বাড়িতে নন্দ উৎসব উপলক্ষ্যে।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে নন্দ উৎসবের কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
গতকাল আমি আপনাদের সাথে জন্মাষ্টমীর দিনটা ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আর আজকে জন্মাষ্টমীর পরের দিন অর্থাৎ যেটা আমরা নন্দ উৎসব বলে থাকি। সেই দিনটা আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি ।এই নন্দ উৎসবের দিন সকাল থেকেই মা আর কাকিমনিরা খুব ব্যস্ত থাকে। অনেক রকমের রান্না করা হয় আর সেটা দুপুরের মধ্যেই শেষ করতে হয়। তাই জন্যই সেই সব রান্নার আয়োজন সকাল থেকে শুরু হয়ে যায়।
নন্দ উৎসব বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো কৃ্ষ্ণের জন্মের পরের দিনই গোকূলবাসী মেতে উঠেছিল আনন্দে। সেই আনন্দ উত্সবই নন্দ উত্সব নামে পরিচিত। গোকুল রাজ নন্দ ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের পালক পিতা। পুরাণ কাহিনী অনুযায়ী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মধ্যরাতে, প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যে। নন্দ সেই আনন্দ উৎসব উদযাপন করেছিলেন পরের দিন সকালে। কৃষ্ণের জন্মের খবর শুনে সমস্ত গোকুলবাসী উত্সব করেছিলেন। কংসের হাত থেকে তাঁর প্রজাদের রক্ষা করতে মাতা দেবকীর কোলে বিষ্ণু অষ্টম অবতার রূপে জন্ম নেন। শোনা যায়, বাসুদেব কৃষ্ণকে নন্দরাজের কাছে রেখে আসার পর গোকুলে কৃষ্ণের আবির্ভাব উপলক্ষে নন্দ উৎসবেই প্রথম খাওয়া হয়েছিল তালের বড়া। কৃষ্ণের অতি প্রিয় এই খাবারটি ভালোবাসেন সকলেই।ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় জন্মাষ্টমী। আর তার পরের দিন অর্থাত্ নবমী তিথিতে পালিত হয়ে থাকে নন্দ উত্সব। উত্তরপ্রদেশের মথুরা ও বৃন্দাবনে এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালিত হয়। কৃষ্ণের জন্ম উপলক্ষ্যে এটি মূলত খাওয়া দাওয়ার উত্সব। কারণ এদিন ঘরে সন্তান আগমনের খুশিতে গোকূলবাসীর মধ্যে মিষ্টি বিলি করেছিলেন নন্দ ও মা যশোদা।
এই দিন আমাদের পাঁচ রকমের ভাজা থেকে শুরু করে পাঁচ রকমের শাক,তরকারি ,অন্ন ,ডাল, পায়েস চাটনি মিষ্টি সকল প্রকার রান্না করা হয় নিজের হাতে। এবং তা নিবেদন করা হয় গোপালকে। দুপুর দুটোর মধ্যে সমস্ত রান্না হয়ে গেলে সমস্ত ভোগ সাজিয়ে পুজো করে আরতি করে পূজা সম্পন্ন করা হয়েছিল।
পুজো শেষ হয়ে গেলে আমরা সবাই মিলে একসাথে ছাদে বসে খেয়ে নিলাম আর এই পুজো উপলক্ষে ছাদে ত্রিপল টানানো হয়েছিল, তাই আমরা সবাই একসাথে ছাদেই খেয়ে নিয়েছিলাম। এভাবে আমাদের জন্মাষ্টমীর পূজা হলো বাড়িতে।
বাড়িতে নন্দ উৎসব উপলক্ষ্যে আপু আপনার এ পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। পোস্টটি পরে বুঝতে পারলাম বাড়িতে নন্দ উৎসব উপলক্ষে আপনি অনেক আনন্দে দিন কাটিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো পাঁচ রকমের ভাজা জাতীয় খাবার সাথে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের খাবার এর নাম গুলো পড়ে। পুজো শেষে সবাইকে সাথে নিয়ে ছাদের উপরে বসে অনেক সুন্দর হবে খাবার খেয়েছেন এবং আনন্দ উপভোগ করেছেন। আসলে আপু বাড়ির সবার সাথে এ ধরনের উৎসব উদযাপন করার মধ্যে সবচাইতে বেশি আনন্দ এবং মজা হয়ে থাকে।
ভোগের বেশ জাকজমক অবস্থা দেখে বেশ ভালো লাগছে। সবাই মিলে ভালই মজা করেছ দিদি। ভালো থেকো ।
দিদি ভালো থাকবেন আপনার পোস্ট ও বিভিন্ন ফটোগ্রাফ বিবরণী দেখে বুঝতে পারলাম খুব আনন্দঘন একটা সময় অতিক্রম করেছেন। পূজা শেষে ছাদের উপরেও খুব মজা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার প্রতি অনেক শুভকামনা রইল।