মা বাবার অ্যানিভার্সারি উপলক্ষে প্ল্যানিং 🤭।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে মা বাবার অ্যানিভার্সারি উপলক্ষ্যে কেনাকাটার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
গতকাল মা-বাবার বিবাহ বার্ষিকী ছিল। এই বছর ২৬ পূর্ণ করে ২৭ এ পড়ল। যেহেতু বাবা-মার অ্যানিভার্সারি বলে কথা কিছু প্ল্যান তো বানাতেই হবে। আর এই সারপ্রাইজ প্ল্যান বানানোর ব্যাপারে আমার মাথাটা একটু বেশিই কাজ করে🤪। যাই হোক তো সকাল থেকেই এমন ভাবে ছিলাম যাতে মা বুঝতেই না পারে যে কিছু প্ল্যান তৈরি হচ্ছে ।স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া করছিলাম। বিকেল বেলা যেমন বেড়াই তেমনই বেরিয়েছিলাম। প্ল্যান শুরু সেখান থেকেই। বাবা-মা প্রতি বছর এনিভার্সারিতে দক্ষিণেশ্বর এ যায়। প্রত্যেক বছর সকালেই পুজো দিতে যায়।কিন্তু এই বছর সকালে যেতে পারেনি।একদিকে ভালোই হয়েছে আমারই খুব সুবিধা হল ।যা যা প্ল্যান করেছিলাম সেগুলো রেডি করার জন্য বিকেলটাই দরকার ছিল। সত্যি কথা বলতে দুদিন আগেও ভাবিনি নিয়ে যে কিছু করবো। আমার প্ল্যান তৈরি হয় সবসময় ঠিক শেষ মুহূর্তে ।দুপুরবেলা যখন আমি খেতে বসেছিলাম তখন মা বলছিল বিকেলে বেরোবো কি না , এমনকি বাইরে দিয়ে খেয়ে আসতেও বারণ করেছিল কারণ দুপুর বেলা অনেক রকম রান্না হয়েছিল কিন্তু আমি বলেছিলাম যে হ্যাঁ আমি বিকেলে বেরোবো তো এটা শুনে মায়ের একটু খারাপ লেগেছিল। এরকম ভাবেই স্বাভাবিক আচরণ করছিলাম 🤭। এমনকি বিকেলবেলাও মা আমাকে দক্ষিণেশ্বর যেতে বলছিল, সেখানেও আমি না করে দিয়েছিলাম কারণ দক্ষিণেশ্বর গেলে আমার আর কিছু কেনাকাটি করা হতো না। তাই জন্য আর যাইনি।মা এর বেরোতে বেরোতে সাড়ে পাঁচটা ছটা বেজে গিয়েছিল। মা বেরোনোর ঠিক কিছুক্ষণ পরে আমিও বেরিয়ে গেলাম। বেরিয়ে হাতিবাগান এ গিয়ে প্রথমেই শাড়ির দোকানে ঢুকলাম ।কারণ মা শাড়ি পড়তে খুব ভালোবাসে ।তো সেখান থেকে শাড়ি কিনে নিলাম।
আর আমার ড্রেস পছন্দ করতে খুব একটা সময় লাগে না। মোটামুটি কুড়ি মিনিটের মধ্যে কেনা হয়ে গেল ।তারপর ফুলের দোকানে গিয়ে গোলাপ ফুল কিনলাম ।আর মা জুঁই ফুল খুব পছন্দ করে তাই একটি জুঁই ফুলের মালা কিনে নিলাম ।এরপর আমি প্ল্যান করেছিলাম যে যেহেতু আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি তাই সব ভাই-বোনদের খাওয়াবো ।এজন্য আর্সলান এ গিয়ে গিয়ে ছটা বিরিয়ানি অর্ডার করলাম। আর তার পাশে আরেকটা রেস্টুরেন্ট আছে সেখান থেকে চিকেন দোপেয়াজা এবং চিকেন টিক্কা মাসালা অর্ডার করলাম।
যেহেতু পনের মিনিট থেকে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করতে হতো সেই সময়টা নষ্ট না করে কেকের দোকানে গিয়ে কেক নিয়ে নিলাম। তার সাথে বেলুনও নিয়ে নিলাম । ব্যস কিনতে মোটামুটি ১৫-২০ মিনিট সেখানেই কেটে গেল। ফেরার পথে বিরিয়ানি আর চিকেন নিয়ে বাড়ি চলে এলাম ।এরপর কি করে ঘর সাজালাম এবং কি করলাম তা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ।
বিষয়টি জেনে খুবই ভালো লাগলো দিদি। আসলে মা-বাবার অ্যানিভার্সিটিতে সন্তান যদি এভাবে কিছু করতে পারে তাহলে সন্তানের জন্য সেটা খুবই ভালো লাগার একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তী পোস্ট এ আনন্দ কোন মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় রইলাম দিদি।
আসলে দিদি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার মা-বাবার অ্যানিভার্সিটি কথা জানতে পেরে। আপনার মা জুঁই ফুল খুবই পছন্দ করে তাই আপনি আপনার মায়ের জন্য একটি জুঁই ফুলের মালা কিনেছিলেন। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে মা বাবার জন্য কিছু করতে পারলে খুবই ভালো লাগে। আপনি আপনার মা বাবার এনিভার্সারিতে অনেক প্ল্যান করেছেন বোঝাই যাচ্ছে আর এই প্ল্যান গুলো আসলে তাদের কে না জানিয়ে যখন করা হয় তখন আসলে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
দিদি আপনি তো অনেক ভাগ্যবান আপনার বাবা-মা দুজনে জীবিত আছে। এর জন্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে অনেক শুকরিয়া। আমার বাবা নেই। তাই আপনার বাবা-মায়ের বিবাহ বার্ষিকীতে আপনার জন্য অনেক অভিনন্দন রইল। পাশাপাশি আপনার বাবা-মা সবসময় ভালো থাকুক এই কামনা করছি। শুভ হোক আপনার বাবা-মার বিবাহবার্ষিকী।
দারুন সারপ্রাইজ হয়েছে নিশ্চয়ই। যাই হোক শাড়িটা বেশ সুন্দর। কালাটা আমার খুব পছন্দের। হুটহাট প্লান করলে বেশ মজা হয়।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
আশাকরি দিদি , আপনার মা আপনার দেওয়া গিফট পেয়ে খুশি হয়েছে । আপনার বাবা-মার জন্য আশীর্বাদ রইল । নীল শাড়িটা আসলেই সুন্দর হয়েছে । আপনার পছন্দের তারিফ করতে হয় দিদি ।
মা বাবার অ্যানিভার্সারি উপলক্ষে আপনার প্ল্যানিং অতি চমৎকার ছিল। পাশাপাশি আপনার মা বাবার অ্যানিভার্সারি উপলক্ষে দোকান থেকে কেক কেনার বিষয়টি আমার কাছে অধিক ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।