তারাপীঠের তারা মন্দিরে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে তারাপীঠে পূজো দেওয়ার কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।


দিনটা ছিল শুক্রবার ।আর বৃহস্পতিবার দিন হঠাৎ করেই মা আমার কাছে এসে বলে পরের দিন সবাই মিলে তারাপীঠ ঘুরতে যাবে। আর আমাকেও যাওয়ার জন্য বলে কারণ মায়ের একটু পূজো দেওয়ার ছিল। তার মধ্যে যেহেতু বোন কোলাঘাট থেকে আসছে সব মিলিয়ে এক প্রকার আমাকে যাওয়ার জন্য বলে আর আমার এমনই অবস্থা হ্যা ও করতে পারছি না,নাও করতে পারছি না।আমি কখনো কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় না করি না কিন্তু হঠাৎএই সিদ্ধান্তে আমি প্রথমে না করে দিয়েছিলাম কিন্তু যেহেতু পূজো দেওয়ার ব্যাপার সেখানে আমি না করে থাকতে পারলাম না, যথারীতি যাবোই বললাম আর তাতে মাও ভীষণ খুশি । শুক্রবার দিন রাত্রেবেলা আমাদের এগারোটার সময় ট্রেন ছিল ।


WhatsApp Image 2022-11-14 at 11.43.26 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-14 at 11.51.52 PM.jpeg



আর শুক্রবার দিনই দুপুরবেলা জানতে পারি যে টিকিট ভুল কাটা হয়েছে। তা আমি জিজ্ঞেস করাতে মা বলল যে আমাদের শুক্রবার যাওয়ার কথা ছিল আর রবিবার আসার কথা ছিল কিন্তু সেখানে শুক্রবার রাতে গিয়ে শনিবারে রাতে ফেরার সময়। ভুলটা এটাই যে রবিবার দুপুর তিনটের জায়গায় শনিবার রাত ৩ টের সময় টিকিট কাটা ।ব্যাস এটা শুনে তো আমার যাওয়ার ইচ্ছেটা কিছুটা হলেও কমে গেল। তারপর মায়ের একটু জোরেই যেতে বাধ্য হলাম ।আসলে ঘুরতে যাওয়াটা কোনো ব্যাপার ছিল না ঘটনাটা ছিল দু রাত জাগা ।তার মধ্যে শুক্রবারের আগে তিন রাত প্রায় জাগা।


WhatsApp Image 2022-11-14 at 11.43.27 PM (1).jpeg



কি আর করা যাবে তাতে শুক্রবার কিছু কাজ তাড়াতাড়ি সেরে নিয়ে সাড়ে আটটার সময় খেয়ে দেয়ে নটার সময় বেরিয়ে গেলাম হাওড়ায় যাওয়ার জন্য। ঠিক দশটা পনেরোতে এসে হাওড়া পৌঁছালাম। আর এগারোটার সময় ট্রেন ছিল । হঠাৎ করে হাওড়া স্টেশনে এসে আমার খিদে পেয়ে যায় কারণ সাড়ে আটটার সময় খুব অল্পই খেয়ে বেরিয়েছিলাম । কারণ সাড়ে এগারোটার আগে আমি যেহেতু ডিনার করি না তাই সন্ধ্যাবেলা বেশি খেতেও ইচ্ছা করছিল না। আর তার মধ্যে হাতেও কিছুটা সময় ছিল, সারারাত জাগারও ব্যাপার ছিল তার জন্য স্টেশনের পাশেই মিও আমোরে থেকে পেস্ট্রি খেলাম ।আর তার মধ্যে আমি বিকেল বেলা স্যান্ডউইচ নিয়ে নিয়েছিলাম ট্রেনে খাবো বলে। জানতাম রাতে খিদে পেয়ে যাবে 🤪আর ঠিক তাই হলো।৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ট্রেনে উঠলাম । ট্রেনে উঠে ১০-১৫ মিনিট বসার পরে কিছু না কিছু খেতেই লাগলাম। হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করতে করতে আর গল্প করতে করতে ঠিক আড়াইটার সময় রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। ট্রেন থেকে নেমে বুঝলাম যে বিশাল ঠান্ডা কারণ কলকাতায় সেরকম ভাবে ঠাণ্ডা পরেনি যেহেতু বীরভূম জেলার মধ্যে তাই এখানে ভালোই ঠান্ডা ছিল। আর এরকম ঠাণ্ডার মধ্যে যদি এক কাপ গরম চা হয় তাহলে মন্দ কি। স্টেশনের থেকে বেরিয়ে দেখলাম কয়েকজন চা বিক্রি হচ্ছে সেখান থেকে এক কাপ লিকার চা খেলাম। চা খেয়ে এবার অটো করে তারাপীঠ গেলাম। স্টেশন থেকে তারাপীঠের দূরত্ব আরো কুড়ি মিনিট মতো ।আর ওখানে যেহেতু আমাদের হোটেল বুক করা ছিল সেখানেই উঠলাম। হোটেল পৌঁছাতে পৌঁছাতে সাড়ে তিনটা বেজে গেছিল। এরপরই ফ্রেশ হয়ে আবার পুজো দিতে গেলাম। সেই গল্প পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।


