মায়ের ঘাটে কিছুটা সময় কাটানোর মুহূর্ত।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে বাগবাজারে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।


দিনটা ছিল শুক্রবার। রাখির পরের দিন। হঠাৎ করেই সকালবেলা সেদিন দশটার সময় তনুজাদি ফোন করেছে । এত সকাল সকাল কখনো আমার সাথে ফোনে কথা হয়নি ।যতবারই সকালে কথা হয়েছে ততবারই মেসেজে কথা বলেছি। হঠাৎ আচমকাই তখন দিদির ফোন দেখে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ফোনটা ধরার সাথে সাথেই আমি বললাম যে এত সকালবেলা হঠাৎ কি হয়েছে তার উত্তরেই দিদি বললো আজকে ঘুরতে যাবে ? সত্যি কথা বলতে সেদিন আমার হঠাৎ করে সকালে উঠে কলেজ যাওয়া ঠিক হয় ।আর যেহেতু দিদিও কোনোদিন এভাবে বলে না ঘুরতে যাওয়ার জন্য তাই জন্য আমি আর কলেজ যাওয়ার কথাটা বলতেই পারলাম না । যদি কলেজ যাওয়ার কথা শুনতো তাহলে আর আমাকে বেরোতে বলতোই না ,তাই জন্য আমিও আর বলিনি যে কলেজ যাবো। কিছু না বলেই সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম বেরোনোর জন্য। দিদি ঘুরতে যেতে খুব ভালোবাসে। আর দিদির খুশির জন্য এইটুকু আমি করতেই পারি।


WhatsApp Image 2022-09-10 at 11.33.08 PM.jpeg

ফোন রেখে কিছুক্ষণ পর রেডি হয়ে গেলাম কলেজ যাওয়ার জন্য ।কারণ কলেজে সেদিন আমার লাস্ট ক্লাস ছিল। তাই যেতেই হতো আমাকে। ঠিক করলাম কলেজ দিয়ে বেরিয়ে ঘুরতে যাবো। কলেজে ক্লাস করে দুপুর তিনটে নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম । আর আমাকে নিতে আসার জন্য কলেজের সামনেই চলে এলো। তারপর ঠিক করলাম প্রথমে বাগবাজার ঘাট যাবো কারণ দিদি কোনোদিন বাগবাজারে ঘাট যায়নি। এর আগে যতবার কথা হয়েছিল ,শুনেছিলাম গঙ্গার ঘাট দিদির খুব ভালো লাগে। এটা শুনে ঠিক করেছিলাম এরপর যখন দেখা হবে তখনই এখানে ঘুরতে নিয়ে আসবো তাই জন্যেই সেদিন ওখানে যাওয়া । এক ঘণ্টার মধ্যে বাগবাজার ঘাট পৌঁছে গেলাম ।


WhatsApp Image 2022-09-10 at 11.33.10 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-09-10 at 11.33.09 PM.jpeg

দুষ্টুমি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছে😜

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH81b3JH6EqjxgPb3og2oQyFTYVVPr35XJAukU3FzyJWXUwgTEcpx1n62B2cy4pcXvxa2xwx6urPMVcpWnS7JD77dAL1tCDC.jpg

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7y6f5qCfARxvFH8xmt3mRKQzzgYCNxHiS8Aoif1at3NvgqbNnpWeN9t7rPpx8i6n6W1jLQffXcieM5Amdv7Nrari3RzWkn.jpg

ওখানে গিয়ে কিছুক্ষণ বসলাম । ছবি তুললাম।গল্প করলাম।আর সেদিন কেন জানিনা টিনটিন খুব দুষ্টুমি করছিল। কোথাও স্থির হয়ে বসছিল না। কখনো কোথাও গেলে এতটা দুষ্টুমি করেনা যতটা সেদিন করছিল।যতটা পারছিলাম আমি ওকে ঠান্ডা রাখারই চেষ্টা করছিলাম । সেদিন যেহেতু দাদা আমাদের সাথে যায়নি, তাই জন্য আরোই কান্নাকাটি করছিল। তাই আর বেশিক্ষণ বাগবাজার ঘাটে থাকতে পারলাম না ।কিন্তু যতটা সময় ওখানে থেকেছিলাম খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। এরপর ঠিক করলাম কুঠি ঘাটে যাব। এই কুঠিঘাটের যাওয়ার একটা ভীষণ মজার গল্প আছে ,পরের পর্বে আপনাদের সাথে সেটা ভাগ করে নেবো।


ধন্যবাদ

Sort:  

এই দিনের ঘোরাঘুরি নিয়ে দিদিভাইয়ের পোষ্ট দেখেছি,,, দিদিভাই তো তার ভালো লাগা গুলো একদম খুলে লিখেছিল ঐদিন। এমনিতেও পরে আমি মুখে শুনেছি দিদিভাই কতটা খুশি হয়েছিল সেদিন। সম্পর্ক গুলো এভাবেই গাঁথা থাকুক হৃদয়ে। কিছু সম্পর্ক যেন সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে দাড়ায়। ঠিক যেমন আপনাদের এই বন্ধন।

