দীপাবলি উপলক্ষ্যে বাজি কিনতে যাওয়া/১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বাজি কিনতে যাওয়ার কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
আজ দীপাবলি।দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। সমস্ত অন্ধকারকে মুছে ফেলার দিনই হল দীপাবলি। এই দিন আশেপাশে চারিদিকে অন্ধকারের বুক চিরে জ্বলে ওঠে হাজার হাজার আলো, মোম ,প্রদীপ, রকমারি রঙিন আলোয় যেন চোখে ঝিলমিল লেগে যায়। আর যেহেতু আজকে কালী পূজার আগের দিন তাই আজ ভূত চতুর্দশী, এই দিনটাতে অনেক বাড়িতেই ১৪ প্রদীপ নিয়ম করে জালানো হয় ।
কাল কালীপুজো, খুবই আনন্দের উৎসব প্রত্যেক বাঙালির কাছে । এই পুজো ঘিরে যেমন প্রত্যেক বাড়ি আলোকিত করা হয়, তার সাথে সাথে বাজিও ফাটানো হয়। আর আজকে সেই বাজি কিনতেই আমি আমি নীলগঞ্জ গিয়ে ছিলাম। বাজি ফাটাতে আমি খুব ভালোবাসি, সেটা আজ থেকে নয় একদম ছোটো বয়স থেকে । প্রত্যেক বছরই বাবা কাকারা বাজি কিনে নিয়ে আসে কালী পূজা উপলক্ষে।কিন্তু কখনো কলকাতা ছাড়া অন্য কোনো জায়গা থেকে বাজি কিনে আনেনি। কিন্তু লাস্ট দুবছর ধরে আমিই বাজি কিনে নিয়ে আসি সবার জন্য। আজ সকালে যখন ব্ল্যাকস এর সাথে কথা হচ্ছিল তো কথায় কথায় বাজি কেনার কথা হয় ।আর সেখান থেকেই আধঘন্টা মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে নিতে চলে আসে এবং আমরা দুজনে একসাথে বাজি কিনতে যাই। আর যে জায়গাটাতে আমরা গিয়েছিলাম সেখানে খুব কম দামে ভালো মানের বাজি পাওয়া যায়। তো আমি খেয়ে সাড়ে তিনটের সময় বাড়ি থেকে বেরোলাম আর ও তিনটে থেকে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। কারণ প্রথমেই বললাম যে আধ ঘন্টার মধ্যে আমাকে জানিয়েই বেরিয়ে গেছিল তাই আমারও বেরোতে দেরি হয়ে গেছিল ।যাই হোক তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেলাম ওখানে।
এরকম বাজির মার্কেটে আমার প্রথম আসা। আমি কখনো এরকম জায়গা দেখিও নি। এর আগে অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি ।তাই আজকে যখন এসছিলাম ব্ল্যাকস এর সাথে খুব ভালো লাগছিল এই রকম মার্কেট দেখে। আমরা যে সকল বাজি কলকাতায় অনেক দাম দিয়ে কিনি বলতে গেলে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে। আজ সেই বাজি এত কম দামে পেয়েছি বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু একটা কথা ঠিক যে বাজির দাম আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গেছে কিন্তু তাও যতটুকু কিনেছি খুব ভালো মানের কিনেছি ।আর আমিও আজ শুনলাম যে ব্ল্যাকস, দাদা আর টিনটিন সবাই খুব বাজি ফাটাতে ভালোবাসে তাই আজকে আমরা মনের মতন করে বাজি কিনেছি। প্রায় দু ব্যাগ ভরে বাজি কিনেছি।আমাদের এই বাজির ব্যাগ দেখে কিছুজন বলাবলি করছিল যে আমরা হয়তো এই বাজি না ফাটিয়ে হয়তো বিক্রি করবো বলে এত পরিমাণ বাজি কিনেছি 😜।আসলেই এত বাজি কিনেছি। সব মিলিয়ে দু ব্যাগ ভর্তি করে বাজি কিনে নিয়ে আসলাম ।আর ফেরার পথে দীপাবলী উপলক্ষ্যে শপিং করলাম। তারপর বাড়ি চলে আসলাম ।
দীপাবলীর উপলক্ষে বেশ অনেক বাজি কিনেছেন দিদি। শুনে খুবই ভালো লাগলো দাদা বাজি ফুটাতে অনেক ভালোবাসে। বছরে এই দিনটি তো আসলে বিশেষ একটি আনন্দের দিন। আপনাদের সকলের জন্য দীপাবলীর শুভেচ্ছা রইল।
ওরে বাবা বেশ বাজি দেখা যাচ্ছে তো, হরেক রকমের আইটেম এবং অনেক মানুষের উপস্থিতিটিও দেখা যাচ্ছে। তবে দিদি প্রকৃতির দৃশ্যগুলো ছিলো দেখার মতো, কাশফুলের সাথে পরিবেশটা দেখতে বেশ দারুণ লাগছে। ধন্যবাদ
দিদি প্রথমে দীপাবলির অনেক শুভেচ্ছা জানাই। কখনও বাজি ফুটানো হয় নি।তবে বাজি ফুটানো দেখতে খুব ভালো লাগে। দুই ব্যাগ বাজি কিনেছেন। নিশ্চয়ই দাদা,টিনটিন এতো বাজি দেখে খুব খুশি হবে।খুব ভালো কাটুক আপনাদের দীপাবলি এই কামনা করছি।ভালো থাকবেন দিদি।
