খাদ্যমেলা "চেটে পুটে "। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভাল আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে খাদ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
শীতকাল মানেই আনন্দ উৎসবের ঋতু। এই সময় চারিদিকে বইমেলা থেকে শুরু করে হস্তশিল্প মেলা, খাদ্য মেলা হয়ে থাকে। আর মেলা মানেই মিলন, বন্ধন ও উৎসব।আর খাদ্য মেলা যেখানে বাঙালি হচ্ছে সেখানে।বাঙালিকে সবসময় ভোজন রসিক বলা হয়। বাঙালির নামের সাথেই আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে খাবারের নাম। 'খাদ্যরসিক'- এই শব্দবন্ধ উচ্চারণ করলেন পাশাপাশি যা মনে আসে তা হলো 'বাঙালি' শব্দটি। যদিও বাঙালি মাছে -ভাতে।তবুও বিভিন্ন ধরনের স্বাদের রসগ্রহণে বাঙালিই সবথেকে এগিয়ে।আর যখন একই জায়গার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন হয় তাহলে বাঙালিকে আটকে রাখার সাধ্য কার।
প্রত্যেক বছরই শীত কালে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় খাদ্য মেলা হয়ে থাকে। তেমন ভাবেই মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে খাদ্য মেলা আয়োজিত হয়েছিল।১০ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা চলে ছিল।বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এই মেলায় এসেছিল। এই আয়োজিত মেলার নাম চেটেপুটে।মধ্য কলকাতার ক্লাব সমন্বয় সমিতির উদ্যোগে চেটেপুটে মেলার উদ্বোধন করা হয়।
চেটেপুটে মেলায় এবারের ট্যাগলাইন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে" যা দেবে অঙ্গে তাই যাবে সঙ্গে "।
আমি শুক্রবার এই খাদ্য মেলাতে গিয়েছিলাম। এই মেলায় ঢোকার আগে কুড়ি টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ঢুকলাম। এই মেলায় ৫৯ টি স্টল ছিল।সমস্ত স্টলের নাম প্রবেশের মুখেই দিয়ে দেওয়া ছিল।যাতে সমস্ত মানুষের বুঝতে সুবিধা হয়।
এই মেলার ভিতরে খুব সুন্দর ভাবে প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছিল।
খাদ্য মেলায় এসেছি কিন্তু খাব না,তা তো হয় না তাই প্রথমে ঢুকেই আগে দেখে নিলাম কোথায় কি পাওয়া যায়।সত্যি কথা বলতে এত খাবারের আয়োজন ছিল বুঝতে পারছিলাম না কি দিয়ে শুরু করবো।তাও একটা খাবারের স্টল থেকে পোলাও আর চিকেন কষা নিয়ে নিয়েছিলাম। টেস্ট মোটামুটি ভালই ছিল কিন্তু খাবারের পরিমাণ তুলনামূলক অনেক কম ছিলো দাম হিসেবে।
এই পোলাও আর চিকেন কষা খাওয়ার পরে যখনই ভাবলাম অন্য কিছু খাবো,তখনই পাশের দোকানে তাকাতেই দেখি পোলাও চিকেন কষার জন্য লাইন পড়ে গেছে।সেই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল যে ওইখান থেকে খেলেই ভালো হতো। তাই আর কিছু না ভেবেই পাশের দোকান থেকেও পোলাও আর চিকেন কষা নিয়ে নিলাম। টেস্ট এককথায় দারুন ছিল। তার সাথে একটা ভেটকি পাতুরিও নিয়ে নিয়েছিলাম।ভালোই হলো দুটো দোকানের দুরকম খাবারের স্বাদ পেলাম। কিন্তু আমার কাছে দ্বিতীয় দোকানের খাবারের টেস্ট খুব ভাল লেগেছিল।
