সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।।১২ অক্টোবর ২০২৪
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে পারিবারিক শিক্ষা ভালো থাকার ফলেও কুসঙ্গ কিভাবে জীবনকে প্রভাবিত করে সেটা আলোচনা করবো।
সন্তানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গঠনে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।একটি সুস্থ ও সদর্থক পরিবারিক পরিবেশ সন্তানকে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং জীবনধারার সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করে।তবে যদি সন্তানের সঙ্গ খারাপ হয় তাহলে তার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে যদিও পরিবারের ভালো শিক্ষা তার কিছুটা প্রতিরোধ করতে পারে।
পরিবারের শিক্ষা ভালো হলেও খারাপ সঙ্গের প্রভাবে সন্তান ভুল নৈতিকতা বা মূল্যবোধে প্রভাবিত হতে পারে।তারা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য আচরণের বাইরে যেতে পারে।খারাপ সঙ্গের ফলে সন্তান ধীরে ধীরে আচার-আচরণে পরিবর্তন আনতে পারে যেমন অহিংসা থেকে সহিংসতার দিকে ঝুঁকে পড়া বা নিয়ম মানতে না চাওয়া।
যদি সঙ্গী বা বন্ধুরা মাদক বা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত থাকে তবে সন্তানও এর প্রলোভনে পড়তে পারে।পরিবারিক শিক্ষা থাকলেও সঙ্গের চাপ এবং প্রলোভন অনেক সময় এর চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে।খারাপ সঙ্গের ফলে সন্তান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারাতে পারে বা অমনোযোগী হয়ে পড়তে পারে।এর ফলে স্কুলে তার পারফরম্যান্স খারাপ হতে পারে এবং ভবিষ্যতে কর্মজীবনেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
যদিও খারাপ সঙ্গের প্রভাব হতে পারে তবে পরিবারের সঠিক দিকনির্দেশনা ও ভালো যোগাযোগের মাধ্যমে সন্তানকে এই প্রভাব থেকে বাঁচানো সম্ভব।পরিবার যদি সন্তানের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে,তাদের সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং তাদেরকে ভালো সঙ্গ বেছে নেওয়ার গুরুত্ব বোঝায়,তাহলে সন্তান অনেকাংশেই খারাপ সঙ্গের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
পরিবারের সদর্থক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও খারাপ সঙ্গ এড়ানোর জন্য পারিবারিক পরিবেশের পাশাপাশি সন্তানের বন্ধু-বান্ধব এবং চারপাশের পরিবেশ নিয়েও সতর্ক থাকা উচিত।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছেন দিদি। প্রতিটা পরিবারকেই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সন্তান কার সাথে মিশে, চলাফেরা করে। আমি শুনেছি,
অর্থাৎ, আমার বন্ধু কেমন তাকে দেখলেই আমি কেমন তাও জানা যায়। ধন্যবাদ, এমন টপিকে লেখার জন্য।
বতর্মান সময়ে এটা অনেক দেখা যায়। স্কুল কলেজের ভালো ছেলে মেয়েরা শুধুমাত্র খারাপ সঙ্গ দোষের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা টাই মূখ্য হিসেবে কাজ করে। খারাপ সঙ্গ জীবনের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
পারিবারিক শিক্ষা যতই থাকুক না কেনো,উঠতি বয়সী অনেক ছেলে মেয়েরা এখন সঙ্গ দোষে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রতিটি পরিবারের উচিত নিজের সন্তানদের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা। সন্তান কাদের সাথে মিশছে, সেটা খুব ভালোভাবে জানা দরকার। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সময় পারিবারিক শিক্ষা ভালো হলেও সন্তানরা খারাপ পথে চলে যায়। আর সব সময় এটা ঘটে শুধুমাত্র খারাপ সঙ্গ দোষে। যাদের সাথে আমরা মিশছি তারা যদি খারাপ হয় তাহলে আমরাও একসময় নিজেদের প্রকৃত অভ্যাস পাল্টে তাদের মতই হয়ে যাবো। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো তুলে ধরেছেন দিদি।
বর্তমানে সময়ে অনেক পরিবারই আছে ছেলে মেয়েকে ভালোভাবে মানুষ করেছে কিন্তু বাড়ন্ত বয়সে অনেক ছেলে মেয়েরাই সঙ্গ দোষে নষ্ট হয়ে যায়।তাই বাবা-মার উচিত সন্তান কাদের সঙ্গে মিশছে কোথায় যাচ্ছে সেই দিকটা খোঁজখবর নেওয়া। কারণ সৎ সঙ্গে সর্ববাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। বেশ দারুন একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন দিদি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সময়োপযোগী লেখা লিখেছেন দিদিভাই, নিজেই বেশ চিন্তিত আছি নিজের বাচ্চাকে নিয়ে। ও দিন দিন বড় হচ্ছে আর জেদ বেড়ে যাচ্ছে। যে পরামর্শ গুলো দিয়েছেন, তা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো লাগলো পুরো লেখাটি।