নীলগঞ্জের হাটে যাওয়ার অনুভূতি
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে খুব সুন্দর একটা অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এখন প্রতিদিনই বিকেলবেলা কোথাও না কোথাও যাওয়া হয়। সেটা কাছে হোক বা দূরে। বেশ কদিন ধরেই দাদা বলছিল যে নীলগঞ্জ এর হাটে যাবে কিছু বাজার করতে। এটা আমি আগেও শুনেছিলাম ,কিন্তু হাট জিনিসটা কি সেটা আমি কখনো বুঝে উঠতে পারিনি।আজ হঠাৎ করেই দুপুরবেলা খেতে বসে ঠিক হল যে আজ বিকালে নীলগঞ্জের হাটে যাবে। কিন্তু সকাল থেকে মাথা যন্ত্রণা করাতে আমার খুব একটা ইচ্ছে করছিল না। প্রথমে না-ই করে দিয়েছিলাম যে আমি যাবো না ।কিন্তু দুপুরবেলা একটু রেস্ট নিয়েই বিকেল বেলা শরীর একটু ঠিক হওয়াতে মনে হল যে একটু ঘুরে আসি। তাই সন্ধ্যায় বেরিয়ে পড়লাম। আর আজকে আমরা সবাই বাইকে করেই হাটের দিকে গিয়েছিলাম। বেশ অনেকটা রাস্তা যাওয়ার পর সেই হাটে এসে যখন পৌঁছালাম বাইরে থেকে মনে হল অনেক ভিড় ।
আর এই নীলগঞ্জের হাট সপ্তাহে মাত্র দুদিন বসে তাই ভাবলাম এই জন্যই এত ভিড়। কিন্তু যখন আমি হাটের ভিতরে ঢুকলাম তখন আমার কাছে যেন সবকিছুই নতুন লাগছিল।
ভাবছিলাম যে এত বড় হাট কিভাবে হয়! আবার ভাবছিলাম যে এরকম হাট হয়তো গ্রামের দিকে হয়। কিন্তু কলকাতার কাছাকাছি এত সুন্দর একটা হাট বসে আমি জানতামই না ।হাটের ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম সেখানে শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ,জামাকাপড় ,বেতের জিনিসপত্র, পুজোর জিনিস, সবজি, মাছ আরও অনেক কিছু।
কলকাতার দিকের বাজারের কাছে এই হাট কিছুই না কারণ ।আমি জন্ম থেকেই কলকাতাতেই বড় হয়েছি ।সেখানে সবকিছু দেখেই এসেছি ।তাই সেখানে বাজার বলতে খুব ছোট একটা জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে বসে সেটাই বুঝি।
কিন্তু আজকে নীলগঞ্জের হাটে এসে আমি বলে বোঝাতে পারবো না আমি কতটা অবাক হয়ে গেছি। যখন দেখলাম সবাই মাছ কিনছে, চারিদিকে দেখলাম অনেক মাছের দোকান রয়েছে, আর বিভিন্ন ধরনের মাছ। এবং সেগুলো খুব কম দামে পাওয়া যায় , বেশ ভালো বলা যেতে পারে ।
হাটের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বিভিন্ন রকমের শাকসবজি রয়েছে। আমার তো দেখে খুবই ভালো লাগছিল ।তার সাথে বিস্কুটের দোকান , মসলাপাতি একটি আলাদা জায়গায় কি নেই সেটাই শুধু ভাবছিলাম। আর এই হাটে দেখলাম ভীষণ ভিড় আর পা ফেলারই জায়গা ছিল না ।তার মধ্যে থেকেই দু ব্যাগ ভর্তি বাজার করে নিলাম।আজ আমার কাছে নীলগঞ্জের হাটে যাওয়ার অনুভূতি একদম অন্যরকম ছিল। এইখানে আবার আসার ইচ্ছে রয়েছে। যেহেতু এরকম এত বড় হাট দেখার অভিজ্ঞতা আমার প্রথম ,তাই সব মিলিয়ে আজকে খুব ভালো লেগেছে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বৌদি হাটের মধ্যে অনেক ভালো ভালো জিনিসপত্র পাওয়া যায় এবং দামও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম থাকে। তাই অনেক মানুষ বাজার থেকে সবকিছু না কিনে,হাটের দিনের অপেক্ষায় থাকে। আমিও মাঝেমধ্যে আমার বাসার মোটামুটি কাছাকাছি অবস্থিত লাঙ্গলবন্দ এবং কাইকারটেক হাটে যাই ঘুরতে এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কিনতে। আপনি এই প্রথমবার হাটে গিয়েছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো বৌদি। নীলগঞ্জের হাটে তো দেখছি সবকিছুই পাওয়া যায়। এতো ভিড়ের মধ্যেও তাহলে দুই ব্যাগ ভর্তি বাজার করতে পেরেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন বৌদি। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের নীলফামারীতে সপ্তাহে একদিন হাট বসে এবং সেই হাট থাকে বুধবারে এবং সেই সময়ও বিভিন্ন ধরনের বাহারি নতুন নতুন দোকানপাট বসে যা দেখতে অনেকটাই আনন্দ কর মনে হয়। এছাড়াও সব প্রয়োজনীয় জিনিস এই হাটের মধ্যেই পাওয়া যায়। যেদিন হাটের দিন থাকে সেদিন প্রচন্ড ভিড় থাকে। তারপরও আপনার এই হাটে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দিদি। এত ভিড়ের মধ্যেও আপনি অনেক বাজার করে বাসায় ফিরেছেন। এছাড়াও ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে হাটটি কত জমজমাট হয়ে থাকে।