দিদি বাজি ফোটাতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি বাজি কেনার জন্য এসেছেন এবং এখানে অনেক ধরনের বাজি রয়েছে। আমরাও গতকাল ভাজি কিনেছি আর বন্ধুদের সাথে নিয়েই বাজি ফোটানোর মুহূর্ত কিন্তু অসাধারণ লাগে।
শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা দিদি। অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি আপনারা এই দিনে প্রচুর বাজি ফোটান। আমরা শুধু ঈদের দিন রাতে কাটি পটকা ফাটাই তাও সামান্য। কলকাতা থেকে ওখানে বাজির দাম অনেক কম এটা বেশ ভালো ছিল। আশাকরি সবাইকে নিয়ে ভালো কাটাবেন সময় টা।
প্রিয় দিদি
দীপাবলি মানেই আলোর ঝলমল ৷ জীবনের সমস্ত অন্ধকার দুর হোক জীবন হোক রঙিনময় আলোয় আলোকিত৷ জি দিদি আমাদের হিন্দু বাঙালিদের আনন্দের উৎসব৷ এ দিনে আমরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে আলো জ্বালাই মোমবাতি বা অনেক কিছু আবার মাটির তৈরি গোসা দিয়েও ৷আমিও এই দীপাবলী নিয়ে একটি পোস্ট লিখবো ৷
যা হোক আপনি ছোট দাদা সহ বাজি কিনতে গিয়েছেন ৷ যেখানে আপনারা কম দামে পেয়েছেন ৷আর দুই ব্যাগ নিয়েছেন ৷ দোকান গুলোতে তো নানা ধরনের বাজি সাজিয়ে রেখেছে ৷
ভালো লাগলো আপনাদের জন্য শুভকামনা জীবন হোক রঙিন এই কামনা করি ৷
অনেক বাজি কিনেছেম সত্যিই,কিছু লোক হয়তো এটাও ভেবেছে যে ছোট খাটো দোকানের জন্যে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।হাহাহাহা,মজা করলাম।😜😜
বাজি ফাটানো হয়নি কখনো আমার,খুব ইচ্ছে একদিন এসব বাজি ফাটাবো।
আপু আপনি ব্ল্যাকস দাদার সাথে বাজি কিনতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে বাজির পরিমাণ হয়তো বেশি হয়ে গিয়েছিল তাই সবাই ভেবেছিল হয়তো আপনারা সেগুলো কোন দোকানে বিক্রি করবেন। ব্যাপারটি কিন্তু বেশ মজা পেয়েছি😅। হয়তো এতগুলো বাজি কেউ কখনো কেনে না। তাই তারা বুঝতেই পারেনি আপনারা সেগুলো বাড়ির জন্য কিনেছেন। দাদা, টিনটিন সবাই বাজি ফাটাতে পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো। আসলে দিপাবলীর উৎসবে চারপাশ আলোয় আলোয় ভরে ওঠে। আপু আপনার জন্য দিপাবলীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
এত বাজি ফাটিয়ে কি করবা, পুলিশে ধরে নিয়ে যাবে তো তোমায়। হা হা হা... শুনেছি শব্দবাজি ফাটানো নাকি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আজ থেকে প্রায় ছয়-সাত বছর আগে আমি, blacks দা আর রঙ্গিন একসাথে বাজি কিনতে যেতাম নীলগঞ্জে। তখন দাম অনেক কম ছিল। তবে আমি একটা জিনিস ভেবে অবাক হচ্ছি, দুই বস্তা বাজি দিয়ে কি করবে তুমি। আমার মত গরিব মানুষকে কিছু দিয়ে যাও তাহলে ছাদে ফাটাতে পারবো।
শব্দবাজি কিছু কিনিনি। টিনটিন যা ভালোবাসে তাই কেনা হয়েছে।
তিরিং বিরিং করে বেড়ায় যে বাজিগুলো, ওই গুলো টিনটিন এর পছন্দ।তারপর ফানুস, চরকি।আমার তো আবার বোমবাজি পছন্দ। এবার তো আর বাজি কেনা হলো না তাই ভাবছি গ্যাস সিলিন্ডার ফাটাবো।😁
প্রথমেই দীপাবলির শুভেচ্ছা। দীপাবলির এই দিনে বাড়ি বাড়ি আলোর সুন্দর এক দৃশ্য অবলোকন করা যায়। বাড়ির বাহিরে সবাই দীপ জালিয়ে দেয়। আর বাজির কথা বলে ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমিও বন্ধুদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাজি কিনতাম। আপনি বাজি কিনার জন্য নীলগঞ্জ গিয়েছেন। সেখানে যদি সস্তায় পাওয়া যায় আর অনেক বাজি কেনা হয় তাহলে সেখানে যাওয়াই ভাল। ব্ল্যাকস দাদা কে বাইকে বেশ দারুন লাগছে। বাজির ছবিগুলো দেখে কিনতে ইচ্ছে করছে। দুই ব্যাগ ভর্তি বাজি মানে অনেক কেননা কালী পূজা বলে কথা। ধন্যবাদ দিদি।