WhatsApp Image 2022-11-14 at 11.43.27 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-14 at 11.43.28 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-14 at 11.43.28 PM (2).jpeg


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

Sort:  
 2 years ago 

ট্রেনের মধ্যে হঠাৎ করে যদি দাদার সাথে দেখা হয়ে যেত তাহলে বোধহয় ভালোই হতো। ট্রেন জার্নি একেবারে জমে যেত আপু 🤪। এই কয়দিন তাহলে তো বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন আপু। রাতের বেলায় জার্নি করা সত্যি অনেক কষ্টের। বেশ কয়েক রাত জেগে থাকার পর আবারো রাতের বেলা জার্নি করা আপনার জন্য খুবই কষ্টের ছিল। তবে পরিবার-পরিজন নিয়ে যখন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় তখন মনের মাঝে আলাদা রকমের ভালোলাগা তৈরি হয়। জার্নি করার সময় বাসা থেকে খাবার তো নিতেই হয়। কারণ বাসায় খেতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু বাসে কিংবা ট্রেনে ওঠার সাথে সাথেই কোথা থেকে যে খিদা চলে আসে বুঝতেই পারি না। যাইহোক আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালই লাগলো। মাঝে মাঝে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলে ভালো লাগে।

 2 years ago 

ট্রেনের মধ্যে হঠাৎ করে যদি দাদার সাথে দেখা হয়ে যেত তাহলে বোধহয় ভালোই হতো। ট্রেন জার্নি একেবারে জমে যেত আপু 🤪

হাহাহা 🤗 বেশ ভালো বলেছেন দিদি। রাতের বেলা জার্নি করার কষ্টের থেকেও যে আগের রাতগুলো জেগে ছিলাম তার জন্য বেশি কষ্ট হয়ে গেছিল । খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে । ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আপনার মায়ের সাথে তারাপীঠে ভ্রমন করতে গেলেন। আসলে ব্যস্ততার মাঝেই হঠাৎ করে ঘুরার প্লান করতে হয়। ব্যস্তময় জীবনে দিন ক্ষন ঠিক করে কোথাও যাওয়া হয় না। টিকেটের ভুলের কারনে ঘুরার সময়টা কিছু কমে গেল। যায়হোক অল্প সময়ের মাঝেই আনন্দ করে ফেলেন। ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

তারাপীঠের তারা মন্দিরে উৎসব মুখর দিন পার করেছেন সবার সাথে। ফটোগ্রাফি গুলোই বলে দিচ্ছে আনন্দের পরিমাণটা কত ছিল। ট্রেনে খাওয়ার জন্য যে স্যান্ডউইচ গুলো নিয়েছিলেন আমার জন্য একটা রেখে দিয়েন দিদি। আমাদের মাঝে আপনার অনুমতি গুলো শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল দিদি।

 2 years ago 

জীবনে একবার ট্রেন ভ্রমন করেছিলাম অনেক ছোটবেলায়। আসলে দিদি মাঝে মধ্যে পরিবারের কথায় না করা যায়না। যাইহোক আপনি আপনার পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন। সুন্দর মহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আসলে দিদি মাঝে মধ্যে পরিবারের কথায় না করা যায়না।

ঠিক এই কারণেই আমি না করতে পারিনি মন্দিরে যাওয়ার জন্য। অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

