নতুন স্বাদে ভেজ চাউমিন রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে ভেজ চাউমিন রেসিপি তৈরি করে দেখালাম।আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
ঝঝটপট ক্ষুধা মেটাতে চাউমিনের জুড়ি নেই। সহজ রান্না হিসেবে পরিচিত চাউমিন।খেতে যেমন সুস্বাদু, পেটও ভরিয়ে রাখে অনেকটা সময়। শিশুরাও চাউমিন খেতে বেশ পছন্দ করে। চট জলদি টিফিন বানাতে বা বিকেলের নাস্তায় চাউমিন হলে খেতে ভালোই লাগে। আর আমাদের বাড়িতে বেশিরভাগ টাইমই ভেজ চাওমিনই হয় ।আর আমি স্কুল বা কলেজে পড়তে বেশিরভাগ সময়ই ভেজ চাউমিন নিয়ে গেছি টিফিনে। কারণ মা কখনোই স্কুলের ব্যাগের ডিম দিত না। আর এই ভেজ চাওমিন ভালো করে করলে খেতে খুব ভালোও লাগে। আজকে আমি আপনাদের সাথে ভেজ চাউমিনের রেসিপি ভাগ করে নিচ্ছি ।আর যেহেতু এখন শীতকাল তাই অনেক রকম সবজি দিয়ে বানানোর জন্য আরও বেশি সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
ভেজ চাউমিন তৈরী করার পদ্ধতি:
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. নুডুলস | ৬ প্যাকেট |
২. বাঁধাকপি কুচি | ২ কাপ |
৩. গাজর কুচি | ১ কাপ |
৪. বিনস কুচি | ২ কাপ |
৭. ক্যাপসিকাম কুচি | ২ কাপ |
৮. পেঁয়াজ কুচি | ২ টি |
৯. পিঁয়াজ পাতা | পরিমান মত |
১০. লবণ | পরিমান মত |
১১. সোয়া সস্ | ১ টেবিল চামচ |
১২. ভিনিগার | ১ টেবিল চামচ |
১৩. সরষের তেল | পরিমান মত |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমেছোটো ছোটো ছ প্যাকেট চাউমিন নিয়ে নিলাম । স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও তেল দিয়ে নুডুলস সিদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিলাম। এটা করলে নুডুলস ঝরঝরে থাকে, একটার গায়ে আরেকটা লেগে যায় না।
দ্বিতীয় ধাপ
তৃতীয় ধাপ
• এরপর কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল গরম করে নিলাম ।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর বিনস, ক্যাপসিকাম ,গাজর এবং বাঁধাকপি পরিমাণ মত কেটে নিলাম । এছাড়াও ঝিরিঝিরি করে পিঁয়াজ ও পিয়াজ পাতা নিয়ে কেটে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর তেল গরম হয়ে এলে একে একে কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিলাম ।
ষষ্ঠ ধাপ
• হালকা ভাজা ভাজা হয়ে এলে অল্প ভিনিগার দিয়ে দিলাম ।
অষ্টম ধাপ
• এরপর আরেকটি কড়াইতে চাউমিন এর মধ্যে ওই ভেজে রাখা সবজিগুলো একসাথে দিয়ে দিলাম । তার সাথে এক চামচ মত সয়া সস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করলাম।
নবম ধাপ
• এইভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম। ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল ভেজ চাউমিন রেসিপি ।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আপু আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। আমি ভেজ চাউমিন টা বেশি বাসায় বানিয়ে খায়। এই বিষয়ে একদিন একটি পোষ্টও করেছিলাম। কিন্তুু আমার কাছে ঐ চাইনিজ কাঠি গুলো নাই। এই কাঠি দিয়ে কখনো খায় নি। আপনার রেসিপিটা দেখে আবার খাওয়ার উৎসাহ পেলাম। ধন্যবাদ আপু।
