প্রথম ধাপ

• সরষে চিংড়ি বানানোর সময় সবার প্রথমে মাছটিকে খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। চিংড়ি মাছের মাথাটা একটু কেটে দিয়ে আর পিঠের খোলাটা ছাড়িয়ে ভিতরে নোংরা গুলো বার করে ভালোভাবে ধুয়ে ফ্রেশ করে নিয়েছি। তারপর এত পরিমাণমতো নুন এবং হলুদ ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি ।

দ্বিতীয় ধাপ

• তারপর একটি মিক্সারে কালো সরষে,সাদা সরষে,এবং লঙ্কা,তারপরে একটুখানি সরষের তেল নিয়ে নিলাম।

তৃতীয় ধাপ

• এই মিক্সড এর সাথে অল্প জিরে গুঁড়ো আর কিছুটা নুনও নিয়ে নিলাম।

চতুর্থ ধাপ

• তারপর ভালো করে পেস্ট করে নিলাম দেখতে অনেকটা এরকম হবে। মিহি মিহি হলে খুব ভালো হয়।

পঞ্চম ধাপ

• এরপর ওই সর্ষের পেস্টটা নামে অন্য একটি পাত্রে রাখলাম।এবং কিছুটা হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দিলাম।

ষষ্ঠ ধাপ

• তারপর একটি কড়াইতে কিছুটা সর্ষের তেল নিয়ে নিলাম।

সপ্তম ধাপ

• হালকা আঁচে একটুখানি গরম হয়ে এলে তাতে দুটো তেজপাতা ছেড়ে দিলাম।

অষ্টম ধাপ

• এরপর নুন হলুদ মাখানো চিংড়ি মাছ গুলোকে একসাথে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।

নবম ধাপ

• কিছুক্ষণ পর চিংড়ি মাছ গুলো ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে সর্ষের পেস্টের যে মিক্সডটা করেছিলাম, চিংড়ি মাছ গুলোর মধ্যে ছেড়ে দিলাম।

দশম ধাপ

• কিছুক্ষণ ভাপানোর জন্য একটা পাত্র দিয়ে ঢেকে দিলাম।

একাদশ ধাপ

• এরপর ঢাকা পাত্রটি খুলে তার মধ্যে কিছুটা সর্ষের তেল দিয়ে দিলাম। সর্ষের তেল দিয়ে দিলে সরষে চিংড়ির স্বাদটা অনেকটা বেড়ে যায়।

দ্বাদশ ধাপ

• তারপর আরো কিছুক্ষন রেখে নামিয়ে দিলাম।আপনারা চাইলে একটা বা দুটো কাঁচালঙ্কা ও দিয়ে দিতে পারেন ।

ত্রয়োদশ ধাপ

• ব্যাস তৈরি হয়ে গেল "সরষে চিংড়ি "।

খাবার হিসাবে চিংড়ি মাছ বেশ জনপ্রিয়।এর পুষ্টিগুণ ও প্রচুর। চিংড়িতে আছে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম যা শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।এছাড়াও চিংড়ি মাছ ভিটামিন- ই, বি ১২ রয়েছে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি ও হৃদপিণ্ড ভালো থাকে কিন্তু যাদের চিংড়ি মাছে এলার্জি আছে তাদের না খাওয়াই ভালো।

সরষে চিংড়ির সাথে আমার একটি নিজস্বী।

আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে।