আজ সন্ধ্যায় কাটানোর কিছু মুহূর্ত।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
প্রথমেই সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে সন্ধ্যায় কাটানোর কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
আজ যেহেতু রবিবার তাই একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলাম।আর আমি তো আগেই বলেছিলাম যে রবিবার হলেই আমার ঘুরতে ইচ্ছা করে ।তার মধ্যে আগে থেকেই প্ল্যান করেছিলাম যে আজকে একটু বারাসাতের ভিতরে কোথাও ঘুরতে যাবো।কিন্তু হয় না ,পূর্ব পরিকল্পিত প্ল্যানগুলো বেশি ভাবলে সেটা আর ঠিক করে হয়ে ওঠেনা। আজও ঠিক তেমনি হলো। আমাদের বেরোনোর কথা ছিল সাড়ে তিনটের সময় কিন্তু আজকে আমাদের বাড়িতে পরিবারের সকলের একসাথে খাওয়া দাওয়ার কথা ছিল ।যথারীতি দুপুরবেলা খেতে অনেক দেরি হয়ে গেল ।সেই বেরোতে বেরোতে সাড়ে চারটা বেজে গেল। তার মধ্যে আজকে ব্ল্যাকস ৩:৪৫ এ চলে এসেছিল।আর এদিকে আমার তখনও খাওয়া হয়নি ।সব মিলিয়ে দেরী হয়ে গেল ।ঠিক যখনই বেরোলাম আমি তখনই বৃষ্টি নেমে গেল ।মানে সবদিক দিয়ে যা তা অবস্থা। যেহেতু ব্ল্যাকস আজকে আমাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুরতে যাবে বলেছিল আর তার মধ্যে এরকম অবস্থা, তাই জন্য আমার উপর একটু রাগও করল কিন্তু বেশিক্ষণ রাগ করেও থাকতে পারল না🤪 ।যাই হোক সেই বৃষ্টি তো আর থামারই নাম করলো না ।৬:১৫ পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই গেল। যাও মাঝখানে পাঁচ মিনিটের জন্য থেমেছিল সেই পাঁচ মিনিটের জন্য আমরা কে এফ সি তে ঢুকলাম। বৃষ্টির সময়টুকু ওখানে কাটানোর জন্য খাওয়া দাওয়া করলাম ।
ঠিক ছটা পনেরো নাগাদ বৃষ্টি থেমে গেল । তারপর ভাবছিলাম কোথায় যাবো বুঝতেও পারছিলাম না ,এদিকে তো সন্ধ্যা হয়ে গেল। যাইহোক আবার ভাবলাম বারাসাতের দিকেই যাই। তাই গেলাম ।একদিকে বিকেলটা কাটাতে পারলাম না কিন্তু লং ড্রাইভ তো হল । আর বাইকে করে লং ড্রাইভে যেতে বেশ ভালোই লাগে। তাই কৃষ্ণনগর রোডের দিকে গেলাম। বাইক চালানোর জন্য দারুন একটি রাস্তা ।সেই রোডের কাছাকাছি কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম ।ওখানে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে সাতটা বেজে গেল ।তাই ওই রোডের কাছাকাছি একটি জায়গায় চা খেতে গেলাম । এর আগে ব্ল্যাকস এখানে এসেছিল ।জায়গাটি তখন থেকেই আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল ।তাই আমিও আজকে ওখানে গেলাম ।সত্যিই এই পরিবেশটা ভীষণ সুন্দর ।কিন্তু বিকেলবেলা আসলে হয়তো আরো ভালো লাগতো ।যাই হোক ওখানে গিয়ে ফিস ফ্রাই ,চা আর কোল্ড কফি অর্ডার দিলাম ।খাবার খুব একটা ভালো না হলেও আমার কাছে খুব একটা খারাপ ও লাগেনি। এক ঘন্টা মতো খাওয়া দাওয়া গল্প করে বাড়ি চলে এলাম । আসলেই জায়গাটা খুবই সুন্দর । এরপর আবার এখানে আসবো কিন্তু সেদিন আর দেরি করবো না।
হালকা বৃষ্টিতেও ভেজা হল। তার মধ্যে খুব সুন্দর একটা সন্ধ্যা কাটিয়ে বাড়ি চলে আসলাম।
তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আপু,দাদাকে অপেক্ষা করানোর জন্য😜😜।ইশ আপু খাবারগুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে।লোকেশনটা বেশ সুন্দর মনে হচ্ছে, প্রত্যেক চুমুকেই ভালোবাসা।সুন্দর। ধন্যবাদ
মাঝে মাঝে এই রকম অপেক্ষা করানো উচিত 🤣🤣। হ্যা লোকেশনটা খুব সুন্দর ছিল। অনেক ধন্যবাদ দিদি।
