কালীপূজায় কাটানো আনন্দের কিছু মুহূর্ত । //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভাল আছেন।সুস্থ আছেন।প্রথমেই আমি সবাইকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ আমি আপনাদের কাছে কালীপুজোয় কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলোকে ভাগ করে নিচ্ছি।
কথায় আছে, বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই কথাটা একদম সত্যি। দুর্গাপুজো আসার অনেক আগে থেকেই বাঙালির আনন্দের বাঁধ ভেঙে পড়ে।তার সাথে কেনাকাটাও শুরু হয়ে যায়,কেনাকাটার সাথে সাথে দিন গোনাও শুরু হয়ে যায়।দুর্গাপূজো শেষ হলে লক্ষ্মীপুজো।আবার লক্ষ্মীপুজো শেষ হলেই ১৪ দিন পর কালীপুজো, তারপর ভাইফোঁটা। এই দিনগুলো বাঙ্গালীদের মনে আনন্দের সীমা থাকে না তার সাথে স্কুল-কলেজ ও ছুটি থাকে। বাচ্চারা এবং তার সাথে বড়রা আনন্দে মেতে ওঠে।
বাঙ্গালীদের কাছে কালীপুজো হলো নস্টালজিয়া।সপ্তাহখানেক আগে প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে যায়,কালী পুজো মানেই হলো বাজি কেনা, সেই বাজি রোদ্দুরে দেওয়া এইসব জিনিস কম আনন্দের নয়।আমি যখন ছোটো ছিলাম তখন বাজি কেনার জন্য বায়না করতাম🤭 এখন আমি নিজেই কিনে আনি।এছাড়া ঘরে নতুন ধরণের লাইট জালানো,সুন্দর করে প্রদীপ দেওয়া, আলপনা দেওয়া।এই সকল জিনিস নিয়ে আনন্দের সীমা থাকে না। এই সময় যে যতটা পারে নিজের ঘরকে সুন্দর করে সাজানোর চেষ্টা করে।
আমাদের বাড়িতে পঞ্চপ্রদীপের ছবি
দূর্গাপূজার মতো কালি পুজোর পাঁচদিন ধরে না চললেও একদিনই কিন্তু আমরা সমস্ত আনন্দ উসুল করে নিই । দূর্গাপূজায় ঠাকুর দেখব কিন্তু কালী পূজার ঠাকুর দেখব না সেটা তো হয় না তাই বেরিয়ে গেলাম ঠাকুর দেখতে। গতবছর করনা আবহের জন্য ঠাকুর দেখতে পারিনি কিন্তু এই বছর একটু কম থাকায় ঠাকুর দেখতে বেরবো বলে স্থির করলাম। কালী পূজার প্যান্ডেল আগের মত বড় না হলেও ছোট করে সুন্দরভাবে করা হয়েছে করোনা নিয়ম বিধি মেনে অর্থাৎ মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করেই মণ্ডপে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
• আজকে সেই সকল প্যান্ডেল গুলোকেই আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম।
দমদম রোড হনুমান মন্দির
থিম - অপচয়
সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান মানু্ষকে অনেক কিছু উপহার দিয়েছে, যা জীবনযাপনকে করেছে সহজতর৷ কিন্তু বিজ্ঞানের সেই আশীর্বাদ মানুষের বিবেচনার অভাবে পরিণত হয়েছে অভিশাপে৷ প্লাস্টিক বর্জ্য তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ৷ এই থিমটিতে তেমনভাবেই মাটির ভাঁড় এর বদলে আমরা যে প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার করছি এবং তালপাতার বদলে আমরা প্লাস্টিকের পাখা ব্যবহার করছি, ধুন্দুল এর খোসা বাদ দিয়ে আমরা প্লাস্টিকের খোসা ব্যবহার করছি।এছাড়াও হ্যারিকেনের বদলে আমরা এমার্জেন্সি লাইট ব্যবহার করি।এই জিনিসগুলো কে তুলে ধরা হয়েছে। এই সকল দরকারি জিনিস গুলোকে আমরা ফেলে দিই। এবং প্লাস্টিকের জিনিস গুলোকে গ্রহণ করি।
