উত্তরাখণ্ড যাওয়ার পথে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে হরিদ্বার যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি সকলের ভালো লাগবে ।
অনেকেই হয়তো জানেন আমি বেশ কয়েকদিনের জন্য ঘুরতে গিয়েছি।আর ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে । প্রতিবছরই আমরা তিন চারটে tour করে ফেলি । এই বছর আমাদের ঘোরার জায়গা হল উত্তরাখন্ড । শুধু উত্তরাখণ্ড বললে হবে না ,আমরা হরিদ্বার এসেছি আর এখান থেকে আমরা চার ধাম ঘুরতে যাবো। আর এই চারধাম এর মধ্যে পড়ে যমুনোত্রী ,গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ।
ভারতের বিখ্যাত তীর্থযাত্রাগুলির মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্র হল কেদারনাথ। আমরা সকলেই জানি উত্তরাখণ্ড রাজ্যটি দেবরাজ্য হিসেবে পরিচিত। এই চারটে ধাম সম্পর্কে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে সেই সম্পর্কে পরে কোনো একটি পর্বে লিখবো।
লাস্ট দুটো সপ্তাহ আমার খুব ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে ।যেদিন আমরা বেরিয়েছি সেদিন ছিল রবিবার আর সেদিনই আমার বাড়িতে পুজো ছিল ।সব মিলিয়ে খুব ব্যস্তই ছিলাম। এই উত্তরাখণ্ড যাওয়ার জন্য রবিবার রাত ৮:৩০ টায় ট্রেন ছিল হাওড়া থেকে । প্রায় ৩৬ ঘন্টার জার্নি। অর্থাৎ মঙ্গলবার দিন সকাল সাড়ে আটটায় ট্রেন থেকে নেমেছিলাম।
ট্রেনে ঘুরতে যেতে বেশ ভালোই লাগে আর এই ৩৬ ঘন্টার জার্নি আমার এই প্রথম ।তাই সব মিলিয়ে খুব ভালোই এনজয় করেছিলাম সময়টা।আর এই ট্রেনের মধ্যে থেকেই কয়েকটা প্রকৃতির ছবি তুলেছিলাম যেগুলো সন্ধ্যে৬:৩০ টায় তোলা ।আর এখানে একটা ব্যাপার খুব ইন্টারেস্টিং সেটা হল আমরা যত উত্তরাখণ্ড এর দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনে হচ্ছিল দিন বেড়ে চলেছে ।এখানে সূর্য কিন্তু খুব দেরি করেই অস্ত যায়। মানে ধরুন সব জায়গায় মোটামুটি ছটার দিকে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এখানে কিন্তু রাত আটটার আগে সন্ধ্যা হয় না। মানে পুরো অন্ধকার হতে হতে আটটা বেজে যায় ।
তবে যাই হোক সব মিলিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় ট্রেন থেকে নামলাম হরিদ্বারে । এবং এখানেরই একটি হোটেলে উঠলাম ।এরপর এখান থেকে অনেক জায়গা ঘুরতে গিয়েছি । পরে সে জায়গা গুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দিদি আপনি কথাটা একদম ঠিক বলেছেন আসলে ঘুরতে যেতে সবারই ভালো লাগে। আপনারা প্রতি বছর তিন চারটে টোর করেন এটি শুনে আরো ভালো লাগলো। এই বছর আপনাদের ঘোরার জায়গা উত্তরাখণ্ড। যাই হোক আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জায়গাগুলোর নাম জানা হল এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগছে। আর সবচেয়ে ভালো লেগেছে রাত আটটার আগে এখানে সন্ধ্যা হয় না। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এই নাম গুলো বেশ পরিচিত লাগছে দিদি ভাই। তবে ৩৬ ঘন্টার জার্নি। এটা ভাবতেই অনেকটা অবাক হলাম, কারণ এতো সময় ট্রেনের ভিতরে। তবে যাত্রা অবস্থায় থেকেও বেশ ভালোই ফটোগ্রাফি করেছেন। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার পরবর্তী মুহূর্ত গুলো পড়ার জন্য। আপনার ভ্রমণ সুখকর হোক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। 🙏
৩৬ ঘন্টার জার্নি ,বেশ লম্বা সফরে গিয়েছেন দিদি।এই গরমে এত বড় সফর আসলেই বেশ কষ্টকর আবার মজার ও বটে।যাইহোক আপনার মাধ্যমে অনেক জায়গা সম্পর্কে জানতে এবং দেখতে পাবো।ভালো লাগলো আপনার হরিদ্বার যাওয়ার গল্প পড়ে।ধন্যবাদ দিদি।
দিদি হাওড়া থেকে উত্তরাখণ্ড যাওয়ার জন্য রবিবার রাত ৮:৩০ টায় ট্রেন ছেড়ে ছিল। প্রায় ৩৬ ঘন্টার জার্নি করে মঙ্গলবার দিন সকাল সাড়ে আটটায় ট্রেন থেকে নেমেছিলেন। এত বড় ট্রেন জার্নি। আরেকটি বিষয় অবাক লাগলো ঐখানে সন্ধা হতে হতে প্রায় আটটা বেজে যায়। ধন্যবাদ আপু।
একটানা ছত্রিশ ঘন্টা জার্নি করে নিঃসন্দেহে কঠিন একটি কাজ। তবে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে জার্নি করার মাঝে তেমন একটা ক্লান্ত অনুভব করে না। যাহোক আপু, আপনার পরবর্তী পোস্টে আপনার ঘুরে বেড়ানো জায়গা গুলোর সম্পর্কে জানতে পারবো এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পারবো, এমনটাই আমি আশা করি। আপনার জার্নি শুভ হোক।
পরবর্তী পর্ব গুলির অপেক্ষায় রইলাম দিদি। আশা করি জমজমাট একটা ট্রাভেল ব্লগ সিরিজ পড়তে পারবো। এই ধরনের পোস্ট পড়তে আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। আপনার ভ্রমণটা ভালো হোক সেই কামনাই করছি।