দাদার আশীর্বাদ উপলক্ষ্যে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সাথে দাদার আশীর্বাদ উপলক্ষ্যে ক্যানিং এ কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন ধরে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় গুলো কাটছে ।কখন যে কিভাবে দিন চলে যাচ্ছে আমি নিজেই বুঝে উঠতে পারছি না । বেশ কিছু অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লাস্ট একটা সপ্তাহ কেটে গেল ।তার মধ্যে যেন একটি অনুষ্ঠান হল আমার এক দাদার আশীর্বাদ ।সেখানে বেশ দারুন একটা সময় কাটিয়েছে । সময় কিভাবে চলে যায় সেটা বোঝাই যায় না ।কিছুদিন আগে যে দাদার আশীর্বাদ খেয়ে এলাম তার সাথে আমার বয়সের ডিফারেন্স চার বছর হবে ।কিন্তু এই দাদার সাথে কত খেলাধুলা করেছি ছোটবেলায়। যখনই আমাদের বাড়িতে আসতো তখনই গল্প করা,ঘুরতে যাওয়া,আড্ডা দেওয়া সবকিছুই ছিল। আর কিছুদিন পরেই আবার তার বিয়েও খেতে যাবো ।ভাবলেই অবাক লাগে আমরা সবাই কত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেলাম ।
অনুষ্ঠানটি ছিল ক্যানিংয়ে।দমদম থেকে ক্যানিং যেতে ট্রেনে করে প্রায় তিন ঘন্টা মত লাগে । দুপুর বেলার অনুষ্ঠান যেহেতু ছিল তাই সকাল নটা নাগাদই বাড়ি থেকে বেরিয়ে দমদম থেকে ট্রেন ধরলাম দমদম থেকে শিয়ালদা গিয়ে আবার শিয়ালদা থেকে ক্যানিং এর ট্রেন ধরতে হলো। ট্রেনে করে যাওয়ার মজা কিন্তু আলাদা আর তার মধ্যে যেহেতু আমরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম তাই আরো বেশি মজা হয়েছিল। । তিন ঘন্টা ট্রেন জার্নির পর অবশেষে ক্যানিং এসে পৌছালাম।
এর আগে ক্যানিং গিয়েছিলাম প্রায় ছয় বছর আগে । আবার ৬ বছর পর ক্যানিং আসলাম । ক্যানিংয়ের খুব কাছাকাছি সুন্দরবন। তাই ক্যানিং জায়গাটি অনেক গাছপালা দিয়ে ঘেরা ।যে বাড়িটাতে অনুষ্ঠান হয়েছিল তার পরিবেশ এত সুন্দর ছিল দেখার মত। ওই জায়গায় ঢুকেই মনটা বেশ ভালো হয়ে গেল। কারণ চারপাশটা এত গাছপালা দিয়ে ঘেরা ছিল ।বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ তার মধ্যে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল খুব ভালো লাগছিল। গিয়েই দেখলাম আশীর্বাদের অনুষ্ঠান শুরু হবে।
প্রায় এগারোটা নাগাদ আশীর্বাদের অনুষ্ঠান শুরু হলো।বাড়ির বড়রা অনেকে আশীর্বাদ করলো ।যেহেতু ছেলে মেয়ের একসাথে আশীর্বাদের অনুষ্ঠান ছিল তাই অনেক লোক আশীর্বাদ করেছিল। আশীর্বাদ পর্ব শেষ হতে হতে প্রায় দু'ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। খুব সুন্দর ভাবে পুরো অনুষ্ঠানটা সুসম্পন্ন হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবার পরেই ছিল রেজিস্ট্রি পর্ব, তারপরে কেক কাটা এবং মালাবদলের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছিল। আর পুরো অনুষ্ঠানটাই আমরা দেখে ছিলাম এবং খুব সুন্দর আনন্দ করেছিলাম।
যেহেতু বেলা হয়ে যাচ্ছিল আর আমাদের বাড়িও ফিরতে হবে। তাই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সাথে সাথেই খেতে বসে পড়লাম। খাওয়াতেও এক বিশাল আয়োজন ছিল ।সত্যি বলতে এত আইটেম খাওয়া ও যায় না।তার মধ্যে কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবো । খাবারও খুব সুন্দর ছিল। সব মিলিয়ে খুব আনন্দ করে আবার আটটার মধ্যে বাড়ি ফিরে এলাম ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি আপনারা ব্যাস্ত ছিলেন মায়ের অসুস্থতা, টিনটিনের জন্মদিন আরো অনেক কিছু সব মিলিয়ে অনেক ব্যাস্ততা। আজ দাদার বিয়ে উদ্দেশ্যে ক্যানিং এ গিয়েছেন অনেক মজা করেছেন বোঝায় যাচ্ছে।অনেক ধন্যবাদ দিদি আমাদের সাথে আপনার সুন্দর সময়টা শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দিদি সময় কিভাবে চলে যায় টের পাওয়া যায় না। এতো ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আপনার এক দাদার আশীর্বাদ উপলক্ষ্যে, তিন ঘন্টা ট্রেন জার্নি করে ক্যানিং এ গিয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে শত ব্যস্ত হলেও কাছের মানুষদের বিশেষ অনুষ্ঠানে না গেলে হয় না। ট্রেন জার্নি আমার খুবই পছন্দ। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দিদি। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ক্যানিং জায়াগ টা যেহেতু সুন্দরবন এর কাছেই এখান গাছপালা বেশি থাকাই স্বাভাবিক। আপনার চার বছরের বড় দাদার আর্শিবাদ বিষয়টি বেশ চমৎকার। যদিও বেশ কিছুটা যাএার পর আপনারা গিয়েছেন। আর খাবারের আইটেম গুলো সত্যি বেশ লোভনীয় লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে।।
এতো ব্যস্ততার মাঝে পুরো সপ্তাহ কেটে গেলো আপনার।দাদার আশীর্বাদে গেলেন ট্রেনে করে। প্রায় তিন ঘন্টা সময় লেগেছিল। সেই জায়গার পরিবেশ খুব বেশী ভালো লেগেছিল। কারন পাশেই সুন্দরবন। ১১ টা নাগাদ আশীর্বাদের অনুষ্ঠান শুরু হলো।আর খুব সুন্দর ভাবেই অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হলো।আপনারা খাওয়া দাওয়া করে আবার বাড়ির দিকে রওনা হলেন।আশাকরি খুব বেশী ইনজয় করেছেন সবাই মিলে।অনেক ধন্যবাদ দিদি অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষের ভালো সময়টা যেন খুব দ্রুত চলে যায়। আমরা জানি দিদি এই সপ্তাহে আপনাদের তিনটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্ভাব্য। তবে সবকিছু মিলিয়ে বুঝতে পারছি দিদি দাদার আশীর্বাদ উপলক্ষে বেশ মজা করেছেন। যদিও দাদার থেকে চার বছরের ছোট কিন্তু দাদার সাথে ছোট কালে কত ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর এখন এই বয়সে এসে দাদার বিয়ে খেতে যাচ্ছেন আহ কি মজা। এই আনন্দটা তো কাউকে বলে বোঝানো যাবে না, শুধু হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যাবে। আসলে পৃথিবীর সব থেকে বড় সম্পর্ক হল ভাই বোনের সম্পর্ক।
আসলে দিদি আপনি ঠিক বলেছেন সময় কিভাবে চলে যায় বুঝা মুশকিল।আপনি আপনার দাদার আর্শিবাদে গিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। অনেক দিন পরে গিয়েছেন তারপর পুরো অনুষ্ঠান দেখেছেন বেশ আনন্দে সময় কাটিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চমৎকার একটি সময় কাটালেন আপু দাদার আশীর্বাদ বলে কথা। তাছাড়া ও আপনাদের মধ্যে মাত্র চার বছরের ব্যবধান। তো অনেকদিন পরে ক্যানিংয়ে গেলেন সুন্দরবনের কাছাকাছি। প্রায় তিন ঘন্টা জার্নি করার পরে আপনি অবশেষে গন্তব্যস্থলে পৌঁছালেন। সেই সাথে আশীর্বাদের অনেক সুন্দর একটি সময় কাটালেন। বেশ মজার মজার খাওয়া দাওয়া করলেন অসাধারণ ছিল সবগুলো।
এটা সত্য, সময় কিভাবে চলে যায়, তা আসলে বোঝাই যায় না। আপনার দাদার নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
তবে আপনারা যে দীর্ঘ পথ বেশ ভালই জার্নি করে সেখানে গিয়েছেন আবার সেখান থেকে ফিরে এসেছেন এটা জেনে একটু অবাকই হইলাম, একদিনে এত লম্বা জার্নি।
তারপরেও সময়টা যে বেশ ভালো কাটিয়েছেন দিদিভাই, তা আপনাদের ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
দিদি আপনি অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বুঝতেই পারছি। একটার পর একটা অনুষ্ঠান লেগেই গেছে। ব্যস্ততার মাঝেও তিন ঘন্টা ট্রেন জার্নি করে দাদার আশীর্বাদে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং মজার মজার সব খাবার খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো দিদি।
দাদার আশীর্বাদ উপলক্ষ্যে ভালোই খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ করলেন। শর্টকাটে খুব সুন্দর বর্ণনাও দিলেন। আপনাদের বিয়ের আশীর্বাদ অনুষ্ঠান খুব ঘটা করেই করা হয়। ক্যানিং জায়গাটা সুন্দরবনের কাছে হওয়ার কারনে পরিবেশ এত সুন্দর। যেখানে গাছ পালা থাকে সেই জায়গাটা এমনিই সুন্দর হয়ে যায়। ধন্যবাদ দিদি।