গণেশ চতুর্থীর দিন 🩷
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে গণেশ চতুর্থীর দিন কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।
গণেশ চতুর্থী হলো হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব, যা সিদ্ধিদাতা এবং জ্ঞান ও শুভ সমৃদ্ধির দেবতা গণেশের জন্মোৎসব হিসেবে পালিত হয়। এই উৎসবটি ভাদ্রপদ মাসের চতুর্থী তিথিতে (সাধারণত আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে) পালিত হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং গোয়া রাজ্যে এই উৎসব বিশেষ ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়, যদিও বর্তমানে এটি ভারতের অন্যান্য অংশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উদযাপিত হয়।
গণেশ চতুর্থীর মূল আচার হলো গণেশ মূর্তির প্রতিষ্ঠা এবং পূজা করা। পরিবার বা পাড়া-মহল্লায় বড় বড় গণেশের মূর্তি স্থাপন করা হয় এবং দশ দিনব্যাপী চলা এই উৎসবের সময় প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় পূজা, আরতি, এবং নানা ধর্মীয় কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তরা "মোদক" নামক মিষ্টি ভোগ হিসেবে গণেশকে নিবেদন করেন, কারণ এটি গণেশের প্রিয় খাবার বলে বিশ্বাস করা হয়।
উৎসবের শেষ দিন, যা "অনন্ত চতুর্দশী" নামে পরিচিত, গণেশ মূর্তির বিসর্জন দেওয়া হয়। ভক্তরা শোভাযাত্রা করে মূর্তিকে নদী বা সাগরে বিসর্জন দেন, যা ভক্তি ও আনন্দের মিশ্রণ ঘটায়। এই বিসর্জনের মাধ্যমে ভক্তরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, গণেশ তাঁদের সমস্ত বাধা দূর করবেন এবং আগামী বছর আবার ফিরে আসবেন।
গণেশ চতুর্থীর মূল ভাবনা হলো জ্ঞানের পথে এগিয়ে যাওয়া, সংকট ও বাধা অতিক্রম করা, এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শুভ ও সমৃদ্ধি অর্জন করা।
শনিবার ছিল গণেশ পূজা। আর তার জন্যই আমরা তিন বোন মিলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম ।আগে থেকে সেরকম কোনো প্ল্যান ছিল না। আমিও সেদিনকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি গিয়েছিলাম। আর বাপের বাড়িতে আসলেই মনে হয় একটু কোথাও ঘুরে আসি। আসলে কলকাতার দিকে আসলেই মন একদম বাড়িতে থাকতে চায় না ।তার মধ্যে ছিল পুজো ,তাই জন্যই বেরোনো।
আমার বোন বলেছিল যে মহাত্মা গান্ধী রোডে খুব সুন্দর ভাবে গণেশ পূজা হয়। এবং খুব সুন্দর একটা মন্দির রয়েছে ।আগে কখনো আমার যাওয়া হয়নি ।কিন্তু রাস্তাটা আমার চেনা ছিল। তাই জন্যই আরও বোনদের নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। যাওয়ার সাথে সাথেই দেখলাম ভীষণ ভিড় । কোনো ভাবে জুতো বাইরে রেখে মন্দিরে ঢুকলাম । আর মন্দিরে ঢোকার সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল ।পাঁচ মিনিট এদিক ওদিক হলেই ভিজে যেতাম।
যাওয়ার সাথে সাথেই দেখলাম ভীষণ বড় মন্দির এবং খুব সুন্দর সাজানো ।তার সাথে বহু লোক গণেশ মন্দিরে পূজা দিতে এসেছে। আমি তো এইরকম ভাবে কখনো গণেশ মন্দিরে আসিনি আগে। যেহেতু এবার প্রথম আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছে ।কিছুক্ষণ ওখানে বসলাম, পুজো দেখলাম ।তারপর ওখান থেকে বেরোনোর সময় প্রসাদ নিলাম । ততক্ষণে আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছিল ।বেশ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর বাড়ির দিকে ফিরে গেলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার দুই বোনের সাথে গণেশ পূজা দেখতে গিয়ে তো দারুণ সময় কাটিয়েছেন বৌদি। পূজা উপলক্ষে দারুণভাবে সাজিয়েছে সবকিছু। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও এটাই শুনেছি দিদি যে "মোদক" নাকি গণেশের প্রিয় খাবার। তবে আমি কোনদিন টেস্ট করে দেখতে পারলাম না কেমন খেতে। যাইহোক, বোনদের নিয়ে গণেশ চতুর্থীর দিন ঘুরতে বেরিয়েছিলে জেনে খুব খুশি হলাম। আসলে ঐদিন আমাদের এই দিকেও প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল এজন্য বেরোনোর ইচ্ছাটাই মরে গেছিল। যাইহোক, অনেক তথ্য জানতে পারলাম গণেশ চতুর্থী সম্পর্কে তোমার এই পোস্ট পড়ে দিদি।