অনেকদিন পর আর্সেলানে।।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে আর্সেলানে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
করোনা আবহের জন্য বেশ কিছুদিন কলেজ বন্ধ ছিল বলতে গেলে অনেকটা সময়ই কলেজ বন্ধ ছিল। এখন তুলনামূলক সবকিছু আগের মতো হচ্ছে সমস্ত স্কুল-কলেজ খুলে গেছে। কিছু স্কুল-কলেজে গরমের ছুটি চলছে, আর আমাদের তো গরমের ছুটি বলে কিছু হয়না। আমাদেরও কলেজ খুলে গেছে এক মাস হতে যায় ,পুরো ক্লাস চলছে। আর আমাদের কলেজের সময় হচ্ছে সকাল এগারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। একটা ক্লাস অফ থাকে না কি যে কষ্ট হয় সেটা শুধু আমরাই জানি। এর আগে অনার্স করে মাস্টার্স করেছি এই পরিস্থিতিতে কোনোদিন পড়তে হয়নি যে কলেজে একটা ক্লাস অফ থাকেনা এখন বিএড করতে এসে এরকম পরিস্থিতি । একজন টিচারের ক্লাস শেষ হতে হতেই পরের ক্লাসের শিক্ষক চলে আসে। এক মিনিটও ফাঁকা পাইনা। এইভাবেই একপ্রকার দিন চলছে। যখন বাড়ি আসি তখন সাড়ে ছয়টা বেজে যায় । তখন এত ক্লান্ত লাগে যে কিছু খেতে ইচ্ছা করে না ।আর আমি তো এখন সারা দিনে এক বেলা ভাত খাই ।আর সেভাবে কিছু খাওয়াও হয়ে ওঠে না ।
আজকে হঠাৎ বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছা করছিল আজকে বললে ভুল হবে কাল থেকে ইচ্ছা করছিল । আর আমার যখন যেটা ইচ্ছা করে সেটাই করে ফেলি, তাই ভাবলাম আজকে কোথাও থেকে বিরিয়ানি খেয়ে আসি। বাড়িতে অর্ডার করলেই পারতাম কিন্তু সেটা ইচ্ছা করছিল না ।বাড়িতে খেলে ঘোরাঘুরির মজা থাকে না ।বাইরে গিয়ে খেলে মনটাও ভালো লাগে। কলেজ থেকে বাড়ি এসে ঠিক করলাম পার্কসার্কাসের বিরিয়ানি খেতে যাবো।এই জায়গার বিরিয়ানির বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য হলো এখনই বিরিয়ানি খুব হালকা হয় , অনেকটা খেলে কোনো কষ্ট হয়না। দারুন লাগে খেতে।আরসালান বিরিয়ানি কলকাতার মধ্যে খুব নামকরা একটি বিরিয়ানি।আর এই জায়গাটি আর্সালানের মেন ব্রাঞ্চ।
তাই সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোলাম ওখানে পৌঁছাতে আটটা বেজে গেল। এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার এসেছি। এই রেষ্টুরেন্টের ভিতরে আম্বিয়েন্স টাও ভীষণ সুন্দর। তাই সবার প্রথমে চিকেন টেংরি কাবাব, মটন বিরিয়ানি, আর মাটন দো-পেয়াজা অর্ডার করলাম ।খানিক সময় লাগল আসতে। তাতে কী বিরিয়ানির জন্য এইটুকু অপেক্ষা করাই যায় ।ততক্ষণে সেলফি পর্ব চললো। তারপর কিছুক্ষণ গল্প করতে করতে ,সেলফি তুলতে তুলতে খাবার ও চলেএল।
খাবার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই ।অসম্ভব ভালো টেস্ট। তাই জন্যই বারবার এখানে আসা। যেমন সুন্দর বিরিয়ানির টেস্ট, তেমন সুন্দর মটন দো পেয়াজার টেস্ট ,আর সবার লাস্টে নিয়েছিলাম শাহি টুকরা। একবার মুখে লেগে থাকবে। সবমিলিয়ে প্রত্যেকটা খাবার দারুণ ছিল।
আজকেও আমাদের কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কপাল ভালো যে যখন বিরিয়ানি খেতে ঢুকেছিলাম তখনই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল আর যখন বেরিয়েছি তার কিছুক্ষণ আগে আগেই থেমে গেছে ।তাই আর বৃষ্টি পাইনি🤭। সব মিলিয়ে ভালোই খাওয়া আর ঘোরাঘুরি হলো।
আহা আপু এত স্বাদের বিরিয়ানি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে নিজেকে সামলাতে পারছিনা ।আমাকে কিন্তু জন্মদিনে গিফট হিসেবে বিরিয়ানি খাওয়াতে পারেন। 😋😋 সত্যি কথা বলতে আপু আমার যখন কোনো কিছু খেতে ইচ্ছা করে আমি কোন ভাবে নিজেকে না খেয়ে থাকতে পারিনা। সাথে সাথেই আমি অর্ডার দেই । আমি তেমন বাইরে যায়না তেমন তাই অর্ডার দিয়ে খেতে হয়। আপনি আর্সেনালে দারুন সময় উপভোগ করেছে আর সেই উপভোগ্য সময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন দেখেই তো মাথা ঘুরাচ্ছে বেশ সুন্দর। আর খাবার গুলো দেখে খুব লোভ হচ্ছে আপু।দেখেই মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই গরমে অনেকটা সময় ধৈর্য ধরে ক্লাস করতে হয় আপনাকে। সত্যি দিদি আপনার অনেক ধৈর্য। তবে যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্ত এবং লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দিদি।
কি বলেন সকাল 11 টা থেকে একদম পাঁচটা পর্যন্ত টানা ক্লাস হয়। আপনার তো দেখছি অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া শুধুমাত্র একবেলা ভাত খান জেনে অবাক হলাম। কিন্তু আপনার যখন যেটা ইচ্ছে করে সেটা করে ফেলেন জেনে ভালো লাগলো। বিরিয়ানি সত্যিই অনেক পছন্দের একটি খাবার। ইচ্ছে করছে বলে বিরিয়ানি খেতে চলে গেলেন দেখে ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখলাম অনেক দারুন ছিল। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আহা!বৃষ্টিকে পেলে তবে মন্দ হতোনা কিন্তু।😁😁
আহা শাহী টুকরাটা দেখে তো এক টুকরা মুখে চালান করে দিতে মন চাইছে।
বিরিয়ানি আমারও খুব পছন্দের আপু। আপনি এত স্বাদের বিরিয়ানি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এটা দেখে কিন্তু আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আর আপনার ক্লাস এত সময় আসলে এত সময় নিয়ে নিয়ে ক্লাস করলে অনেক কষ্ট হয়। তবে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একাই সব খাবার খেলেন।একটুও আমাদের কথা মনে হইল না। রেস্টুরেন্ট বেশ সুন্দর এবং গোছালো ছিল আর সেই সাথে সেখান কার খাবার গুলো বেশ । দেখে তো খেতে ইচ্ছে করল। শুভকামনা
চিকেন টেংরি কাবাব টা সত্যিই অসাধারণ ছিল। আর নতুন করে আরসালান এর বিরিয়ানির কথা তো বলার দরকার নেই। আরসালান বিরিয়ানি কি অসাধারণ হয়, সে না খেলে মানুষ বুঝতে পারবে না। ভালো লাগলো তোমার এই পোস্ট দেখে।