কলকাতা বইমেলা পর্ব -২//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আগের দিন আমি আপনাদের সঙ্গে প্রথম দিনের বইমেলা যাওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে আমি দ্বিতীয় দিন বইমেলা গিয়ে বই কেনার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
কথায় আছে-' বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ'। বইমেলা তেরো পার্বণের পর চতুর্দশ পার্বণ হিসেবে আমাদের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।আর বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে বইমেলা ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে গেছে। এই বই পারে মানুষের মধ্যেকার চেতনাকে জাগাতে ।কারণ মানুষের পক্ষে যতগুলি সৎসঙ্গ আছে তার মধ্যে গ্রন্থের সঙ্গ সবচেয়ে বেশি মূল্যবান। যে কোন মেলা মানুষের মিলন ক্ষেত্র । আর যেখানে বহু মানুষ এক সঙ্গে মিলিত হয়ে ওঠে সেটিই হয়ে ওঠে তীর্থস্থান পূণ্যভূমি । যারা বই পড়ে না তারাও যদি বই মেলায় যায় একে অপরের দেখে একটি হলেও বই কিনে ফেলে। আর যারা বইপাগল তারা তো বিচিত্র বইয়ের সন্ধানে বইমেলাতে যাবেনই ।
প্রথম দিন যখন বই মেলাতে গিয়েছিলাম তখন ভেবে রেখেছিলাম কি কি বই কিনবো তাই একটু তাড়াতাড়ি গিয়েছিলাম । আর বইমেলা থেকে গেলে যেখান থেকে একেবারে বই না কিনলে যেখান থেকে প্রত্যেক বছর বই কিনেই থাকি আমার খুব পছন্দের দোকান বলা যেতে পারে সেটা হল আনন্দ পাবলিশার্স ।জানিনা এখানে প্রত্যেকটা কালেকশন আমার খুবই ভালো লাগে ,আমি প্রত্যেক বছরের বেশির ভাগ বইএখান থেকেই কিনে থাকি। তাই সবার প্রথমে আনন্দ পাবলিশার্স থেকে সমরেশ মজুমদারের লেখা একটি বই ,বিমল করের একটি বই, আর তার সাথে আমার খুব পছন্দের একজন লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ওনার লেখা একটি বই কিনলাম।
তারপর একটু এগিয়েই পত্রভারতীতে গেলাম। এই দোকানটি ও আমার কাছে খুবই পছন্দের। সেখান থেকেও কিছু কিছু বই কিনলাম। এরপর শৈব্যপ্রকাশনী থেকে কিছু বই কিনলাম। সত্যি কথা বলতে সেদিন অনেক গুলোই বই কিনেছিলাম । বইমেলায় গিয়ে হঠাৎ করেই বই কেনা যায় না ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখে বই কিনতে কিন্তু অনেকটাই দেরি হয়ে গেছিল । যতই বইয়ের লিস্ট ভাবা থাকুক সেই বইগুলো ছাড়াও এমন অনেক বই থাকে যেগুলো না দেখে কেনা যায় না। একটু দেখে কিনতে গেলে অনেকটা সময় লেগে যায় । আর বইমেলা গেলে সারাদিন সময় নিয়েই যেতে হয় ।আর আমি যেহেতু সন্ধ্যাবেলায় গিয়েছিলাম তাই এতটা সময় ছিল না । যা যা বই আমি কিনেছিলাম সবগুলোই আমার খুবই পছন্দের বই এবং যেগুলো ভেবেছিলাম কিনবো সেগুলো সবই আমি সেদিন কিনে ছিলাম।
কলকাতা বই মেলার পরতে-পরতে এবার বাংলাদেশের চিহ্ন। বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এবার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণকে থিম করে। শুধু তাই নয়, মেলার প্রধান তিনটি গেট তৈরি করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর রচিত তিনটি বইয়ের থিম নিয়ে। এবছরের বাংলাদেশ স্টলের সাজও হয়েছে অভিনব। রঙের বাহারে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবয়ব। এছাড়া ও সমগ্র স্টলের বাইরের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের সাহিত্যের ছোঁয়া। রয়েছে বাংলা ভাষা সংগ্রামের ইতিহাসের কথাও। একঝলকে যেন বাংলাদেশের সাহিত্য জগতকে স্মরণ করে নেওয়া হয়েছে দেওয়ালে দেওয়ালে।।
বই কেনার পর খাওয়া-দাওয়ার জায়গায় গেলাম । সেখানে কিছু খাবার খেলাম ।
সব মিলিয়ে বইমেলায় খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়ে ছিলাম।
কলকাতার বইমেলা সম্পর্কে এর আগেও শুনেছি এমনকি ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। আপনার বই মেলায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা দেখে ভালো লাগলো। এমন কি এটা শুনে ভালো লাগলো আপনি আপনার পছন্দমত বই কিনতে পেরেছেন। তাছাড়া বই মেলায় যাওয়ার আনন্দ সত্যিই আলাদা। সবশেষে খুব সুন্দর খাবার দাবার করলেন। মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বইমেলাতে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারলাম। সত্যিই বইমেলার দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। বঙ্গবন্ধুর তিনটি বইয়ের থিম দিয়ে খুবই সুন্দর গেইট তৈরি করা হয়েছে, দেখে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বইমেলা তেরো পার্বণের পর চতুর্দশ পার্বণ জেনে খুব ভালো লাগলো। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে শেখ মুজিবর এর বই আপনারা পড়েন। আপনাদের লাইব্রেরীতে আমাদের বাঙালি জাতির পিতার বই দেখে খুব ভালো লাগলো। বাকি সময়ের বর্ণনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমিক সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে উপহার দিয়েছেন। এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
দিদি ভারতীয় বইমেলা থেকে অনেকগুলো বই সংগ্রহ করেছেন দেখছি। বই পড়তে আমিও ভালোবাসি যেটা প্রায়ই পড়া হয়ে থাকে। এই ধরনের কিছু বইয়ের সাক্ষাতে অনেক ভালো লাগলো ।আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
দেখেও আসলে তাই ই মনে হচ্ছে।বেশ দারুণ ভাবে সাজিয়েছে।আপনার কেনা বই গুলো ভালো মানের।