বাংলায় শীতের সকাল
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি বাংলায় শীতের সকাল নিয়ে কিছু লিখতে চলেছি।
বাংলায়, শীতের সকালগুলি একটি অনন্য আকর্ষণ নিয়ে আসে,সূক্ষ্ম প্রাণবন্ততার সাথে নিয়ে আসে প্রশান্তি। ধীরে ধীরে সূর্য উঠার সাথে সাথে একটি মৃদু ঠান্ডা হাওয়ায় আমাদের মন ও শরীরকে আবেশিত করে। বাঙালি ঋতুর নির্মল সৌন্দর্য উপভোগ করে আর জীবনে এক এক করে সংযোজিত হয় নতুন নতুন মাত্রা।
ভোর হতেই ঘাসের উপর আবৃত ধোঁয়াশা আর কুয়াশা প্রকাশ করে শীতের আধিক্য।শিশির-চুম্বিত পাতায় সজ্জিত গাছ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে শীতকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। কুয়াশার চাদর গায়ে আসে যাত্রা পালা ম্যাজিক শো আর বিভিন্ন রকমের মেলা।কুয়াশার এই বিচিত্রতা দেখে মনে হয় রাতের ঘুমের গল্প বুনছে, ঘুমন্ত পৃথিবীর রহস্য ফিসফিস করে বলে যায় আনন্দে মেতে ওঠো।
এই শান্ত পরিবেশের মধ্যে, শব্দের সিম্ফনি উদ্ভাসিত হয়। পাখিদের দূরের ডাক ক্রমশ মিশে যায় চকচকে, মৃদু বাতাসের সাথে।পাতার ঝরঝর শব্দ চারদিক মুখরিত করে। মাঝে মাঝে দূরবর্তী মন্দির থেকে সকালের প্রার্থনার ছন্দময় মন্ত্র অনুরণিত হয়, নিস্তব্ধতায় আধ্যাত্মিক সুর একটা মোহনীয় জগতের জন্ম দেয়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় ধীরে ধীরে প্রাণ আসে। স্থানীয় বিক্রেতারা উপস্থিত হয় মৌসুমী শাকসবজি ও ফল নিয়ে। আনন্দে ভরা তাদের রঙিন স্টল গুলো ক্রেতাদের হাতছানি দিয়ে ডাকে।দোকানে দোকানে চা এবং মিষ্টি গুড়-ভরা খাবারের গন্ধে ভরে যায়।লোকেরা শাল এবং জ্যাকেট পরে,চায়ের স্টলে জড়ো হয়।একটু একটু করে চায়ের কাপে চুমুক দেয় এবং প্রাণবন্ত কথোপকথনে লিপ্ত হয় যা সকালের শীতকে উৎসবে পরিণত করে।
কোমল শীতের সূর্যের আলো কুয়াশার মধ্য দিয়ে উঁকি দেয়।কোলাহলপূর্ণ রাস্তায় সোনালি আভা ঢেলে দিনকে উজ্জীবিত করে।ছায়ারা লুকোচুরি খেলে আর পথ জুড়ে সুন্দরভাবে নেচে বেড়ায় পাখিরা।সূর্যের উষ্ণতা ধীরে ধীরে আশেপাশের পরিবেশকে আলিঙ্গন করে আর বেড়ে যায় কর্মব্যস্ততা।
হালকা ঠান্ডা থাকা সত্ত্বেও, বাতাসে উষ্ণতা এবং কর্ম ব্যস্ততার দাপট থাকে।পরিবারগুলি ছাদে বা খোলা উঠানে জড়ো হয়, সূর্যের মৃদু রশ্মিতে শুয়ে থাকে। শিশুরা কৌতুকপূর্ণ আড্ডায় মেতে ওঠে আর হেসে খেলে বেড়ায়।
বাংলায়, একটি শীতের সকাল কেবল গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপ থেকে বিরতি নয়,এটি নির্মলতার সূক্ষ্মতা দিয়ে আঁকা একটি ক্যানভাস, যেখানে প্রকৃতি তার ছন্দ সাজায়। মানুষ দৈনন্দিন জীবনের সরলতায় সান্ত্বনা খুঁজে পায়। এটি এমন একটি সময় যখন ঐতিহ্য এবং উষ্ণতায় বোনা বাংলার সাংস্কৃতিক বুনন ঋতুর শীতল আলিঙ্গনের মধ্যে তার অভিব্যক্তি খুঁজে পায়।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
দারুন সব শব্দশৈলী ব্যবহার করেছেন দিদি ভাই, একদম পরিপক্ক লেখিকার মত লেখা। মনে হচ্ছিল, লেখার মাঝে যেন শীতের সকালটা কে আনমনে খুঁজে পাচ্ছিলাম।
শুভেচ্ছা রইল ☺️🙏