এখানে কালীমাকে চায়ের ভাঁড়ের ভাঙা টুকরোর ভিতরে দেখানো হয়েছে।
সেন্ট্রাল দমদম ইয়ারপোর্ট ইউনিয়ন ও মিলন সংঘের নিবেদন।
থিম - থিম টিম সব ঘোড়ার ডিম জ্বলবে আলো টিম টিম।
দীপাবলি মানে আলোর উৎসব যে আলো মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে যায়, অজ্ঞানতা থেকে জ্ঞানের আলো দেখায়,যে আলোয় অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করে শুভশক্তির প্রতিষ্ঠিত হয়, মানুষ আবার নতুন করে বাঁচতে শেখে। রামচন্দ্র লঙ্কায় রাবণ কে পরাস্ত করে ১৪ দিন পর যখন অযোধ্যায় ফিরেছিলেন তখন অযোধ্যা সেজে উঠেছিল দীপালোকে,সেই থেকে শুরু হল দীপাবলি যা আজ ভারতবর্ষের একটি অন্যতম উৎসব এবং সেখানেও রামচন্দ্র অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই রকমই আজকের সারা পৃথিবীতে যে অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে যে অশুভশক্তির করাল গ্রাস আমাদের চারিদিকে ছেয়ে রয়েছে সেই অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমাদের এই আলোর উৎসব যার নাম দীপাবলি। মায়ের কাছে প্রার্থনা করি দীপাবলি এই উষ্ণ আলোর পরশে আমাদের সকলের জীবন হয়ে উঠুক সূর্যমুখী ।
দাগা কলোনি দমদম মিলন সংঘ
থিম - মন্দিরের স্থাপত্যকার্য
৭৪ তম বর্ষে পা দিয়েছে দাগা কলোনি দমদম মিলন সংঘ।এখানে কোন একটা মন্দিরের থিমকে উপস্থাপনা করেছে। প্যান্ডেলের ভিতরে হাতের কাজ খুব সুন্দরভাবে করা হয়েছে এবং ঝাড়বাতির কারুকার্য ও খুব সুন্দর।
দমদমের খামখেয়ালী সংঘ
থিম - শিক্ষা আনে চেতনা
মূলত সর্বশিক্ষা অভিযানের মূল থিম টিকেই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশিক্ষা অভিযানের মূল স্লোগান হলো সবার উন্নতি, সবার জন্য শিক্ষা। ১৯৫০ সালে ভারতবর্ষের সংবিধানে স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং বাসভূমি ব্যবস্থার নির্দেশনা করা হয়েছিল। সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষাকে বাস্তবে রূপায়ণ করতে যে সমস্ত প্রকল্পগুলি সরকার দ্বারা গ্রহণ করা হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সর্বশিক্ষা অভিযান।
অও,দারুণ কিছু তুলে ধরেছেন আপনি।এই বছর কালীপূজা দেখা হয় নি।তবে আপনার থেকে দেখে নিলাম এবং থিম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।খুবই ভালো লাগলো।পঞ্চপ্রদীপটি সুন্দর ।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও ,দিদি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কালির পূজা সময় টুকু কাটিয়েছেন ।আপনার বাড়ীরর পঞ্চপ্রদীপর ছবিটি সহ প্রতিটি ফটোগ্রাফি আর উপস্থাপনা দারুণ হয়েছে।তবে দিদি এবার আমাদের বাংলাদেশে সে রকম আমেজ ছিলে না কালি পুজোর ।তবে আমি আপনার পোস্টর মাধ্যেমে মা কালিকে দর্শন করে নিলাম।জয় মা কালি।সব মিলে চমৎকার ছিলে দিদি।এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আমার খুব ভালো লাগছে যে আমার পোস্টের মাধ্যমে আপনি কালিমাকে এত সুন্দর ভাবে দর্শন করে নিলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।