"দুধ সেমাই পায়েস" তৈরি করার পদ্ধতি।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম "দুধ সেমাই পায়েস" তৈরি করার রেসিপি।
আজ হঠাৎ সকাল থেকে মানে ঘুম থেকে উঠে সেমাই পায়েস খেতে ইচ্ছা করছিল।যেই ভাবা সেই কাজ। মাকে পায়েস বানানোর কথা বলতে রাজি হয়ে গেল 😍।এমনি সময় মাকে কিছু বললে মা,না করে দেয়😒। কিন্তু আজকে দেখলাম কিছু না বলেই রাজি হয়ে গেল 🤭।
পায়েস খেতে ভালোবাসেন না এমন লোক খুবই কম আছে বলেই আমার মনে হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ সেমাই খুবই জনপ্রিয় একটা খাবার।
সেমাই একটি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য। অনেকটা নুডুলস এর মত দেখতে হয়। প্রাচীনকাল থেকেই সেমাই আমাদের এই দেশে প্রচলিত। আগেকার দিনে সেমাই তৈরি করা হতো হাতে হাতে। ময়দা কাই করে হাঁড়ির পিঠে বা পিড়িতে হাতে ডলে ও পাকিয়ে তারের মতো শুকনা সেমাই তৈরি করা হতো। অনেক পরে সেমাই তৈরি করার কল আসে। প্রাচীনকালে বাড়ির মহিলারা রোজার মাসে সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত থাকত।কারন এখন এর মত বাজারে সেমাই তৈরীর কোন যন্ত্রপাতি পাওয়া যেত না। সেজন্য হাতেই তৈরি করা হতো।সেমাই কল চলে আসার পর সেখানে নানা রকমের সেমাই তৈরি করা শুরু হলো।
সেমাই রান্না সাধারণত দু'ভাবে করা হয়ে থাকে।
১) দুধ সেমাই
২) সেমাইয়ের জর্দা
সেমাই রান্না করা খুবই সহজ এবং স্বাদেও অতুলনীয়।
•আজ আমি আপনাদের সাথে "দুধ সেমাই পায়েস" তৈরি করার রেসিপি তুলে ধরলাম।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১.সেমাই | ১৫০ গ্রাম |
২.ঘি | পরিমান মতো |
৩.এলাচ | ৩টে |
৪. তেজপাতা | ২ টো |
৫.দুধ | ২ প্যাকেট |
৬.বাদাম | পরিমান মতো |
৭.চিনি | হাফ কাপ |
৮.কিসমিস | পরিমান মতো |
সেমাই পায়েস তৈরী করার পদ্ধতি:
প্রথম ধাপ
• প্রথমে ১৫০ গ্রাম মত সেমাই চাল নিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• তার সাথে অল্প ঘি নিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• গ্যাসের মধ্যে কড়াই বসিয়ে তাতে ১ চামচ ঘি দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর অল্প আঁচে ঘি দিয়ে সেমাই ভেজে নিলাম। এবং একটু লালচে অর্থাৎ বাদামী রং হয়ে এলে সেমাইটা নামিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর অন্য একটি পাত্রে নিয়ে তাতে দুধ বসিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• দুধটা হালকা ফুটে এলে তাতে ভাজা সেমাই গুলো দিয়ে দিলাম।
সপ্তম ধাপ
• এরপর পরিমাণমতো চিনি দিয়ে দিলাম।
অষ্টম ধাপ
• এবার মিডিয়াম আঁচে রেখে দুধ দিয়ে সেমাই পায়েসকে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে যাতে সেমাই কড়াইতে লেগে না যায়।
নবম ধাপ
• হালকা ফুটে এলে এরপর তেজপাতা দিয়ে দিলাম।
দশম ধাপ
• এরপর অল্প এলাচ থেঁতো করে দিয়ে দিলাম।
একাদশ ধাপ
• এরপর যখন হালকা দুধ ফুটে গাঢ় হয়ে আসবে তখনই অল্প বাদাম আর কিসমিস গুলো দিয়ে দিলাম। সেমাই এর পায়েস এ বাদাম আর কিসমিস খেলে তার স্বাদ আরও বেড়ে যায়। আপনারা চাইলে পেস্তাবাদাম ও মিশিয়ে দিতে পারেন।
দ্বাদশ ধাপ
• এবার অল্প আঁচে রেখে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলাম তাও বেশিক্ষণ না।
ত্রয়োদশ ধাপ
• ব্যস তৈরি হয়ে গেল
"দুধ সেমাই পায়েস"।
আশা করি আমার এই রেসিপিটা আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। সেমাই পায়েস ঠান্ডা করে খেলে ভীষণ সুস্বাদু হয়। অনেকে সেমাই ডেজার্ট হিসেবে খেয়ে থাকে।যে কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে সেমাই পায়েস এর চল সব বাঙ্গালীদের ঘরে ঘরে আছে।অনেকেই সেমাই এর পায়েসকে দুধ সিমুই ও বলে থাকে।আর হ্যাঁ এই রেসিপিটা করতে খুব কম সময়ের প্রয়োজন হয়।
