মাটির ভাঁড়ে পেইন্টিং

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে অনেকদিন পর নতুন একটি জিনিস নিয়ে হাজির হলাম।


এই যে শীতকালে অনেক জায়গায় অনেক রকম মেলা বসেছে আপনারা সবাই সেটা দেখতেই পাচ্ছেন । আবার হয়তো আপনারা সেই সব মেলায় যাচ্ছেন ও। আমার সব রকম মেলার মধ্যে হস্তশিল্প মেলা খুব ভালো লাগে ,এবং খুব ইউনিক মনে হয় সেখানকার জিনিসগুলো। আমি হস্তশিল্প মেলায় গিয়ে এমন অনেক কিছু দেখেছি যা আমাকে খুব অবাক করে দিয়েছে। এই কারণেই কথাগুলো বললাম আমার মনে হয় যে মানুষ পারে না এমন কিছু নেই। কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস দিয়ে কত সৌখিন জিনিসপত্র বানানো যায় এবং সেগুলি ঘরের মধ্যে রাখলে ঘরের কতটা সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয় তা না কিনলে বা নিজের হাতে না বানালে বোঝা যায় না ।সেখান থেকে আজকে আমি খুব সামান্য একটা জিনিস দিয়ে পটের মধ্যে পেইন্টিং করেছি যেটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এটা করতে আমার খুব একটা সময় না লাগলেও করার পর আমার কাছে দেখতে খুব ভালো লাগছিল।আমরা অনেক সময় চা খেয়ে চায়ের ভাঁড় মাটিতে ফেলে দিই। হয়তো অনেকেই তাই করে, আমিও কিন্তু তাই করি। কিন্তু কিছুদিন আগে চা খেয়ে আর ইচ্ছা করলো না সেই ভাঁড়টা ফেলে দিতে ।তাই আমি সাথে করেই নিয়ে এলাম । নিয়ে এসে ভালো করে ভাঁড়টা ধুয়ে ভাবলাম যে কি আঁকা যায় তারপর ভাবলাম যে যদি ইয়ার বাদস দিয়ে ফুল আঁকি ,দেখতে কেমন লাগবে তাই নিজের মতন করে ফুলের পেন্টিং করলাম। আশা করি সকলের কাছে খুব ভালো লাগবে। পরবর্তীতে ইচ্ছা আছে এরকম নতুন নতুন কিছু তৈরি করে আপনাদের সাথে সেগুলো ভাগ করে নেবো।



WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.04 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.03 PM.jpeg




অংকন পদ্ধতি:


উপকরণ


• মাটির ভাঁড়
• ইয়ার বাড
• সাদা রং
• কলো রং
• সবুজ রং
• হলুদ রং
• তুলি



প্রথম ধাপ


• প্রথমে একটি মাটির চায়ের ভাঁড় নিয়ে নিলাম। তার সাথে একটি তুলি, ইয়ারবাড, সাদা রং ,কালো রং, এবং হলুদ রং নিয়ে নিলাম।

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.32.55 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.08 PM.jpeg


দ্বিতীয় ধাপ



• এরপর ওই মাটির ভাঁড়ে তুলি দিয়ে কালো রং করলাম।

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.08 PM (1).jpeg


তৃতীয় ধাপ



• এইভাবে পুরো ভাঁড়টা কালো রং করে নিলাম।

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.08 PM (3).jpeg


চতুর্থ ধাপ


• এরপর একটি ইয়ার বাড ও সাদা রং নিয়ে নিলাম। তারপরও ইয়ার বাড দিয়ে ফুল একে নিলাম।

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.07 PM.jpeg

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.07 PM (1).jpeg


পঞ্চম ধাপ



• এইভাবে বেশ কয়েকটা ফুল আঁকলাম।

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.07 PM (2).jpeg


ষষ্ঠ ধাপ


• তারপর ফুলের মাঝখানটা হলুদ রং দিয়ে দিলাম।

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.07 PM (3).jpeg

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.06 PM (1).jpeg


সপ্তম ধাপ


• এরপর হলুদের সঙ্গে সবুজ কালার মিশিয়ে ডালপালা এঁকে নিলাম।

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.05 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.05 PM.jpeg

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.06 PM (2).jpeg


অষ্টম ধাপ



• ব্যাস এভাবেই তৈরি করে নিলাম মাটির ভাঁড়ের উপর সুন্দর একটি পেইন্টিং।

WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.04 PM.jpeg



নবম ধাপ


WhatsApp Image 2023-02-02 at 11.40.04 PM (1).jpeg


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

Sort:  
 last year 

আপনি খুবই সুন্দর করে মাটির ভাঁড়টি পেইন্টিং করেছেন। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ঠিক বলেছেন এখন সারা বছরই কম বেশি অনেক মেলা হয়ে থাকে আশে পাশে। মেলায় গেলে দেখা যায় মানুষ কত সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করে বিক্রি করছে। আমি ও চা খেয়ে মাটির ভাঁড় ফেলে দেয়। কিন্তু এরপর থেকে আর দিব না। ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম একটি পেইন্টিং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

এরকম ক্রিয়েটিভ কাজ গুলো করতে কার না ভালো লাগে। আপনি খুব দারুণ একটি কাজ করেছেন দিদি। চায়ের কাপের ভাঁড়ে এত সুন্দর একটি পেইন্টিং করেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আসলে হস্তশিল্প মেলাগুলো অথবা যে কোন মেলায় যখন এরকম হাতে করা কোন জিনিসপত্র দেখা যায় তখন মনে হয় যে এই জিনিসগুলো আমরা নিজেরাই করতে পারব। তবে খুবই সুন্দর হয়েছে এটি। কালো রঙের মধ্যে সাদা রঙের ফুলটি খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

 last year 

আপনি তো দারুণ মাটির ভাঁড়ে পেইন্টিং করেছেন দিদি। এটা ঠিক যে শীতকালে আমরা নানা ধরনের মেলায় ঘুরাঘুরি করতে যাই। সেসব মেলায় কত কিছুই না চোখে পড়ে আমাদের। সব সময় হয়তো মেলায় ঘুরতে গেলে কিছু না কিছু কিনে নিয়ে আসতে ইচ্ছে করে। কখনো কখনো হয়তো টাকা না থাকার কারণে আমাদের ইচ্ছে থাকার সত্ত্বেও সেসব জিনিসগুলো কিনতে পারি না। যদি আমরা চেষ্টা করি সেসব জিনিস ঘরে তৈরি করার তাহলে খুবই ভালো হয়। কারণ মানুষ চেষ্টা করলে সব কিছুই তৈরি করার সম্ভবনা থাকে। আমিও আপনার মত ছোটখাটো জিনিসের মধ্যে পেন্টিং করতে ভীষণ পছন্দ করে দিদি। এরকম একটি আইডিয়া আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরে আমাদের নিজেরও চেষ্টাটা আরও বাড়িয়ে দিলেন আপনি। আপনাদের কাছ থেকে এরকম অনুপ্রেরণা পেয়ে কাজ করতে অনেক ভালো লাগে।

 last year 

হ‍্যা দিদি মেলায় গেলে মাটির কারুকাজ করা পেইন্টিং করা এইরকম জিনিস দেখা যায়। তবে আমাদের দিকে মেলা খুবই কম হয় সেজন্য যাওয়াও হয় না। চায়ের ভাড় ফেলে না দিয়ে তার উপর পেইন্টিং চমৎকার হয়েছে। এখন অনেক টা ফুলের টব মনে হচ্ছে। অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে।।

 last year 

শীতকালে অনেক জায়গাতেই মেলা হয় আপনার মত আমার লোকশিল্প মেলায় যেতে খুবই ভালো লাগে দিদি। বর্তমান সময়ে মেলাতে এমন একটা মাটির জিনিসের হাড়ি পাতিল খুব একটা দেখা যায় না তবে কিছু কিছু মেলায় সেগুলো পরিলক্ষিত করা যায়। সত্যিই আমরা চা খেয়ে মাটির সেই হাড়ে ফেলে দিই কিন্তু আপনি সেটা নিয়ে এসে খুবই চমৎকার একটি পেইন্টিং দিয়ে সেটাকে পরিপূর্ণ করে তুলেছেন। দেখতে অনেকটাই আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে সুন্দর এই পেইন্টিংটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আপনার এই বিষয়ে দক্ষতা আছে দেখছি, সত্যিই অসাধারণ ভাবে মাটির ভারকে রঙ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছোটবেলায় এধরনের কাজ আমি অনেক করতাম তবে বর্তমানে সময়ের কারণে এসব পেইন্টিং আর করা হয় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর এবং চমৎকার একটি মাটির ভারের পেইন্টিং আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।

 last year 

দারুন দিদি।😍 একটা সামান্য মাটির ভাড়কে কি সুন্দর হাতের ছোঁয়ায় করে ফেললেন।দেখতে কিন্তু দারুন হয়েছে।আপনার উপস্থাপনা খুব ভাল লাগলো। আপনি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

দিদি মানুষের হাত লাগলে ক্ষুদ্র একটি জিনিষও কত সুন্দর হয়ে যায়। চা খেয়ে মাটির এই ভাঁড়টিকে ছুড়ে ফেলে দেয়। কিন্তুু আপনার মত করে যদি চিন্তা করা যায় তাহলে পরিবেশটা কত সুন্দর হতো। মাটির ভাঁড়ে সুন্দর একটি পেইটিং করেছেন। ধন্যবাদ দিদি।

 last year 

দিদি আমার সর্বদাই সৃজনশীল মানুষ, যা বরাবরই প্রমানিত। জাস্ট অসাধারণ হয়েছে চায়ের ভাঁড়ে রং তুলির কারুকাজ।

শুভেচ্ছা রইল দিদি ভাই। 😍🙏

 last year 

অনেক ধন্যবাদ দাদা❤️

 last year 

হস্তশিল্পের মেলা কিংবা কুটির শিল্পের মেলাতে গেলে মানুষের তৈরি করা বিভিন্ন হস্তশিল্প গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আসলে মানুষের ক্রিয়েটিভিটি এবং নতুন নতুন আইডিয়া আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনিও সুন্দরভাবে মাটির ভাঁড়ের মধ্যে পেইন্টিং করেছেন দেখে ভালো লাগলো। পেইন্টিং দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর হয়েছে দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 70971.37
ETH 3805.38
USDT 1.00
SBD 3.42