তেমনি ভালো শিক্ষক না থাকলে আমাদের সমাজে এত ভালো ভালো মানুষ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লেখক, গায়ক কিছুই তৈরি হত না।একমাত্র পিতা, মাতা ও শিক্ষকই পারেন দুর্নীতি মুক্ত ভালো সুন্দর সমাজ উপহার দিতে। তাই দেশের উন্নতির চাবিকাঠি শিক্ষক শিক্ষিকার কাছেই লুকিয়ে আছে।
প্রথমে সকল শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। প্রত্যেকটা দিনই আমাদের কাছে শিক্ষক দিবস। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে শিক্ষকদেরকে নিয়ে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
শিক্ষক দিবসে আপনি শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অনেক সুন্দর ভাবে কিছু কথা তুলে ধরেছেন আপু। পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। শিক্ষক শব্দটির সাথে মিশে আছে অনেক স্নেহ এবং শ্রদ্ধা। পৃথিবীর সব শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
আপনার মত আমিও মনে করি পরিবারের পরেই অবস্থান আমাদের সেই শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের। পরিবারের পরে আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটি অর্জন করেছি। আজকে আমরা বড়াই করি যে আমরা কত শিক্ষিত কিন্তু এটা তাদেরই অবদান যারা আমাদের স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে শুরু করে সবকিছুই শিখিয়ে দিয়েছে। গভীরভাবে আমি শ্রদ্ধা জানাতে চাই আমার জীবনের সকল শিক্ষকদের কে।
বাহ বেশ ভালো লিখেছো ছোটো দিদি। তোমার লেখা প্রত্যেকটা কথাই খুব মূল্যবান ছিল। স্কুল এবং কলেজ লাইফে শিক্ষক দিবস টা খুব জাঁকজমক করে করতাম। তবে এখনো কিছু আমার পছন্দের শিক্ষক রয়েছে যাদের সাথে যোগাযোগ আছে এবং শিক্ষক দিবসে কথা হয়।
ঠিক বলেছেন, শুধু মাত্র একটা দিন শিক্ষকের জন্য হতে পারেনা। যারা সমাজ গড়ার কারিগর গোটা বছরের প্রত্যেকটা দিনই তাদের। আপনার পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো।
দিদি নমস্কার
দিদি এই শিক্ষক দিবসে শিক্ষক কে নিয়ে বেশ সুন্দর লিখেছেন ৷একটি সন্তান জন্ম হওয়ার পর বাবা মা ই প্রথম এবং কী দ্বিতীয় তো শিক্ষক যাদের সাহায্য আমরা আমাদের জ্ঞান বিবেক বুদ্ধিমতা সবকিছু কে কাজে লাগিয়ে পৌছে যাই জীবনকে রঙিন করতে করতে ৷একজন শিক্ষক শুধু শিক্ষক তিনি আমাদের গুরু ৷যেমনটা লিখেছেন
দিনশেষ বলবো প্রতিটি শিক্ষক ভালো থাকুক সবসময়ই
প্রথমেই শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা আপু।কথাগুলো বেশ ভালো লাগলো,জীবনে প্রথম দশায় বাবা মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম ঠিক তবে তারপর শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিহার্য। শেষের ছবিগুলোই প্রথম প্রথম আপনাকে খুঁজেই পাচ্ছিলাম না,পরে খুজে পেলাম🤓
শিক্ষক দিবসের আপনার এই পোষ্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু লেখাগুলো খুব সুন্দর লিখেছেন। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন শুধু একদিন না বছরের প্রত্যেকটা দিনই শিক্ষকদের জন্য সম্মান ও শ্রদ্ধা ভালবাসার এই দিনটি চালু থাকুক। আসলে আপনার কথাগুলো ঠিক বাবা মা ও শিক্ষকই পারেন দুর্নীতিমুক্ত সমাজ আমাদের কেউ উপহার দিতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর আজকে কিন্তু আপনাকে শাড়ি পরাতে খুবই সুন্দর লাগছে। ভালো থাকবেন আপু।
প্রথমেই শিক্ষক দিবসে প্রতিটা শিক্ষকের প্রতি রইল শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। কারণ শিক্ষকরা আমাদের মানুষ গড়ার কারিগর। পরিবারের পরে একজন শিক্ষক পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে তার ছাত্র-ছাত্রীদের। আর শিক্ষকরা সবসময় আদর্শবান ব্যক্তি। তারা সবসময় আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে। তাই শিক্ষকদের অবদান কখনোই ভুলা যাবে না প্রতিটা শিক্ষক এ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তাদের কথামতো এবং তাদের দেখানো পথেই চলে আজ আমরা মানুষের মতো মানুষ হতে পেরেছি। তাই প্রতিটা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আপনি খুবই সুন্দরভাবে শিক্ষকের গুরুত্ব আমাদের সাথে আলোচনা করেন, ভালো লাগলো।
আসলেই একদম ঠিক কথা বলেছেন একজন মানুষের সফলতার পেছনে যেমন মা বাবার অবদান থাকে তেমনি শিক্ষকের অবদান অনেক বেশি। আমি আপনার কথাগুলো পড়ে বুঝতে পেরেছি কথাগুলো কতটা মূল্যবান ছিল। আসলে আমরা একজন সঠিক মানুষ হিসেবে গড়তে হলে শিক্ষকরাই আমাদের প্রতিটা পদক্ষেপে এগিয়ে আসে। দিবসটা আমাদের জন্য সত্যিই অনেক মূল্যবান ছিল। আপনাদের কলেজের ছবিগুলো বেশ ভালো লেগেছে।