"মুচমুচে কুমড়ো ফুল ভাজা " তৈরি করার পদ্ধতি।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম "মুচমুচে কুমড়ো ফুল ভাজা " তৈরি করার রেসিপি।
ভোজন রসিক ও শৌখিন বাঙ্গালীদের মাঝে বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন প্রকার খাবার এর প্রচলন আছে।বাঙালির খাদ্য তালিকায় এত রকমের খাবার তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
ভাত প্রিয় বাঙালির পাতে সবার প্রথমেই থাকে ভাজাভাজি একটি রেসিপি।আর ছোট থেকে বড়ো সকলেরই পাতে এই ভাজাভাজির মেনু থাকলে খাবার কিন্তু তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আমাদের বাড়িতে খাওয়ার সময় সবার প্রথমে থাকে সবজির একটি আইটেম, অথবা ভাজা কিছু আইটেম।কিন্তু নিরামিষ দিনগুলোতে হয়ে যায় সমস্যা, সব সময় খেতে ইচ্ছে না হলেও এই ডালের সাথে যদি কোন নতুন কিছু আইটেম থাকে তাহলে তো খাবারটাই জমে যায়।
আমাদের বাড়িতে সকলেই এই সকল ভাজাভাজি আইটেম খেতে খুবই ভালবাসে। তাই মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে কুমড়ো ফুল ভাজা হয়ে থাকে, আবার বকফুল ভাজা ও হয়ে থাকে। এই সকল ফুলগুলো না খেলে বোঝাই যায়না যে খেতে কতটা সুস্বাদু হয়,আমরা তো প্রায়ই আলুর চপ, ভেজিটেবিল চপ এই সকল খেয়ে থাকি।এর মাঝে কখনো কখনো এই সকল ফুল ভাজা খেলে মুখের স্বাদ এরও পরিবর্তন হয়।শুধু ভাত কেন এই ধরনের ভাজা সব সময় ভালো লাগে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে,শীতের বিকেলের চায়ের সাথে সাথে হলে তো পুরো বিকেলটাই জমে ওঠে। কারণ গল্পতো আর খালি মুখে জমে না🤭।
কুমড়োর গুণের কিন্তু শেষ নেই। কুমড়ো যেমন আমরা খাই,তেমনভাবে কুমড়ো ফুল কিন্তু আমরা খাই।তাই আজকে আপনাদের সাথে কুমড়ো ফুল ভাজার রেসিপি শেয়ার করলাম।
উপকরণ :
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১.কুমড়ো ফুল | ১০টা |
২. চালের গুঁড়ো | এক কাপ |
৩. বেসন | ৫চামচ |
৪.হলুদ | ১ টেবিল চামচ |
৫.কালোজিরা | ১ টেবিল চামচ |
৬. লাল লঙ্কার গুঁড়ো | ১ টেবিল চামচ |
৭.সাদা তেল | পরিমাণমতো |
৮.নুন | পরিমান মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
•প্রথমে কুমড়ো ফুল গুলোকে ধুয়ে মাপ বরাবর কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
• তারপর একটি পাত্রে বেসন এবং চালের গুঁড়ো নিয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
•তার মধ্যে এক চামচ মতো হলুদ নিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর পরিমাণমতো একটু নুন নিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর এক চামচ মতো কালোজিরা নিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
• এরপর এক চামচ মতো লাল লঙ্কার গুঁড়ো নিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
• এরপর জল দিয়ে ভালো করে পুরো মিশ্রনটিকে ফেটিয়ে নিলাম।
অষ্টম ধাপ
• তারপর একটি কড়াইতে অল্প সরষের তেল নিয়ে নিলাম।
নবম ধাপ
• তারপর ওই ধুয়ে রাখা কুমড়ো ফুল গুলোকে ফেটিয়ে রাখা মিশ্রণের মধ্যে চুবিয়ে নিলাম।
দশম ধাপ
• এবার ফুলগুলো একটা একটা করে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম আঁচ কমানো অবস্থায়।
একাদশ ধাপ
• এবার বারবার উল্টেপাল্টে ভাজলেই তৈরি হয়ে গেল মুচমুচে কুমড়ো ভাজা।
কুমড়ো ফুলে ভিটামিন সি থাকে।যার ফলে দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে। ভিটামিন সি ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। এছাড়া উজ্জ্বল রঙের কুমড়ো ফুল গুলোতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে যা চোখের জন্য দারুন উপকারী।কুমড়োর গুণের কিন্তু শেষ নেই। কুমড়ো যেমন আমরা খাই,তেমনভাবে কুমড়ো ফুল কিন্তু আমরা খাই।
আমি খুব সহজ পদ্ধতিতে মুচমুচে কুমড়ো ফুল ভাজা তৈরি করে দেখালাম কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।
মুচমুচে কুমড়ো ফুল ভাজার সাথে আমার একটি নিজস্বী।
বাহ! বেশ ভালো তো কুমড়ো ফুলের ভাজা তাও আবার মচমচে ভাঁজা, শুনেতো খেতে মন চাচ্ছে কি আর করা খাওয়া তো আর যাবে না খালি দেখে যেতে হবে। নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাহাহা বেশ মজাদার একটি মন্তব্য করেছেন🤭। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
দিদি মুচমুচে কুমড়ো ফুল ভাজার খেতে খুব মজা। আমার খুবই প্রিয় এটি। কিন্তু আমাদের এখানে বর্তমানে কুমড়ো ফুল পাওয়া যায় না। আপনার কাছে দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল দিদি আপনার জন্য
হ্যাঁ কুমড়ো ফুল ভাজার টেস্টটাই একটু আলাদা হয়।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর করে একটি মন্তব্যের জন্য।
দিদি আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন। মুচমুচে কুমড়ো ফুল ভাজা খেতে সত্যি অনেক সুন্দর এবং সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি টা দেখে মনে করতে পারছিনা এই রেসিপি টা কবে খেয়েছি। কুমড়োর ফুল ভাঁজা গরম গরম খেতে অনেক মজার লাগে। আপনি রেসিপি টা সম্পর্কে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল দিদি💖।
ঠিকই বলেছেন কুমড়োর ফুল ভাজা গরম খেতে খুব ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ, এটি আমার জন্য খুব অনন্য এবং আমি আপনার মতো ভাজা ফুল কখনও দেখিনি।
আপনার প্রথম ছবি দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম, এটা একটা ভাজা কলা।
কি এক অনন্য ভাজা.
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন আপু ভাত খাওয়ার আগে যদি ভাতে ভাজাভাজি কিংবা কোন সবজি থাকে তাহলে অনেক মজা খেতে। আমিতো সবসময়ই খাবারে সবজি রাখি আমার কাছে সবজি দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে।আপনার কুমড়ো ফুলের বড়াগুলো দেখতে অসাধারণ হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে একটা নিয়ে খেয়ে ফেলি। খুব সুন্দর কালার হয়েছে। আসলে কুমড়ো ফুল দিয়ে বড়া বানালে খুবই মজা লাগে। ডাল দিয়ে বানালেও ভালো লাগে বেসন দিয়ে বানালেও ভালো লাগে।
সবজি খেতে আমিও খুব ভালোবাসি আর সবজি খাওয়া খুব ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত মিষ্টি করে একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার কুমড়ো ফুল ভাজা টি খুবই সুন্দর হয়েছে ।দেখেই মনে হচ্ছে একদম মুচমুচে হয়েছে ।আমার তো দেখেই মুখে পানি চলে এসেছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন ,সঙ্গে খুব ভালো ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
অসাধারণ একটা রেসেপি শেয়ার করেছেন আপু। দেখতে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। তবে কখনো এইভাবে কুমড়ো ফুল ভাজি করে খাওয়া হয়নি। ইউনিক রেসেপি শেয়ার করেছেন আপু ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
মুচমুচে কুমড়ো ফুল ভাজা রেসিপি আপনি দারুন ভাবে রান্না করেছেন। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। দেখার মত ছিল। আপনার রান্নার ধরনটি খুবই ভালো। আমার মনে হচ্ছে খেতে মনে হয় বেশ দারুন
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আমি নিজেও অনেক পছন্দ করি কুমড়ো ফুল ভাজা। মাঝে মাঝেই আম্মা বাসায় রান্না করেন। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
🥰🥰🥰
কুমড়ো ফুল ভাজা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এটি তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপন দেখে আমি শিখতে পেরেছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।