ধৈর্য্যই জীবন পথের পাথেয়।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে ধৈর্য্য নিয়ে আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু কথা ভাগ করে নেবো।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে মানুষকে বহু প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। সমস্ত বাধা বিপত্তি ও নৈরাশ্যকে অতিক্রম করে অসীম ধৈর্যের সঙ্গে হাসিমুখে আঘাতের বেদনা সহ্য করতে হবে। প্রতিকূলতার সঙ্গে ক্রমাগত সংগ্রাম করে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। পৃথিবীতে যেমন দিনের আলো আছে, তেমনি আছে রাত্রির অন্ধকার । মানব জীবনেও এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা অবিরাম চলছে।আর এটা অতিক্রম করতে হলে ধৈর্যশীলতা না থাকলে কখনোই সম্ভব হয় না। সেই জন্য জীবনের যাত্রাপথে মানুষের ধৈর্য ও সহনশীলতাই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ পথ।
বিশ্ব কবির ভাষায়," যাহাকে দুঃখের মধ্য দিয়া কঠিন ভাবে লাভ করি হৃদয় তাহাকে নিবিড় ভাবে ,সমগ্রভাবে প্রাপ্ত হয়"।
ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রয়োজন কেন?
সুখী ও সফল হয়ে বাঁচবার জন্য মানুষের ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রয়োজন আছে বলেই বোধ হয় সংসারের সর্বক্ষেত্রে এর সাক্ষাৎ পাওয়া যায় ।সমস্ত অভাব অভিযোগ নীরবে সহ্য করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ সাংসারিক কর্তব্যসমূহ পালন করে ।দারিদ্র্যের জ্বালা সহ্য করে অনেক দরিদ্র পরিবার ভবিষ্যৎ আশার আলো দেখতে পায়। দারিদ্র্যের কঠোর জ্বালা সহ্য করে ঠাকুরদাস ও ভগবতী দেবী বিদ্যাসাগরের মতো পুত্র লাভ করেছিলেন । ধৈর্য সহকারে ব্যর্থতার গ্লানি উপেক্ষা করে বৈজ্ঞানিক ,গবেষক ,দেশপ্রেমিক ও সমাজ সংস্কারকগণ মানব কল্যাণের জন্য নতুন নতুন আবিষ্কারের মেতে আছেন।
ধৈর্য ও সহনশীলতাই হলো মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণাবলীর অন্যতম ।ধৈর্যহারা মানুষ নোঙরহীন জাহাজের মত ।জীবন সমুদ্রের সামান্য তরঙ্গাঘাতেই বিপর্যস্ত ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় ।এই পৃথিবীতে মানুষের মত বাঁচতে হলে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে হলে কুসংস্কারের জীর্ণ পাতা ঝড়িয়ে নবযুগ সৃষ্টি করতে হলে অসীম ধৈর্যের প্রয়োজন। এই সত্য প্রমাণ করার জন্য নবরূপী নারায়ণ হয়েও রামচন্দ্রকে কল্পনাতীত দুঃখ কষ্ট সহ্য করে জীবনের যাত্রাপথে অগ্রসর হতে হয়েছিল। তেমনভাবেই রানা প্রতাপ ,শিবাজী সকলেই ধৈর্য সহিষ্ণুতা প্রতিমূর্তি। বিপদে ও যুদ্ধে স্থির বলেই যুধিষ্ঠির বিজয়ী আর সহিষ্ণুতায় অবিচল প্রতিমূর্তি বলেই কর্ণ মহিমাময়।
ইতিহাস ও সাক্ষী দেয় ,যে সয় সেই রয়। ইঞ্জিন আবিষ্কার করার পরও স্টিভেনসনকে অনেক উপহাস সহ্য করতে হয়েছিল ।পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে এই সত্য প্রকাশ করার জন্য গ্যালিলিওকে অনেক গ্লানি সহ্য করতে হয়েছিল ।তেমন ভাবেই সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের হাতে নেতাজি সুভাষ অকথ্য নির্যাতন সহ্য করেও মনোবল রাখতে পেরেছিলেন বলেই তাহার আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশ সিংহাসনের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই অশেষ দুঃখ কষ্ট সহ্য করেই এরা সকলেই অমর কীর্তিতে আজ বিশ্ব জগতে ভাগ্যবান ।আর তাদের সহনশীলতার জন্যই তারা জগতে অমর রয়েছেন।
যে কোন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনেও সহনশীলতা যথেষ্ট প্রয়োজন আছে ।দুঃখ নিরাশায় হিংসা ভরা সংসারে বিচলিত ও উত্তেজিত হয়েও ধৈর্য হারাবার মতো অবস্থা মানুষের জীবনে অনেকবারই দেখা যায়। কিন্তু প্রত্যেক ক্ষেত্রে যারা আত্মহারা হয়ে পড়ে তাদের জীবনে সুখের আশা কোথায় ?যারা এই সকল জিনিস জানে তারাই অসীম ধৈর্যের প্রত্যেকটি বাধা অতিক্রম করে। নিন্দা গ্লানি আঘাতকে যদি সুকৌশলে পরিহার করা যায় তাহলে নতুন জীবনের সূচনা হয় ।
