রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাই শুভেচছা জানিয়ে শুরু করছি। আজকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু এর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জগদীশ চন্দ্র বসুর মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ এবং প্রগাঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল যা তাঁদের দুজনেরই ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জগদীশ চন্দ্র বসু ছিলেন সমসাময়িক এবং তাঁদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল। তাঁদের বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি ছিল দুজনেরই বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং শিক্ষার প্রতি গভীর অনুরাগ।তাঁরা দুজনেই ভারতীয় সংস্কৃতি এবং জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জগদীশ চন্দ্র বসুর বৈজ্ঞানিক কীর্তি ও অবদানের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।তিনি বসুকে "বিজ্ঞান তপস্বী" হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। একইভাবে, জগদীশ চন্দ্র বসুও রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক প্রতিভা এবং মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করতেন।
বসুর গবেষণার সময় রবীন্দ্রনাথ তাঁর বন্ধু ও সহযোদ্ধা হিসেবে অনেক সময় পরামর্শদাতা এবং মানসিক সমর্থন দাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন।বিশেষ করে জগদীশ চন্দ্র বসুর উদ্ভিদের জীবনের ওপর গবেষণায় রবীন্দ্রনাথের গভীর আগ্রহ ছিল এবং তাঁর কাব্যিক দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞান ও প্রকৃতির রহস্যময়তাকে প্রকাশে প্রভাবিত করেছিল।তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও বিতর্ক হতো যেখানে তারা একে অপরকে সমৃদ্ধ করতেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক কবিতা ও রচনা জগদীশ চন্দ্র বসুর গবেষণার উপর ভিত্তি করে অনুপ্রাণিত হয়েছে।উদাহরণস্বরূপ, "পত্রচয়িতা" কবিতায় উদ্ভিদের জীবনের প্রতি তাঁর বিশেষ অনুভূতি প্রতিফলিত হয়েছে যা বসুর গবেষণার প্রতি তাঁর সম্মানকে নির্দেশ করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জগদীশ চন্দ্র বসুর বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য সবসময় তাঁকে মানসিক এবং আর্থিকভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন।যখন বসু তাঁর গবেষণা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সমর্থন পাচ্ছিলেন না তখন রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সাহায্য করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জগদীশ চন্দ্র বসুর সম্পর্ক কেবলমাত্র বন্ধুত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং তা ভারতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের মেলবন্ধনের একটি প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।তাঁরা একে অপরকে সমর্থন এবং অনুপ্রাণিত করে এমন একটি সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন যা তাঁদের কাজের গভীরতাকে বৃদ্ধি করেছিল এবং ভারতের সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক উত্তরাধিকারের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু বাঙালির গর্ব। দুজনের কাজ তাদের চিরস্মরণীয় করে রাখবে। কিন্তু তাদের মধ্যে এতো বন্ধুত্ব ছিল এতো সখ্যতা ছিল এটা জানতাম না। ব্যাপার টা বেশ ভালো লাগল। বেশ চমৎকার একটা বিষয় শেয়ার করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।।
একটা সময় ছিল যখন বাঙালি একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিচিত ছিল। তারই চূড়ান্ত উদাহরণ হিসেবে আপনি দুজন মানুষকে নিয়ে এলেন। বন্ধুত্ব যে সমানে সমানে হয় এটা বোধহয় তারই উদাহরণ। তবে এইগুলো শব্দ ঘটিত ইতিহাস এই ইতিহাসই একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে। তখন লোকে এইসব গল্পের মত মনে করবে, যা আজকে আমরা সত্যি বলে ভাবছি। এইটাই সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যের।
ভালো লাগলো আপনার আলোচনা।
আসলে একে অপরের কাজকে সমর্থন করলে এবং সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধা জানালে,পরবর্তীতে যেকোনো কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর মধ্যে এমন গভীর সম্পর্ক ছিলো, এটা সত্যিই জানা ছিলো না। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন মানুষজন উনাদেরকে স্মরণ করবে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
সত্যিকারের বন্ধুত্ব তো এমনই হওয়া উচিত দিদি ভাই , দারুণ লাগলো লেখাটি পড়ে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং স্যার জগদীশচন্দ্র বসু দুজনেই খুব বিখ্যাত লোক। তবে এদের ভিতর যে এত সুন্দর একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল, সেটা আমার একেবারেই জানা ছিল না দিদি। সব থেকে বড় কথা এই মানুষ দুটোই একে অন্যকে সবসময় সাহায্য করেছে, যেটা তোমার পোস্ট পড়ে বুঝলাম। তাছাড়া দুইজন দুইজনের অনুপ্রেরণার উৎসও ছিল বটে।