রেসিপির সাথে আমার একটি নিজস্বী
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে আপনি সেমাই দিয়ে হয়তো কোন পায়েস তৈরি করেছেন। কিন্তু না পরে দেখলাম যে আপনি খুব মজাদার একটি সেমাই তৈরি করেছেন। আমার কাছে খুব ভালো লাগে এই সেমাইটি। অনেক বেশি দুধ থাকে দেখে খুব মজা হয়। আপনার সেমাই রান্নাটাও খুব মজা হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সেমাই টি বানানোর পর আপনি খুব সুন্দর করে এটি সাজিয়েছেন যা সেমাইটকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সেমাই খেতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। খেতেও খুব সুস্বাদু হয়। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে দুধ অনেক পছন্দ করি। এটি যেমন খেতে অনেক সুস্বাদু তেমনি আবার সুষম খাদ্য। দুধ দিয়ে তৈরি করা যেকোনো রেসিপি আমার পছন্দ। আপনার এই রেসিপিটি দেখে তো আমার জিভে জল চলে আসলো। যাই হোক অনেক সুন্দর তৈরি করেছেন এবং কথাগুলো অনেক গুছিয়ে লেখেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
দুধ দিয়ে তৈরি করা যেকোনো রেসিপি আমারও খুব পছন্দের। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপু অনেক সুন্দর করে দুধ সেমাই পায়েস তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আর সেমাইটা তো অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আমার কাছে অনেক ভাল মনে হয়েছে আর খেতেও মনে হয় টেস্টি হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
দিদি খুব সুন্দর রান্না করেছেন দুধ সেমাই পায়েস। ভীষণ লোভনীয় এবং আকর্ষণীয় লাগছে খাবারটা। প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে সুন্দর করে ছবি তুলেছেন এবং তুলে ধরেছেন। রান্নার পর উপরের পরিবেশনা টাওয়ার সুন্দর ছিল কাজু বাদাম এবং খেজুর দিয়ে। সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে আপনার পোস্টটা। এভাবেই কাজ করেছে যান এবং আমাদের সাথে আরো ভালো ভালো রেসিপি শেয়ার করতে থাকুন।
দিদি আমার সেমাই খেতে খুব ভালো লাগে। দেখে মনে হচ্ছে সেমাই রান্নাটা অনেক মজার হয়েছে। আমি ও মাঝে মাঝে সেমাই রান্না করি। আপনি সেমাই রান্নার পর কিসমিস ও কাজু বাদাম দিয়ে সাজানোর পর দেখতে আকর্ষণীয় হয়েছে।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ দিদি আমার ও সেমাই খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আর খুব সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
ওয়াও, সেমাই আমার মোস্ট ফেভারিট। খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। দুধের সাথে সেমাই জাস্ট জমে যায়। আর কিসমিস এর জন্যই আরো বেশি ভালো লাগে এটি খেতে। অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
সেমাই আমারও ভীষণ ফেভারিট।আপনি একদম ঠিকই বলেছেন দুধের সাথে সেমাই জাস্ট জমে যায়।এটা কিন্তু একদমই সত্যি। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
দুধ সেমাই পায়েস" তৈরি করার পদ্ধতি অনেক সুন্দর ভাবে আপনি রান্নাটি করেছেন। আমার খুবই ভালো লাগলো। ছবিগুলো খুবই স্পষ্ট ভাবে তুলেছেন। প্রতিটি ধাপ প্রয়োজনীয় উপকরণ খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল এবং মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে
হ্যাঁ খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।