ধৈর্য ধরে রাখা মানেই তো স্থির থাকা। এই পৃথিবীতে যারা ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সামনে দাঁড়িয়েছে অর্থাৎ মন স্থির রেখে ধৈর্য ধরে একটু একটু করে এগিয়েছে তাদের রাস্তা সহজ হয়েছে। ধৈর্য আসলেই মিষ্টি ফল নিয়ে আসে।
দিদি নমস্কার
দিদি খুব সুন্দর একটি ফ্রেশ ব্লগ লিখেছেন ৷আপনি সত্যি বলেছেন ৷এ মানব জীবন টা সত্যি বড় অদ্ভুত ৷ এ জীবনে অনেক কিছু সম্মুখীন হতে হয় ৷ আনন্দ দুঃখ বেদনা কষ্ট আর এ সব কিছু হওযার পর সুখ আসে ৷জীবনে অনেক বাধা বিপত্তি পার হতে হয় ৷আর মানব জীবন ভাঙ্গা গড়া এটাই হয়তো নিয়ম৷
সব শেষে ধৈর্য থাকা টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৷ওই যে কথায় বলে ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয় ৷
ধন্যবাদ দিদি খুব সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য৷
একদম ঠিক বলেছেন দিদি আসলে আমাদের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত থাকে , যখন আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় । আর যারা এই পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে পারে তারাই জীবনে সফল হতে পারে । আপনি চমৎকার কিছু কথা উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে ।
ধৈর্য্যই জীবন পথের পাথেয় অনেক সুন্দর কথা বলেছেন আপু আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমি অনেক অভিজ্ঞতা পেলাম। কারণ ধৈর্য ছাড়া মানুষ কোন কিছুতেই সফল হতে পারে না।বলা যায় ধৈর্যই মানুষের সফলতার চাবিকাঠি। ধৈর্য কখনো মানুষকে থামিয়ে বা ঠেকিয়ে রাখতে পারেনা ।আর ধৈর্য না থাকলে মাঝিবিহীন নৌকার মতো হয়ে যায়। ধন্যবাদ জ্ঞান মূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপু।
দিদি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও কার্যকরী একটি বাণী নিয়ে আপনার আলোচনা করে খুব ভালো লাগে। বাণী বললাম এই কারণে আমাদের জীবনে সফলতা ও উন্নতির পথে ধৈর্য একমাত্র প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। জীবনে চলার পথে যে যত বেশি ধৈর্যশীল ও কষ্ট সহিষ্ণু হতে পারবে একমাত্র সেই সফলতার মুখ দেখবে। ধৈর্য হারিয়ে ফেললাম তো হেরে গেলাম। আপনার আজকের লেখাটি পড়ে আমাদের অনেকেরই খুব কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনি অনেক মূল্যবান একটি কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।আসলেই ধৈর্য ছাড়া কোন জিনিস এমনি এমনি পাওয়ার সম্ভব না। সবকিছুতেই ধৈর্য দরকার ধৈর্য ধরলে একদিন জীবনে সফলতা আসবেই ।আমাদের যেমন অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করে তারপরে সুখ আসে। তেমনি অনেক ধৈর্য ধরে সফলতা আসে ।ধন্যবাদ দিদি এমন একটি মূল্যবান কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আমি আপনার সাথে একমত, ধৈর্য ধারণ করা একটি মহৎ গুণ। ধৈর্যধারণের মাধ্যমে মানুষ তার জীবনের চরম সার্থকতা অর্জন করতে পারে। অসম্ভব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু খুব সুন্দর লিখেছেন।আসলে ধৈর্য্য আর চেষ্টা করলে মানুষ সবই পারে।ধৈর্য্য মানুষকে উপর দিকে উঠতে সাহায্য করে।জীবনে অনেক বাধা বিপত্তি, উপহাস সহ্য করে ধৈর্য ধরে কাজ করে যাবে,উনিই এগিয়ে যেতে পারবে।ভালো ছিলো আপু।ধন্যবাদ
আপু। ধৈর্য নিয়ে আপনার চমৎকার দৃষ্টিভঙ্গি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো ধৈর্য তিক্ত তার ফল অনেক মধুর। ধৈর্য ধরে কেউ কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। জীবনে চলার পথে অনেক বাধা-বিপত্তি আসতে পারে কিন্তু সকল অবস্থায় ধৈর্যের পাহাড় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দিদি অনেক সুন্দর কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ৷ সত্যিই ধৈর্যের পরীক্ষায় যে পাশ করেছে সেই সফলতা পেয়েছে। জীবনে অনেক কঠিন কঠিন মুহুর্ত আমাদের জীবনে আসে ৷তখন ধৈর্য ধারণ করে আমাদের থাকতে হয় ৷ কিন্তু সবাই পাড়ি না ধৈর্য ধরে থাকতে ৷ যে ধৈর্য ধরে থাকতে পারে তার-ই সফলতা আসে ৷ধন্যবাদ দিদি এমন মূল্যবান কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।