বাঙালির আড্ডা।।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে বাঙালির আড্ডা নিয়ে আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু কথা ভাগ করে নেবো।
সব সময় প্রোডাক্টিভ কাজ করা কি উচিত?
আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব।শারীরিক ভাবে অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় আমাদের ক্ষমতা সীমিত হলে ও শুধুমাত্র মস্তিষ্কের জোরে সারা দুনিয়ায় বিশাল জীব বৈচিত্র্যকে আমরা শাসন করছি।এর জন্য ধন্যবাদ জানাই ঈশ্বরকে।যাই হোক বন্ধুরা যে কথা বলছিলাম,আপাত দৃষ্টিতে সব সময় উৎপাদনমুখী কাজ আমরা নাও দেখতে পারি।তবে আমাদের সব কাজেরই একটা মূল্য আছে।আমরা বাঙালিরা আড্ডা দিতে খুব ভালোবাসি।একটু সময় পেলেই আমরা আড্ডা দিতে বসে যাই।অনেক বাঙালির মুখে শোনা যায় যে বাঙালির একটা গর্ব ও ঐতিহ্য হলো আড্ডা।বাঙালির মতো আর কতো জাতি এতো সুন্দর করে আড্ডা দিতে পারে না।অর্থাৎ বাঙালির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া অনেক বেশি ভালো।ঠিক ধরেছেন আপনারা, আমি আজকে বাঙালির আড্ডা নিয়ে কিছু কথা বলতে চলেছি।এগুলো সবই আমার নিজস্ব মতামত।তাই মতবিরোধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।সব রকম গঠনমূলক মন্তব্য ও আলোচনা স্বাগতম।
প্রাচীন কালে ও আড্ডার প্রচলন ছিলো।সেই সময়কার মানুষ রা ও আড্ডা দিতো।কিন্তু সেই আড্ডা ছিলো উচ্চতর পর্যায়ের।জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আলোচনা হতো সেই আড্ডা।এথেন্স শহরে জিমনেসিয়াম এ তখন সক্রেটিস ,প্লেটো এর মতো মহান জ্ঞানীরা ও আড্ডা দিতো।তাদের আড্ডা আর বাঙালির আড্ডার সাদৃশ্য আর বৈসাদৃশ্যই বা কি?আসুন একটি আলোচনা করা যাক।
পাড়ার মোড়ে আড্ডা,চায়ের দোকানে আড্ডা কিংবা পাড়ার কাকিমাদের আড্ডার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনাদের কি ধারণা?আমি যেটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছি সেখানে আলোচনার থেকে সমালোচনা বেশি হয়।এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায় সেই সব সমালোচনা আন্তঃসার শূন্য।এক সময় কফি হাউসে চায়ের কাপে আড্ডার ঝড় উঠতো।সেই আলোচনায় বাদ যেত না কোনো বিষয়।সেখানে যারা তর্ক-বিতর্ক করতেন সবাই জ্ঞানী ও পড়ুয়া মানুষ ছিলেন।আসলে কোনো বিষয়ে গঠনমূলক আড্ডা দিতে গেলে কিছু পড়াশোনা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।আবার আপনারা এটা ভাববেন না যে আমি বলছি আড্ডা মানে সেখানে ও জ্ঞান অর্জন তাহলে মনের আনন্দ কোথায়!আসলে জ্ঞান অর্জন করার কথা বলছি না শুধু বলতে চাইছি আড্ডা নিছক পরনিন্দা,পরচর্চা যেন না হয় আনন্দই মুখ্য থাকুক কিন্তু কিছুটা গঠনমূলক হোক।
বর্তমান যুগের চরম ব্যস্ততায় আড্ডার সময় সত্যি বাঙালির কমে এসেছে।তবে এখনো রবিবার জুড়ে আড্ডা বসে ,প্রাণ খুলে কথা হয়।বাঙালি হাসে বাঙালি গল্পের রাজ্যে উৎসব সাজায়।
আপু অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখেছেন আপনি। আমাদের সকলেরই উচিত পরনিন্দা বা পরচর্চা পরিত্যাগ করে সকলের মাঝে নিয়ম মেনে আড্ডা দিয়েই আনন্দ উপভোগ করায় শ্রেয়। কারণ আড্ডা দেওয়ার মধ্যে জীবনের অন্যতম প্রকৃত সুখ নিহিত রয়েছে। অসাধারণ একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকালকার আমাদের আড্ডা গুলো এখন যেনো শুধু অন্যকে নিয়ে হাসি তামাশা করার জন্যেই!!
চাচিদের আড্ডার আসর অন্য রকম। তাদের সংসারের কথা একজন আরেকজনকে বলে। আমাদেরতো আর সংসার নেই আমরা সমবয়সীরা ভবিষ্যৎ সপ্ন নিয়ে কথা বলি😆। আর এক বান্ধবীর ছেলের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিবো ঠিক করে রাখি🤭🤭।আড্ডায় বসলে কত ককথাইনা বলি সবাই।
দিদি আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আড্ডা দিতে কার না ভালো লাগে। সেটা যেকোনো বয়সে হক না কেন। মাঠে-ঘাটে, চায়ের দোকানের, সব জায়গায় আড্ডা দিতে ভালো লাগে।সত্যিই আমরা আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারো বেশি ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লাগেছে।
দিদি আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে আড্ডা দিতে আমরা সবাই ভালোবাসি।তবে একেক জনের আড্ডা একেক রকম। আপনি ঠিক বলেছেন প্রাচীন কালের আড্ডা ছিল জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আলোচনা।কিন্তু এখন তার উল্টো।বাঙালির আড্ডা গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাঙালির আড্ডা মানেই অন্যকে নিয়ে মাথা ঘামানো এবং অন্যের সম্পর্কে কুমন্তব্য করে মূল্যবান সময় নষ্ট করা।দারুণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন দিদি।আগেরকার দিন এতটা সমালোচনা মনোভাব মানুষের মধ্যে ছিল না, ধন্যবাদ আপনাকে।
এইটা সত্য দিদি দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছে ক্রমশ মানুষজন বিশেষ করে বাঙালী জাতি তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে , উদাহরণ এখনো আড্ডা হয় তবে আগের মতো না । তবে এখন তিক্ত সমালোচনার কানাঘুষা বেশি । যেখানে তিক্ত সমালোচনার পাহাড় চাপিয়ে দেওয়ার হয় ক্রমাগত। তবে শেষের দিকের কথা গুলো বেশ ভালো লেগেছে , আড্ডা হোক প্রাণবন্ত ও হাস্যরস দিয়ে ভরা । যেন ভাঙ্গা মন গুলো ক্রমাগত চাঙ্গা হয়ে যায় । যথার্থ লিখেছেন দিদি ।
বাঙালির আড্ডার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন দিদি, তবে এটা ঠিক বলেছেন বর্তমানের আলোচনায়, আলোচনার চেয়ে সমালোচনা বেশি হয় তবে বাঙালি সেই আদিম যুগ থেকেই আড্ডা দিতে ভালোবাসতো।