শীতের সকাল থেকে শুরু করে সারাদিনের সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন দিদি। সত্যি শীতকাল যেন উৎসব নিয়ে আসে ঘরে ঘরে। পিঠাপুলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেলার আয়োজন হয়ে থাকে এই শীতকালে। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
তবে প্রকৃতির এই সুন্দর অনুভূতিগুলো কতজনে অনুভব করি? সবাই তো সেই বেলা ১১ টায় ঘুম থেকে উঠে সকালে । প্রকৃতির এই হাতছানি , কুয়াশা ভরা সকাল, পাখির কিচিরমিচির শব্দ, কুয়াশার চাদরের পেছন থেকে সূর্যালোকের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য হলেও আমাদের প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া উচিত। এই সৌন্দর্য উপভোগ করা উচিত।
শীতের কালের কি সুন্দর বর্ণনা করেছেন দিদি। শীতের সৌন্দর্য ভালভাবে বোঝা যায় গ্রামে গেলে। শীতকালেই শুরু হয় বিভিন্ন মেলা ও পিঠাপুলির উৎসব । ঘরে ঘরে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি। ঘরে ঘরে নতুন ধানের ঘ্রান। শহরে তার কিছুই পাওয়া যায় না। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতের সকালের অপরূপ সৌন্দর্য আমরা যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। শীতের সকালের প্রকৃতি আর স্নিগ্ধতা আমাদেরকে মুগ্ধ করে। দিদি আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। দারুন লিখেছেন আপনি।
বাহ্! শীতের সকাল নিয়ে অসাধারণ লিখেছেন বৌদি। আসলে এককথায় বলতে গেলে, শীতের সকালে উপভোগ করার মতো বিষয়ের অভাব নেই। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে বের হলে, আশেপাশে যা দেখি তাই ভালো লাগে। বিশেষ করে কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, শিশির ভেজা ঘাস দেখতে এবং খেজুরের রস,গরম গরম ভাপা পিঠা, সরিষা ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে দারুণ লাগে। সবমিলিয়ে শীতকালে প্রতিটি সকাল উৎসবের মতো মনে হয়। যদিও শীতকালে বেশিরভাগ সকাল ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেই আমরা। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো বৌদি। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের সকালের সৌন্দর্য গ্রামে যারা থাকে আমার মনে হয় তারা খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে পারে। সকাল সকাল চায়ের দোকানে জম্পেস আড্ডা, ছোট বাচ্চাদের শীতের জ্যাকেট পরে মসজিদের দিকে মক্তবে যাওয়ার যাত্রা! কুয়াশার চাদরে ঢাকা হিমশীতল পরিবেশ, সবই যেন শীতের সকালের সৌন্দর্য। প্রকৃতি যেন অন্যরকম রুপে সাজে। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো দিদি 🌼
বাংলায় শীতের সকালের অসামান্য এক বর্ণনা খুঁজে পেলাম দিদি তোমার এই পোস্টটিতে। বাংলার শীতের সকালটা যে কতটা সুন্দর, আমরা বাংলায় থাকা মানুষগুলোই সেটা ভাল করে বুঝতে পারি । আমরা অনেক লাকি এত সুন্দর শীতের সকালটা পাওয়ার দিক থেকে। অনেক অনেক ভালো লাগলো দিদি তোমার এই পোস্টটি পড়ে।
শীতকাল বাংলারএকটি সুন্দর ঋতু।এই শীতের সকালের চমৎকার বর্ননা আপনি শেয়ার করলেন দিদি।খুব ভালো লাগলো শীতের বর্ননা গুলো পড়ে। শীতের সকালের মূহুর্তগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।