এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সাথে আমার তোলা কিছু ফটো ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
স্যাক্রেড হার্ট গির্জা, চন্দননগর
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ও বৈপ্লবিক সংগ্রামের ইতিহাসে হুগলির চন্দননগর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ফরাসি উপনিবেশ থাকার কারণে বহু বিপ্লবী এখানে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেছেন।গত বছর জগদ্ধাত্রী পূজার সময় আমি চন্দননগরে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। সব ঠাকুর দেখে ফেরার পথে যখন চন্দননগর জোরাঘাট দেখতে এসেছিলাম ,তখনই এই সেক্রেট হার্ট গির্জা দেখি। বাইরে দিয়ে দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছিল যেহেতু অনেক রাত হয়ে গেছিল তাই ভেবেছিলাম পরে কোনো একদিন চন্দননগরে ঘুরতে এলে এই জায়গায় আবার আসবো।
জোরাঘাট চন্দননগর
গতবছর জগদ্ধাত্রী পূজার সময় যখন আমি চন্দননগরে জোড়া ঘাটে এসে পৌঁছেছিলাম, তখন হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছিল সারাটা রাস্তা তখন ভিজে ছিল। বৃষ্টিতে যেন এই ঘাটটা আরো বেশি সুন্দর লাগছিল।
লঞ্চঘাট চন্দননগর
বাগবাজার ঘাট
বাগবাজার ঘাট হলো উত্তর কলকাতায় হুগলি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। বাগবাজারকে উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যও বলা যেতে পারে। বাগবাজার একসময় সুতানুটি গ্রামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাগবাজার বললেই মনে আসে শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব, শ্রীশ্রী সারদা মা, মায়েরবাড়ি, বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরি, গিরিশ চন্দ্র ঘোষের বাড়ি, স্বামী বিবেকানন্দ ও উদ্বোধন পত্রিকার অফিস এবং এই কলকাতার প্রথম বারোয়ারি দুর্গোৎসব, বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গাপূজা এবং তার সাথে বাগবাজার গঙ্গার ঘাট।এই ঘাটে একসময় শ্রী শ্রী সারদা মায়ের পদধূলি পড়েছিল।
বাগবাজার ফেরি ঘাট
বাগবাজারের এই ফেরি ঘাটে আমি আগে প্রায়ই আসতাম যখন কলেজে পড়তাম। সত্যি কথা বলতে এখানে এসে কিছুটা সময় কাটালে আমার খুব ভালো লাগতো।
উত্তর কলকাতার পুরনো বাড়ি
কলকাতা শহরকে উত্তর এবং দক্ষিণ এই দুই অংশে আলাদা ভাবে চেনে বাঙালি। এই শহরের বাসিন্দারা এই দুই দিকে খোঁজ করেন দুই ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির। বিখ্যাত এক সাহিত্যিকের মতেও, দক্ষিণ কলকাতায় যদি থাকে জৌলুস, উত্তরে তবে আছে প্রাণ।এই উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে রয়েছে পুরানো ঐতিহ্য।
আহিরিটোলা ঘাট
আহিরীটোলা কলকাতার একটি প্রধান ঘাট এবং গত বহু বছর ধরে একটি ব্যস্ত ফেরি টার্মিনাল হিসেবে কাজ করছে। এটি হুগলি নদী অতিক্রম করার একটি দ্রুত উপায়।এই ঘাট থেকে লঞ্চে করে খুব কম সময়ে হাওড়ায় পৌঁছে যাওয়া যায়।
ডিভাইস | vivo v21 |
---|---|
লোকেশন | কোলকাতা |
ক্রেডিট | @swagata21 |
এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে, আজকের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। সত্যি দেখে খুবই ভালো লাগলো। বাগবাজার ফেরি ঘাট এর ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আর সাথে বর্ণনা অসাধারণ ছিল।
বাগবাজার ঘাট আর বাগবাজার ফেরি ঘাট এই দুটো জায়গা আমার চেনা এবং বেশ কয়েকবার গিয়েছি এখানে। তবে বাকি জায়গা গুলো অচেনা। তোমার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে এবং তার বর্ণনাও দিয়েছো নিখুঁতভাবে। সত্যিই বেশ ভালো লাগলো তোমার পোস্ট পড়ে।
চন্দননগরের প্রত্যেকটি ছবি ও বর্ননা পড়ে ভালো লাগলো।আলোকচিত্র: ৭ এর ছবিটি দেখে মন ছুঁয়ে গেল।অনেকগুলো আলাদা আলাদা ঘাটের ছবি দেখতে ও জানতে পারলাম।যেগুলো আমার কাছে বেশ নতুন, ধন্যবাদ দিদি।
উত্তর কলকাতার বাড়িগুলো অনেকটা পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর মতই! ঐতিহ্য বহন করে এসব বাড়ি! বেশ কিছু ঘাট সম্পর্কে জানতে পারলাম দিদি। বাগবাজার ও অহিরিটোলা ঘাট একটু বেশিই সুন্দর লাগছে!
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি পর্ব শেয়ার করেছেন আপু মনি।সব গুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কারণ ফটোগ্রাফি গুলো একদম স্বচ্ছ পরিষ্কার ছিল। উত্তর কলকাতার পুরোনো বাড়ির ফটোগ্রাফি টা বেশি সুন্দর লাগছে আমার কাছে।
এমন সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি।
আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছু দেখার সুযোগ হলো দিদি।চন্দন নগর স্যাত্রুেট হার্ট গির্জা কিন্তু অনেক সুন্দর।যদিও এই স্হান স্বাধীনতার অনেক স্মৃতি জড়িত আছে।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছুর দেখার এবং জানার সুযোগ হলো।ধন্যবাদ দিদি।
আপু আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আহিরীটোলা ঘাটের ছবি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। খুব সুন্দর লাগছে দৃশ্যটি মনে হচ্ছে যেন কোন শিল্পী তার রং তুলিতে দৃশ্যটি এঁকে রেখেছেন। বাগবাজার ফেরিঘাটের ছবিটি ও খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলোর জন্য।
আশা করি দিদি, ভালো আছেন ? আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো ছিলো তার সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন আপনি। বিশেষ করে বাগবাজার ফেরি ঘাটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দেখে খুব মুগ্ধ। এত দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভালো থাকবেন দিদি, ধন্যবাদ।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে আমার কাছে বাগবাজার ফেরি ঘাটে যে ফটোটা ওইটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।