মাঠের মধ্যে টেবিলে বসার জায়গা ছিল,সেখানে বসেই খেয়েছিলাম। এরপর পেট মোটামুটি ভরেই গিয়েছিল তাও ভাবছিলাম যদি চিকেন কাবাব খাওয়া যায় তাই চিকেন কাবাবও নিয়ে নিলাম।
এই মেলায় অক্টোপাস থেকে শুরু করে ফুচকা সবকিছুই ছিল।এছাড়া বিরিয়ানি, বিভিন্ন ধরনের কাবাব, ফিস ফ্রাই,আমিষ,নিরামিষ, কেক মিষ্টি,চকলেট,আইসক্রিম,ভে লপুরি,চাইনিজ থেকে কন্টিনেন্টাল এর মতো সমস্ত ধরনের খাবার। সব মিলিয়ে মেলার অবস্থা বেশ জমজমাট ছিল।
এছাড়াও এই মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল তুরকিশ আইসক্রিম। তার একটি ভিডিও ভাগ করে নিলাম।
এমন একটি খাদ্য মেলায় যাই না বহুদিন। অনেক রকমের সুস্বাদু সব খাবার দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আমি গেলে অবশ্যই আপনার চাইতে বেশি খেতাম। পেটুক হিসেবে আমার সুনাম আছে হাহাহাহা। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।
হাহাহাহা। তাহলে তো অবশ্যই আপনাকে একদিন কলকাতা আসতেই হবে। অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার মন্তব্যটি পড়ে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বলে বোঝাতে পারবো না দিদি কি যে আকর্ষণীয় লাগছে খাবার গুলো !! খাদ্য মেলার প্রতিটা খাবার একদম অসাধারণ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আর শীতকালে তো বাঙালি একটু খাদ্য রসিক থাকেই । আর হলো এই সময় সব মেলা গুলো ও হয়। খুবই ভালো লাগে আমার এ ধরনের মেলা এ সময়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর করে জিনিসগুলো গুছিয়ে আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ দাদা শীতকাল বলে কথা আর এই সময়ই তো সমস্ত রকম মেলা হয়ে থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে মন্তব্যের জন্য।
উফ দিদি কি যে দেখালে গো, ইচ্ছে করছে এই মাঝ রাতেই ছুটে বেড়িয়ে যাই। কেন যে কলকাতা নেই এখন আমি , খুব আফসোস হচ্ছে গো। আসলে এমন সুন্দর করে পোস্ট সাজিয়ে লিখলে কেউ ঘরে বসে থাকতে চাইবে না। খাবার গুলোর তো তুলনা নেই একদম। মিষ্টি পানের দোকান দেখে সজীব এর কথা মনে হলো। ও থাকলে পুরো দোকান তুলে নিয়ে আসতো 😂।আর বিশ্বাস করো,, সব শেষ আইসক্রিম এর ভিডিও টা দেখে যা হাসলাম 😀। দারুন ছিল এক কথায়।
আর তো কিছু দিনের অপেক্ষা। এরপর তোমাকে আমি নিয়ে যাব এরকম খাদ্য মেলা গুলোতে। একদিন দাদাকেও নিয়ে এসো। মিষ্টি পান আমারও ভালো লাগে 🤭।
খাদ্য মেলা, শুনেই তো জিভে জল চলে আসলো। কি দেখালেন আপু আমার তো এক্ষুনি যেতে ইচ্ছে করছিল। আপনি তো দেখলাম অনেক কিছুই খেলেন। প্রত্যেকটা খাবারের ছবি দেখতে তো অসাধারণ লাগলো। মনে হচ্ছে খাবার গুলো নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল। এরকম মেলায় কখনো যাওয়া হয়নি। অনেক উপভোগ করলাম। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ দিদি এরকম খাদ্য মেলায় গেলে আর কি না খেয়ে পারা যায় 🤭🤭। একদিন কলকাতার আসবেন শীতকালে এরকম মেলা প্রায়ই হয়।