 2 years ago 

নদীর পারে গেলে মনের মাঝে তৃপ্তি বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারা যায়। আসলে এইভাবে হঠাৎ করে ঘুরতে যাওয়ার কেউ ফোন দিলে না বলাই যায় না। যত কাজই থাকুক না কেন বড় দিদির সাথে নদীর পারে মায়ের ঘাটে দারুন সময় অতিবাহিত করলেন গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 2 years ago 

মেজ দাদাকে ছাড়া সেই দিন তোমরা তো ভালোই ঘুরেছিলে যা দেখতে পাচ্ছি, দিদি। বাগবাজার ঘাটে আমি কয়েকবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেছি খুবই সুন্দর একটি জায়গা।টিনটিন বাবুর ক্লান্ত ফেস দেখে বেশ মায়া লাগছে। বেশি দুষ্টুমি করা বাচ্চাগুলো ভবিষ্যতে গিয়ে বড় কিছু অর্জন করে ।আমাদের টিনটিন বাবু যত বেশি দুষ্টুমি করবে তত বেশি অর্জন করবে ভবিষ্যতে গিয়ে।

 2 years ago 

আপনি তনুজা দিদিকে অনেক শ্রদ্ধা করেন দেখে খুব ভাল লেগেছে, তা না হলে ক্লাশ করে দুপুর ৩ টার পর কেউ বের হয়? এইরকম মানুষ মানুষকে বুঝলে খুব ভাল লাগে। বাগবাজার ঘাট থেকে তুলা নদীর ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। ঘাটে আপনাদের ছবি দেখে ভাল লেগেছ এবং ছবি দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভীড় ছিল। টিনটিন কে দেখে ভাল লাগলো। ওর বেঞ্চে বিষন্ন মনে বসে থাকার ছবি বলে দিচ্ছে ও ক্লান্ত। শেষের ছবিগুলো ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

দিদি আপনি বুদ্ধি করে ক্লাসটাও করলেন আবার বড় দিদিরি মনটাও রক্ষা করলেন। দুটিই করেছেন। আপনার অরেকটি পোষ্টে বাগবাজারের কথা পড়েছিলাম ভালই লাগলো পড়ে। টিন টিন বাবুকে খুব ভাল লাগতেছে। দুষ্টুমি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে বসে আছে। কুঠিঘাটের গল্প পড়ার আগ্রহ রইল। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

তনুজা আপু পোস্টে দেখেছিলাম সেদিনের কিছু কথা। আপু আপনার বেশ প্রশংসা করেছিল। আপনি কলেজ করে তারপর তার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন। কুঠিঘাটের সেই ঘটনা শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

বৌদি অনেক আগেই এটা শেয়ার করেছিলেন। আপনারা সম্ভবত ফেরীতে বা লঞ্চে উঠেছিলেন যা বৌদির প্রথমবার লঞ্চে উঠা ছিল। আপনাদের মধ্যে বেশ অনেক মিল রয়েছে। টিনটিন কে মনে হলো সত্যি বেশ ক্লান্ত ছেলেটা।।

 2 years ago (edited)

আমি সেদিনের কথা কোনদিন ভুলবো না। তোমার মত একজন বোন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেদিনের আমার এক কথায় তুমি রাজি হয়ে গেলে। এটি আমাকে অবাক করে দিয়েছিলো। আগে জানতাম আমি শুধু তোমার দাদার উপর জোর করতে পারি। সেদিন থেকে আমি জেনেছি যে আর একজন আছে যার সাথেও আমি সবরকম অধিকার দেখাতে পারি এবং জোর ও করতে পারি। তুমি অনেক ভালো মনের মানুষ❤️

 2 years ago 

আমারও এমন হয় যে হঠাৎ করে পরিচিত কেউ অসময়ে ফোন দিলে খুব ভয় লাগে। না জানি কোন দুঃসংবাদ দেয় কিনা। আপনি বৌদির খুশির জন্য নিজের কলেজে যাওয়ার কথা চেপে গিয়েছেন। কারণ হঠাৎ করে কেউ কোনো কথা বললে সেটি ফেলতে ইচ্ছা করেনা। আপনিও বৌদির কথা ফেলতে পারেননি। বৌদি আর আপনি মিলে খুব সুন্দর ঘোরাঘুরি করেছেন। বৌদির পছন্দের জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন বৌদিকে। বৌদি নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছিল। আর টিন টিন বাবুকে দেখে আসলেই অনেক ক্লান্ত মনে হচ্ছে। দাদাকে ছাড়া জন্যই একটু বিরক্ত মনে হয় বেশি করেছে। ভালো লাগলো আপনাদের ভালো লাগার মুহূর্তটি দেখে। পরবর্তী মজার ঘটনার অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

দিদি টিনটিন বাবু সত্যি ক্লান্ত,😘আর টিনটিন মনে হয় ওর বাবাকে মিস করেছে বেশি, তাই মন খারাপ। আপনি ত দেখছি তনুজা বদিকে অনেক ভালবাসেন বের হওয়ার জন্যে বলেলেন আর সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলেন। বাগবাজার ঘাট দেখতে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59401.87
ETH 2615.39
USDT 1.00
SBD 2.40