আমার ব্যক্তিগতভাবে চাওমিন অনেক ভালো লাগে। বাসায় যখন কোন কিছুই রান্না করার মত থাকে না তখন চটপট এই ধরনের নুডুলস রান্না করে খেয়ে ফেলি। রান্না করতেও খুব একটা বেশি কষ্ট পোহাতে হয় না। আপনার রেসিপিটি অনেক চমৎকার ছিল দিদি।।
আপু আপনার চাওমিন দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। আমার তো মনে হচ্ছে এখনই নিয়ে একটু খেয়ে নেই। আপনি ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা চাওমিন খুবই পছন্দ করে। আর আপনি এই শীতের বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে চাওমিনটি তৈরি করেছেন ।এটি বেশ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার হয়েছে ।আমার কাছে রেসিপিটি খুবই ভালো লেগেছে। কালারটিও বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
এই রাতে এসব কি খাবার দেখছি,নিজেকে তো আটকে রাখতে পারছিনা। এমনিতেই এতো ফেভারিট, তার মধ্যে এতো সুন্দর করে বানানো।ছবিতে এতো সুন্দর লাগছে যেন মনে হচ্ছে,আমার সামনেই রাখা।
উপস্থাপনা ভালো ছিল।শুভ কামনা রইলো।
দিদি সকাল সকালএমন ভেজ চাউমিন রেসিপি দেখে লোভ গেল, যদি একটু খেয়ে দেখতে পারতাম। সত্যি দিদি শীতকালে অনেক সবজির সমারোহ। আপনি অনেক গুলো সবজি দিয়ে দারুণ ভেজ চাউমিন রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে এভাবে রান্না করলে যেমন মজা লাগে তেমনি পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার যে কোন ধরনের চাউমিন খেতে ভালো লাগে। দিদি খুব সুন্দর একটি ভেজিটেবল চাউমিন এর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রান্নার ধাপগুলো সুন্দরভাবে বর্ননা এবং ছবির মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন। গাজর, ক্যাপসিকাম, বিন এবং বাঁধাকপি দেয়াতে কালার টা সুন্দর এসেছে এবং দেখেই ইয়াম্মি মনে হচ্ছে। পরিবেশন খুব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ দিদি।
দিদি চাউমিন এর রেসিপিটা দেখতে দেখতে মুখে জল চলে আসলো। আর নিঃসন্দেহে চাউমিনটা অনেক সুস্বাদু খেতে হয়েছে।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট করার জন্য।
আপু ঠিক বলেছেন ভেজ চাওমিন ঠিক মত রান্না করলে খেতে বেশ দারুন লাগে।আপু আমার খুব পছন্দের খাবার চাওমিন।স্কুলের টিফেন কিংবা বিকালের নাস্তার ঝটপট সমাধান হচ্ছে চাওমিন।যাই হোক সবজি দিয়ে দারুন মজা করে চাওমিন তৈরি করেছেন। বিভিন্ন কালারের সবজি দেওয়াতে চাওমিনের কালারটাও বেশ সুন্দর এসেছে।ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
দিদি আপনার চাওমিন দেখে মনে হচ্ছে এখান নিয়ে খেয়ে নেই। আমি চাওমিন খেতে খুবই পছন্দ করি। ঠিক বলেছেন শীতের সময় বিভিন্ন সবজি পাওয়া যায় আর এই সবজি দিয়ে চাওমিন খেতে দারুণ লাগে। এই চাওমিন আমরা বিকালের নাস্তা হিসেবে খেতে পারি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে চাওমিন তৈরির পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। মজার মজার টিফিন খেতে ভালই লাগতো। যাইহোক আপু আপনার তৈরি করা ভেজ চাউমিন রেসিপি দারুন হয়েছে। বিভিন্ন প্রকারের সবজির সমন্বয়ে খুবই স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। সবজি দিয়ে চাউমিন তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু দারুন একটি রেসপি শেয়ার করার জন্য।