দিদিভাই, ছোট দাদা আর বড় দাদার মুখে এই হাটের নাম বহুবার শুনেছি। মূলত আমি যতদূর জানি, দাদারা মাঝে মাঝেই এই ধরনের হাট গুলোতে যায়, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে টাটকা জিনিস কেনার জন্য।
দিদি আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নীলগঞ্জের হাটে যাওয়ার অনুভূতি। আপনার পোষ্টের মধ্যে হাটের বেশ কিছু দারুণ ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়েছি। হাটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টাটকা সবজি রয়েছে এগুলো দেখে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে এই হাট অনেক বড়। আসলে আমাদের এলাকায় বামুন্দি বাজার এরকম বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনতে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দিদি, আমাদের এদিকেও সপ্তাহে দুদিন হাট বসে। শনিবার ও মঙ্গলবার, আর এই দুই দিনে হাটের ভেতরে ভিড়ের জন্য হাঁটাচলা ফেরা করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। এবং হাটের এই দিনে বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষকেরা তাদের টাটকা টাটকা সবজি নিয়ে আসে, সেই সাথে মাটির জিনিসপত্র, বেতের জিনিসপত্র ও বাঁশের জিনিসপত্র দেখতে পাওয়া যায়। যা অন্য কোনদিন এই জিনিসগুলো কিনতে পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে হাটের দিনটি অন্যদিনের তুলনায় খুবই জমজমাট হয়ে ওঠে। আর তাইতো আপনার নীলগঞ্জের হাটে যাওয়ার মুহূর্তটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। দিদি,প্রথমবার হাটে যাওয়ার অনুভূতিটুকু শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হাট সাধারণত গ্রামের দিকেই বসে। কিন্তু এটা কলকাতার কাছাকাছি শুনে ভালো লাগল। বেশ দারুণ তো হাট টা। হাঁট সাধারণত সপ্তাহে একদিন বা দুদিন বসে। এবং যেদিন বসে অনেক ভীড় হয়ে থাকে। এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা এই হাটের জন্যই অপেক্ষা করে এবং এখান থেকেই কেনাকাটা করে। হাটের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার করেছেন দিদি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
গ্রামের হাটে এমনটা হয় দিদি। কলকাতায় এমন হাটঁ সত্যি আমার কাছে ভালো লাগলো। গ্রামেও নরমালি সপ্তাহে দুইদিন হাটঁ বসে থাকে। এক শনিবারে আর দুই বুধবারে। এদিন অনেক রকমের জিনিসপাতি পাওয়া যায় বাজারে। আপনি গিয়ে নতুন একটা অভিজ্ঞতা পেলেন। আমার কাছেও খুব ভালো লাগলো এমন হাট দেখে।
নীলগঞ্জের এই হাটটা আসলেই বেশ বড় দিদি। আমরা মাঝেমধ্যেই এখানে বাজার করতে যাই। এখানে সবকিছু অনেক কম দামে পাওয়া যায়। বিশেষ করে সবজি তো অনেক কম মূল্যে এখানে বিক্রি হয়। যাইহোক, যেহেতু দুই ব্যাগ ভর্তি বাজার করেছো, তার মানে তো অনেক কিছুই কেনাকাটা হয়েছে দিদি।
দিদি আপনার নীলগঞ্জের হাটে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কিছু হাট আছে কয়েক শত বছর আগে থেকেই বিখ্যাত। আপনাদের নীলগঞ্জের হাট টা মনে হয় এরকম। আর এসব হাটে সব কিছু পাওয়া যায়। আর দাম ও রাখে অনেক কম। এই হাটে তো সব কিছুই আছে দেখলাম। ধন্যবাদ।