 2 years ago 

দিদি রাতের বেলা জার্নি করার মজাই আলাদা।তাও আবার যদি শীত কাল হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই সেই মজা পাওয়া যায়। আমার কাছেও ঘুরাঘুরি করতে ভিশন ভালো লাগে। কেউ কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা বললে না করতে পারিনা। তার মধ্যে যদি কোনো পবিত্র জায়গায় হয় তাহলে তো না করাই যায় না। আপনারা ট্রেনে দেখছি ভালোই মজা করেছেন। শীতের মধ্যে চা পান করে ঘুরার মজা আরও বাড়িয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

কোনো পবিত্র জায়গায় হয় তাহলে তো না করাই যায় না।

হ্যাঁ দিদি এটা একদম ঠিক বলেছেন ।
আর শীতকালে ট্রেনে জার্নি যতটা মজাও হয় আবার খুব কষ্টও হয় ।

 2 years ago 

অনেক বড় একটি জার্নি ছিল আপনাদের দিদি।যদিও আমাদের এখান থেকে তারাপীঠ বেশি সময় লাগে না, খুব বেশি হলে 2 ঘন্টার মধ্যে যাওয়া যায়।যাইহোক তার উপরে আবার ট্রেনের টিকিট ভুল কাটা হলে অনেক মুশকিলে পড়তে হয়।আসলে পাহাড়ি এলাকায় মনে হয় একটু আগেই ঠান্ডা পড়ে যায়।যাইহোক আপনারা সবাই হোটেলে ভালোভাবে পৌঁছে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

পাহাড়ি এলাকায় তো ঠান্ডা পরেই আবার বীরভূম, বাঁকুড়ার দিকে কলকাতার থেকেও অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ে যায় । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

ট্রেনজার্নির আলাদা মজা রয়েছে।বাসের থেকে ট্রেন জার্নি করতে হাজারগুণ ভালো লাগে।আর ট্রেন জার্নি যদি হয় পরিবার বা বন্ধুদের সাথে তাহলে তো কথাই নেই। ফটোগ্রাফ গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা দারুন সময় কাটাচ্ছেন।ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

হ্যাঁ দাদা ট্রেন জার্নিতে আলাদাই মজা আছে 😍। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

কি করবেন এমনিতে আপনার ঘুরতে যেতে ভালো লাগে, তার সাথে আবার মায়ের কথায় না বলতে পারলেন না। দেখছি আবার টিকেট কাটাতেও ভুল হয়েছে। আমার কাছে কিন্তু ট্রেন জার্নি ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে পরিবারের সবাই মিলে কোথাও গেলে তার মজাটা আরেকটু আলাদা। যদিও রাত জাগার একটা ব্যাপার রয়েছে। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখতেও ভালো লাগছিল। পুজো দেওয়ার গল্পটা পড়ে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

 2 years ago 

খুব ভালো লাগলো দিদি আপনারর মন্তব্যটি পড়ে।

 2 years ago (edited)

খুবই চমৎকার একটি জার্নি ছিল আপু। ট্রেন ভ্রমণ করতে আমার নিজেরও ভীষণ ভালো লাগে। আপনাদের টিকেট সমস্যা হয়ে গেল বিষয়টা খুবই খারাপ লেগেছে। আপনার মত ঘুরাঘুরি করতে আমার নিজেরও ভীষণ ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আবারও এমন ভুল হয়েছিল টিকিট কাটার সময়। যাওয়ার আসার টিকিট কাটলে মাঝে মাঝে এ ধরনের ভুল হয়ে থাকে। এজন্য আমি শুধু যাওয়ার টিকেট করি। আসার সময় পুনরায় করি। সুন্দরভাবে পোছিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। পুজোর পর্বটার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

বাবা রে বাবা এ তো বিশাল কাহিনী পুজো দিতে এতো কিছু ৷ মা তারাপিঠে ইয়া বড় আর্শিবাদ করবে ৷ পরিবার মিলে বাইরে যাওয়ার মজাই আলাদা ৷ পুজো দিতে গিয়ে তিন দিন আর ট্রেনের জার্নি ঘটনা দারুন ছিল ৷
পরের পোষ্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ৷

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.034
BTC 63935.74
ETH 2749.19
USDT 1.00
SBD 2.65