বাগবাজার মায়ের ঘাটে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালোআছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে "আমার বাগবাজার মায়ের ঘাটে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের ছবি" তুলে ধরলাম।
বাগবাজার ঘাট হলো উত্তর কলকাতায় হুগলি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। বাগবাজারকে উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যও বলা যেতে পারে। বাগবাজার একসময় সুতানুটি গ্রামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাগবাজার বললেই মনে আসে শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব, শ্রীশ্রী সারদা মা, মায়েরবাড়ি, বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরি, গিরিশ চন্দ্র ঘোষের বাড়ি, স্বামী বিবেকানন্দ ও উদ্বোধন পত্রিকার অফিস এবং এই কলকাতার প্রথম বারোয়ারি দুর্গোৎসব, বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গাপূজা এবং তার সাথে বাগবাজার গঙ্গার ঘাট।এই ঘাটে একসময় শ্রী শ্রী সারদা মায়ের পদধূলি পড়েছিল। প্রথম থেকে শুরু করে আজও এই ঘাটেই বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গা পূজার নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। এই একশো বছরেরও পুরনো ঐতিহ্যময় বাগবাজার গঙ্গার ঘাট এখনো মানুষের প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে চলেছে।এইখানেই অবস্থিত মায়ের ঘাট। এই নামের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের মা অর্থাৎ সারদা মায়ের নামেই এই ঘাট।তাই এই ঘাট 'মায়ের ঘাট' নামে পরিচিত।
কিছুদিন আগে আমি আমার পরীক্ষা নিয়ে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম। তাই পরীক্ষা যেদিনই শেষ হয়েছিল সেদিনই কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাগবাজার মায়ের ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এই ঘাটে বসে থাকলে কিভাবে যে সময় চলে যায়,বোঝাই যায় না।কত লোকজন এখানে এসে বসে থাকে, গল্প করে, নিজের মানুষের সাথে সময় কাটায়, এমনকি বয়স্ক মানুষেরাও এখানে এসে বসে থাকে।
আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অনেকটাই ভাটা ছিল।তাই গঙ্গার জল সিঁড়ি থেকে অনেকটাই দূরে ছিল। এইভাবে আগে কখনো ভাটাতে গঙ্গাকে দেখা হয়নি,তাই দেখতে পেলাম কতটা মাটি আর প্লাস্টিকের আবর্জনার সিঁড়ির কাছে এসে আটকে রয়েছে।
আর একটা জিনিস যেটা আমার সবচেয়ে ভালো লাগে সেটা হল সূর্যাস্তের সময়।জলের মধ্যে সূর্যের আলোটা এত সুন্দর ভাবে পড়ে সত্যি বলছি সেই দৃশ্য আমার সবসময়ই খুব ভালো লাগে।পড়ন্ত বেলায় সূর্যের আলো গোধূলি লগ্নে যখন জলের উপরে লালচে আঁকিবুকি কাটে ঠিক সেইসময় নদীর ঘাটে বসে উপভোগ করার আনন্দ একদমই আলাদা।
বাগবাজার রেলওয়ে স্টেশন বাগবাজারের পার্শ্ববর্তী একটি ছোট রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনে দুটি প্লাটফর্ম রয়েছে। এই স্টেশনে যাতায়াতের কোনো সঠিক রাস্তা নেই। এই স্টেশনটি মায়ের ঘাটের সংলগ্নেই অবস্থিত।
বাগবাজার এ লঞ্চঘাট ও রয়েছে। সেখান থেকে বরানগর, বেলুড় মঠ, হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনে সব জায়গাতেই যাওয়া যায়।অনেক সময় অফিস টাইমে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই লঞ্চে করেও অনেকে যাতায়াত করে।
এই মায়ের ঘাটে সন্ধ্যে হলেই সন্ধ্যা আরতি হয়।খুব সুন্দর ভাবে এখানে গঙ্গা আরতি করা হয়।
বাগবাজার থেকে ফেরার পথে কিছুটা খিদে পেয়ে গিয়েছিল।তাই সামনাসামনি একটি দোকান থেকে ফিশ ফ্রাই কিনে খেয়েছিলাম, দাম ৫০টাকা হল খেতে খুবই ভালো ছিল।
যেহেতু সেইসময় অনেকটাই শীত ছিল তার সাথে খুব ঠাণ্ডা ও লাগছিল, তাই বেশিক্ষন আর বসতে পারিনি মায়ের ঘাটে। কিন্তু খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়ে ছিলাম।
ডিভাইস | Vivo V21 |
---|---|
লোকেশন | বাগবাজার মায়ের ঘাট,উত্তর কলকাতা |
ফটোগ্রাফার | @swagata21 |
আপনি ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে ।ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। খাওয়া-দাওয়া ঘুরাঘুরি ফটোগ্রাফি করা সব মিলিয়ে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনি।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার আজকের দিনটি অনেক সুন্দর ছিল, আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে জায়গাটি বেশ সুন্দর, বিশেষ করে যখন লঞ্চঘাটের ছবিগুলো দেখলাম, সুন্দর কয়েকটি নৌযান দেখলাম এবং কনফার্ম হয়ে গেলাম জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর। এত সুন্দর একটি জায়গার বিবরণ এবং ছবি দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ দাদা বাগবাজার ঘাট এর জায়গাটা খুবই সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টটি। বাগবাজার মায়ের ঘাট বেড়াতে গিয়ে আপনি যে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন তা আপনার তোলা ছবিতে প্রকাশ পাচ্ছে। আপু, আপনার তোলা ফটোগ্রাফির মধ্যে দুটি দৃশ্য সত্যিই খুব অসাধারণ। প্রথম ছবি হচ্ছে ময়ূরপঙ্খী নৌকা এবং দ্বিতীয় ছবি হচ্ছে নৌকার উপরে সূর্য অস্ত যাওয়ার বিরল দৃশ্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছেন। দেখে ভালো লাগলো। আসলে।যখন কোনো চাপ থাকে তখন কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে সব কিছুর বর্ণনা করেছেন।সুন্দর কিছু ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ দাদা ঠিকই বলেছেন অনেক চাপ থাকলে একটু কোথাও ঘুরে আসলে চিন্তামুক্ত লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ পরীক্ষা শেষ করে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করলেন ।বাগবাজার মায়ের ঘাটে আমার কাছে নদীর দৃশ্য খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ দাদা খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন আমি সেদিনকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাটানো সময় গুলো অনেক সুন্দর ছিল। দিনটা অনেক উপভোগ করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে একটা বিষয় দেখি একটু কষ্ট লাগলো সেটা হচ্ছে নদীর বুকে ময়লা আবর্জনা ভরপুর। আমরা চাইলে নদীকে ময়লা আবর্জনা থেকে রক্ষা করতে পারি।
আসলে দাদা মানুষ একটু সচেতন থাকলে এই ময়লা আবর্জনা থেকে জলকে রক্ষা করতেই পারে। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।
আহা কি সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছো দিদি। খুবই চমৎকার লাগলো সবটা। পরীক্ষার পর যেন প্রশান্তির নিঃশ্বাস। তোমাকে বেশ লাগছিল দিদি। মায়ের বাড়ি গেলে অদ্ভুত এক শান্তি মনে আসে গো। একদিন তোমায় নিয়ে ঘুরবো। অনেক ভালো থেকো,, আর হ্যা সূর্যাস্তের দৃশ্য টা অপূর্ব ছিল।
তোমার আসার অপেক্ষায় আছি।কলকাতা আসলে তোমাকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরবো।শুধু একবার জানিও।