কচুর লতি রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আমাদের সবার কাছেই একটি অতি পরিচিত সবজির নাম কচু। সেই সঙ্গে আমাদের প্রিয় কচুর লতিও। কচুর লতিতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, যা মানব দেহের জন্য খুবই দরকারি।কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। লতি মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গর্ভ্স্থ অবস্থা, খেলোয়াড়, বাড়ন্ত শিশু, কেমোথেরাপি পাচ্ছে এমন রোগীদের জন্য কচুর লতি ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে। এজন্য আপনাদের সঙ্গে কচুর লতি রেসিপি ভাগ করে নিলাম। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. কচুর লতি | ২ বান্ডিল |
২. সরষের তেল | পরিমান মতো |
৩.পোস্ত | ২ চামচ |
৪. কালো জিরে | ১ চামচ |
৫. সরষে | ২চামচ |
৬. কাঁচা লঙ্কা | ৪ টে |
৭. হলুদ গুঁড়ো | ১ চামচ |
৮. লবন | পরিমান মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমে কচুর লতি গুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• তারপর গরম জলে ভালো করে সিদ্ধ করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
•অল্প সেদ্ধ হয়ে গেলে তুলে নিলাম। এরপর কড়াইতে অল্প তেল নিয়ে ফোড়ন হিসেবে কালো জিরে দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• তারপর সেদ্ধ করা কচুর লতি গুলি দিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর পরিমাণমতো নুন ,হলুদ দিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• তারপর হালকা ভাজাভাজা হয়ে এলে সরষে পোস্ত পেস্ট ঢেলে দিলাম।
সপ্তম ধাপ
• এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম।
অষ্টম ধাপ
• এরপর কাঁচালঙ্কা দিলাম এবং সবশেষে পরিমাণমতো চিনি দিয়ে কিছুক্ষন রেখে নামিয়ে দিলাম ।
নবম ধাপ
• ব্যাস এই ভাবে তৈরি হয়ে গেল কচুর লতি রেসিপি।
ধন্যবাদ
কচুর লতি চিংড়ি মাছ ইলিশ মাছ দিয়ে পাঙ্গাস মাছ দিয়ে খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি আপনার এই রেসিপিটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি। দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি অবশ্যই এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
কচুর লতি আমার চিংড়ি মাছ দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে আমি বেশ পছন্দ করি। তবে আপনার মতো করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি খুব চমৎকার কচুর লতি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কচুর লতি রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো আর দেখে মনে হচ্ছে খেতেও অনেক সুস্বাদু হবে। রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দিদি দিয়ে শুটকি ও মাছ দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি খেয়েছি। তবে দিদি সরষে দিয়ে কচুর লতির রেসিপি কখনো খাইনি আর শুনিনি।আপনার কচুর লতির রেসিপি টা আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লাগছে দিদি।তবে আমি অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব।দেখেই মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল দিদি।
কচুর লতি খেতে দারুণ মজা। বিশেষ করে আপনি যেভাবে কচুর লতির রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে যথেষ্ট মজা হয়েছে। এভাবে রেসিপি করার ইচ্ছা আছে আমার।
কচুর লতি আমার কাছে খুব ভালো লাগে আমি চিংড়ি মাছ , ইলিশ মাছ দিয়ে খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো খাইনি ।আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম আপু। খুবই ভালো লাগছে রেসিপিটি। দেখেই মনে হচ্ছে খাবারটি অনেক মজাদার হয়েছে ।চেহারাটা খুব সুন্দর এসেছে খাবারের।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর লতি খেতে ভালো লাগে । আপনি ভিন্নভাবে আমাদের মাঝে রেসিপিটি তৈরি করে দেখালেন । এভাবে বাসায় রান্না করা হয়নি । আশা করছি আপনার দেয়া প্রসেস গুলো ফলো করে একদিন ট্রাই করতে হবে। খেয়ে দেখতে হবে কেমন লাগে । ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
কচুর লতি চিংড়ি মাছ বা ইলিশ মাছের শুটকি দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে খেতে ভীষম ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে কচুর লতি রান্না করেছেন। এবং আমাদের মাঝে রন্ধন প্রক্রিয়া খুব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
কচুর লতি দিয়ে আপনি দারুন একটি এসপি সম্পন্ন করেছেন দিদি। কচুর লতি আমার বেশ পছন্দ। আপনার ছবি দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে দিদি আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটা আমাদের মত উপস্থাপন করেছেন। এসিপির পুরো প্রক্রিয়া অনেক নিখুঁত। এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কচুর লতি রেসিপি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যেকোনো রেসিপিতে কালোজিরা দিলে তার টেস্ট বেড়ে যায় যার কারণে আপনি ও কালোজিরা ব্যবহার করেছেন। লোভনীয় এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি।
কচুর লতি রেসিপি এটা কিন্তু বেশি দারুন লাগে খেতে। আপনি অনেক সুন্দর করে এটি আমাদের মাঝে তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনারা রান্নার ধরনটি বেশ ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।