বেলুড় মঠে একদিন
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বেলুড় মঠে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি ভালো লাগবে।
দুদিন আগে খ্রিস্টমাসের ছুটিতে একটু বেলুড় মঠ ঘুরতে গিয়েছিলাম। এই প্রথমবার আমার বেলুড় মঠে যাওয়া ।বহুবার বেলুড় মঠের সামনে দিয়ে গিয়েছি কিন্তু কখনও ঢোকা হয়নি ।কারণ এর আগে যখন একবার গিয়েছিলাম এর একটি নির্দিষ্ট টাইম থাকে ,সেই টাইমের পর এখানে প্রবেশ করতে হয় তাই জন্য কখনো যেতে পারিনি এর আগে। কিন্তু কিছুদিন আগে যখন গিয়েছিলাম একটা আলাদাই শান্তি কাজ করছিল। অনেকখানি জায়গা জুড়ে এই বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত বেলুড় মঠ আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত বিশিষ্টতার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ১৮৯৭ সালে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের বিশিষ্ট শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশন।
স্থাপত্যগতভাবে, বেলুড় মঠ বিভিন্ন দেশের মানুষদের সংমিশ্রণের উদাহরণ দেয় যেমন হিন্দু, ইসলামিক এবং খ্রিস্টান সকল ধর্মকে একত্রিত করে।স্বামী বিবেকানন্দের সমস্ত ধর্মের সার্বজনীনতার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে।
এই আধ্যাত্মিক মঠ বিশ্বব্যাপী অনুসারী এবং দর্শকদের আকর্ষণ করে, সম্প্রীতি এবং আধ্যাত্মিক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। সবুজের মাঝে নির্মল পরিবেশ ও প্রকৃতি মানুষকে আরও উৎসাহিত করে। স্থানটির প্রশান্তি ভক্ত, তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের একইভাবে বিমোহিত করে, সান্ত্বনা এবং আলোকিত হওয়ার সন্ধান করে।
বেলুড় মঠের অনেক তাৎপর্য রয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ত্রাণ কাজের মতো মানবিক পরিষেবা প্রদান করে। মিশনটি অনেক স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করে, যা সামাজিক কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
প্রতিষ্ঠানটি স্বামী বিবেকানন্দের মানবতার সেবার নীতিকে ঈশ্বরের সেবা হিসাবে সমর্থন করে। এটি নিঃস্বার্থ সেবা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অংশের মানুষকে আধ্যাত্মিক উপলব্ধির সাধনা তার দর্শনের প্রতীক।
সারা বছর ধরে, বেলুড় মঠ শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস, পবিত্র মা শ্রী সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন সহ বিভিন্ন ধর্মীয় উদযাপনের আয়োজন করে। এই উত্সবগুলি ভক্ত এবং অন্বেষণকারীদের আকর্ষণ করে, শ্রদ্ধা, ভক্তি এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করে।
একটা আলাদাই প্রশান্তির জায়গা বলা যেতে পারে এই বেলুড় মঠকে। এই বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী রামকৃষ্ণ ,রানী রাসমণি ,সারদা দেবীর ব্যবহৃত জিনিসপত্রের কিছু জিনিস একটি ঘরে রাখা হয়েছে ।এবং সেখানে অনেক কিছু দেখার মত অজানা জিনিসপত্র রয়েছে। যেহেতু সেখানে ফোন অ্যালাউ নয় তাই সেই ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না তবু যা দেখেছি তা অনেক ।কারণ ১০০ বছর আগের জিনিসপত্র দেখা ভাগ্যের ব্যাপার বলে আমার মনে হয়।
যাই হোক একই দিনের মধ্যে আমরা পুরো ঘুরতে পারিনি , কিছু জায়গা দেখা বাকি থেকে গেছে ।কিন্তু যতটুকু দেখেছিলাম খুব ভালো লেগেছিল আমাদের কাছে ।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
বেলুড় মঠ দেখছি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান! সামজের সুবিধা বঞ্চিতদের নিঃস্বার্থ সেবা দিয়ে থাকে। তাছাড়া শিক্ষা স্বাস্থ্য সেবাও আছে। প্রথমবার গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন দিদি। আমরাও জানতে পারলাম বেলুড় মঠ সম্পর্কে 🌼
দিদিভাই, বেলুড় মঠে যে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন, তা কিন্তু ছবিগুলো দেখে যেমনটা বুঝতে পারছি ও তেমনটা লেখাগুলো পড়েও যেন কিছুটা উপলব্ধি করছিলাম, তবে বেশ ভালোই যুক্তিযুক্ত তথ্য দিয়েছেন লেখার ভিতরে।
আপনাদের সময় ভালো কাটুক, এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।
বেলুড় মঠের পাশ দিয়ে গেলেও কখনও ভেতরে ঢোকা হয়নি দিদি আপনার।কারন এর ভেতরে যাওয়ার নিদিষ্ট একটি সময় আছে।তার আগে বা পরে গেলে হয়না। তাই এতোদিন পর মঠের উদ্দেশ্যে গেলেন। আর চমৎকার সময় কাটিয়েছেন আশাকরি। শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আর এই মঠ বিষয়ে বেশকিছু তথ্য জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে।
বৌদি আপনার পোস্টটি পড়ে বেলুড় মঠ সম্পর্কে জানতে পারলাম। বেলুর মঠে ঢোকার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে এবং সেই সময়ে ঢুকতে হয়। সেখানে সবুজের মাঝে নির্মল পরিবেশও প্রকৃতির জন্য মানুষকে আরো উৎসাহিত করে।তবে সমাজে সুবিধাবঞ্চিতদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে তা জেনে আরও বেশি ভালো লাগলো। বেলুর মঠের উদ্দেশ্যে গিয়ে আশা করছি চমৎকার সময় কাটিয়েছেন বৌদি। অনেক ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
একদিন বেলুড় মঠে ঘুরে আমাদের মাঝে অনেক তথ্যই তুলে ধরেছেন। এসব জায়গার গেলে অনেক তথ্য জানা যায়। জায়গাটি যেমন বিশাল এলাকা জুরে করা হয়েছে তেমন অনেক স্থাপনাও গড়ে তুলা হয়েছে। বকুল গাছ,কাঠাল গাছ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে জায়গাটা সাজানো হয়েছে। খুবই সুন্দর সাজানো গুছানো পরিবেশ।