ঠিক বলেছেন আপু আগে থেকে যদি কোন প্ল্যান করা হয় তাহলে তা আগে থেকে কোনোভাবেই সাকসেসফুল হয় না। কিন্তু তারপরেও অনেক কিছুর পর সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বেশ ভালো লাগলো। সব থেকে বড় কথা আপনার সাথে ব্ল্যাকস তার আগে দেখে আরো ভালো লাগলো।
বৃষ্টির সময় এভাবে ঘুরতে যাওয়া খুব ভালোই লাগে। আর মিষ্টি আপুর মিষ্টি বোনটাকেও অনেক সুন্দর লাগছে। প্রত্যেক রবিবার যদি আমিও ঘুরতে বের হতে পারতাম 🙄। হাহাহা মজা করলাম। যাই হোক আমার ধন্যবাদ সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য আর দাদার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে ছুটির দিনে ঘুরতে ইচ্ছে হবে এটাই স্বাভাবিক কেননা সপ্তাহের অন্যান্য দিন কর্মব্যস্ততার মধ্যে কাটে কিন্তু এই দিনটাতে আমরা একটু স্বস্তি পাই।
ভাবে খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত পার করেছেন দেখছি আপু। ঘোরাঘুরি সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া অনেক মজার একটা ব্যাপার। আমিও মাঝে মাঝে ছুটির দিনে আমার অর্ধাঙ্গিনী কে নিয়ে ঘুরতে যাই এবং রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করি।
ঠিক ছয়টা পনেরো নাগাদ বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলে। আপনারা ভাবছেন কোথায় যাবেন তারপর আপনার ঠিক করলেন বারাসাতে দিকে বেড় হলেন। আসলে এখানে গিয়ে অনেক আনন্দময় সময় পার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো প্রিয় মানুষের সাথে এরকম আনন্দময় সময় অসাধারন মুহুর্ত। খুবই সুন্দরভাবে আপনারা মুহূর্তটি উপভোগ করেছেন। বৃষ্টির দিনে এমনিতেই ভালো লাগে।তারপর প্রিয় মানুষের সাথে অসাধারন মুহুর্ত মদোয়া রইল আপনাদের জন্য।
এমন একটা মিষ্টি আপুর উপরে কিভাবে দাদা রাগ করে থাকবেন বলেন।কেউ পারবেনা। আপনারা সেখানে গিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।বেশ মজার ছিল আপু।আপনাকে ধন্যবাদ আপু সন্ধ্যায় কাটানো সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিবার ও প্রিয়জন দের সাথে কাটানো প্রতিমূহুর্তই বিশেষ। আপনার সন্ধ্যাটি অনেক ভাল কেটেছে। ধন্যবাদ মুহুর্ত গুলি শেয়ার করার জন্য
ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ঘুরতে যাওয়ার জন্য বেশি প্লান করে ফেললে তা কখনোই প্লান মাফিক হয়না একটা না একটা কারণে তা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।
আবার দেখা যায় হুটহাট বেরিয়ে পড়লে আকস্মিক ভাবে দিনগুলো খুব ভাল ভাবে যেন পুর্ব পরিকল্পনা মাফিক কেটে যাচ্ছে এমন মনে হয়।
ঘুরতে যাওয়ার কিছু আনন্দময় মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে ভাল লাগলো।
আপনার মতো মিষ্টি মেয়ের সাথে আমাদের ভাই আর কত ই বা রাগ করে থাকতে পারবে!মজার সময় কাটিয়েছেন দেখছি।
ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। দি অনেক চমৎকার একটি বিকেল কাটিয়েছেন। আসলে সন্ধ্যার পর বের হলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়। আলো আঁধারের মাঝে মাঝে বাইকে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনাদের আনন্দঘন মুহূর্ত ও খাওয়া-দাওয়া সব কিছু দেখে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন দিদি সবসময়। কি আর আপনাদের কোয়ালিটিপুরনো সময় গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।